ঢাবিতে জুলাই বিপ্লব পরবর্তী দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা-বিষয়ক সেমিনার
Published: 19th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘দ্য জুলাই রেভ্যুলেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড: রিথিংকিং সিকিউরিটি, সাসটেইনেবলিটি অ্যান্ড পিস ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে মূল বক্তা ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.
আরো পড়ুন:
সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
সাম্য হত্যা: শাহবাগ থানার সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক নাছিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তৈয়েবুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মেজবা-উল-আযম সওদাগর, ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ খান চন্দন প্রমুখ।
বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, “নদীতে সাড়ে ৪ হাজার বাঁধ নির্মাণ করেছে ভারত। আমি নিশ্চিত, ভারত আমাদের পানি দেবে না। নিতে গেলে যুদ্ধ করতে হবে। জাতিকে যদি মাথা উচু করে বাঁচতে হয়, পানিকে আশির্বাদে রুপান্তর করতে হবে।”
‘ইমারত মডেল’ নামক ধারণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিচু অঞ্চলে বহুতল ভবন নির্মাণ করা যেতে পারে। নিচতলা ফাঁকা রেখে ওপরে বসবাস করতে হবে। বন্যার পানি ব্যবহার করতে হবে। আবাদী জমিতে মাছের ঘেরের মতো করে বন্যার পানি আটকে রাখতে হবে; এটাও বিনিয়োগ। বন্যার পানি দিয়ে মাছ চাষ হবে। এছাড়াও পানি ধরে রেখে সেচের পানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। আমরা ফ্লাড-ট্যুরিজম করতে পারি। যতই ব্যয়বহুল হোক, এতে সারাদেশ যুক্ত করতে পারলে বাংলাদেশকে আমরা আয়বর্ধক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।”
ভারতের পানি আগ্রাসনের হুমকি জাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা হিমালয়ের ড্রেনেজ সিস্টেমের অংশ। পানি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যায়। পানি পলি মাটি আনে। এতে ভূমির ক্ষয় রোধ হয়। পলি জমে সমুদ্রে নতুন ভূমি জেগে উঠছে। কাজেই বন্যা আমাদের জন্য আশির্বাদ হতে পারে। তবে এখন এটা আমাদের জন্য ধ্বংসের বিষয়। পরিকল্পনা করে এগোলে আমরা শুধু বন্যার হাত থেকে বাঁচবো না, ভবিষ্যতে উন্নত দেশ হয়ে উঠব।”
এ সময় দারিদ্র্য বিমোচনে তিনি গ্রামের রাস্তার ধারে পরিকল্পিতভাবে খেঁজুর ও তালগাছ রোপণের প্রস্তাব দেন।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন, “ভারত ভাবে, ওরা আমাদের দেশ স্বাধীন করেছে। তারপর দেশটা আমাদের গিফট করেছে। এগুলো শুনলে মাথায় রক্ত উঠে যায়। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। জুলাইয়ে ছাত্ররাসহ আমরা রাস্তায় নামি। ছাত্রদের ভূমিকার জন্য ওদের ধন্যবাদ দেই। তাদের জন্যই আমরা এখন সবার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রব জ ঞ ন ব ভ গ র বন য র র জন য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
শাহরিয়ার হত্যা-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুললেন বড় ভাই শরীফুল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা-পরবর্তী কিছু ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর বড় ভাই শরীফুল ইসলাম। শাহরিয়ার যে আবাসিক হলে (স্যার এ এফ রহমান হল) থাকতেন, সেই হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল, এ কথা উল্লেখ করে তিনি পুলিশকে এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ছাত্রদলের অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শরীফুল ইসলাম এ কথা বলেন। ‘শাহরিয়ার আলম সাম্যর হত্যা মামলার তদন্তে গাফিলতির প্রতিবাদে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল ঘাতকসহ সব আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার, সুষ্ঠু বিচার এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে’ ছাত্রদল আজ শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে। কিন্তু পরে তারা পৌনে দুই ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধ করে।
আজ শাহরিয়ার আলমের সহপাঠী এবং বিভাগের শিক্ষকেরা শাহবাগ থানায় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বসেছিলেন। সেখানে শরীফুল ইসলামও ছিলেন। সেই প্রসঙ্গে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে তিনি বলেন, ঘটনার সময় সাধারণ জনগণ দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে বলা হয়, ঘটনার চার ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে সাত-আট কিলোমিটার দূরে কোনো এক হাসপাতাল থেকে সেই দুই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রশ্ন হলো, পুলিশ পরে তাঁদের কেন ওই হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার দেখাল? এখানে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার দুজনকে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয়। কোনো চাপের কারণে পুলিশ ওই দুজনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল কি না, জানতে চান শরীফুল।
শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘গভীর রাতে দুজনকে গ্রেপ্তারের পুরস্কারস্বরূপ সরকার তাদের (পুলিশ) এক লাখ টাকা উপহার হিসেবে দিয়েছে। আমি পুলিশকে বলতে চাই, যদি আপনাদের উপহারের দরকার হয়, আজকের এই সমাবেশে আমি ঘোষণা দিলাম, যদি দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হয়, আমি পাঁচ লাখ টাকা উপহার দেব, ইনশা আল্লাহ।’
হত্যাকাণ্ডের পর শাহরিয়ারের চরিত্রহননের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এখন কিছু কিছু ফেসবুকে দেখছি, আমার ছোট ভাইয়ের চরিত্রহননের জন্য ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে। আমি তাদের সাবধান করে দিতে চাই, “মনে রাখবা, আজকে তোমরা যদি এ রকম সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চাও, ভবিষ্যতে তোমাদের মধ্যেও অনুরূপ ঘটনা ঘটতে পারে। কাজেই দল-মতনির্বিশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটাকে নিরাপদ করার জন্য তোমাদের সচেষ্ট হতে হবে।”’
শাহরিয়ার হত্যার বিচারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করায় ছাত্রদলের প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান শরীফুল।