উৎসবমুখর পরিবেশে মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাসে সামার সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর বনানীতে ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে নতুন শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরা অংশ নেন।

ওরিয়েন্টেশনের উদ্বোধনী পর্বে নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানান এবং ইউনিভার্সিটির পরিচিতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন– চিফ একাডেমিক অ্যাডভাইজর প্রফেসর এ কে এনামুল হক পিএইচডি, ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টসের ডিন প্রফেসর বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া পিএইচডি, ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস ম্যানেজমেন্টের ডিন প্রফেসর গোলাম আহমেদ ফারুকী পিএইচডি, প্রফেসর মিজানুর রহমানসহ ফ্যাকাল্টিরা।

নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে প্রফেসর এ কে এনামুল হক বলেন, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাসের সব কারিকুলাম ও সিস্টেম মালয়েশিয়ার মেইন ক্যাম্পাসের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, আপনারা জ্ঞান অর্জনের নতুন স্তরে প্রবেশ করছেন। বর্তমান যুগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগ। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তখনই প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা হবে যখন সে তার উত্তরের ব্যাখ্যা দিতে পারবে। এখন পর্যন্ত সে ক্ষমতা কেবল মানুষেরই আছে।

প্রফেসর বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মুখস্থ ও তোতাপাখির শিক্ষা নয়। এই শিক্ষা মানবিকতার শিক্ষা দেয়। দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখার শিক্ষা দেয়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাস্তব ও জীবনমুখী উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান, গবেষণা, আবিষ্কার ও পুনঃআবিষ্কারের শিক্ষা দেয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভূমিকা রাখার উপযোগী করে গড়ে তুলতে ইউসিএসআইয়ের শিক্ষকরা সদা তৎপর।

এফবিএম ডিন প্রফেসর গোলাম আহমেদ ফারুকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখার সময়। সে স্বপ্ন ঘুমিয়ে নয়, বরং জেগে থেকে স্বপ্ন দেখা। আগের ফলাফল যাই হোক না কেন, এখন যে সুযোগ এসেছে সামনের চার বছর পরিপূর্ণভাবে তার সদ্ব্যবহার করতে হবে।

পরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা নতুন শিক্ষার্থীদের ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির পরিচিতি, কারিকুলাম ও কোর্স পরিচিতি, পাঠদান পদ্ধতি, পরীক্ষা, এক্সট্রা কারিকুলাম কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। ব্রিফিং শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ভ্রমণ করেন এবং ক্লাসরুম, সেমিনার রুম, বিভিন্ন ল্যাব, লাইব্রেরি, স্পোর্টস জোন ঘুরে দেখেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নত ন শ ক ষ র থ ইউন ভ র স ট র

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা

জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।

হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—

১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

আবেদনে যোগ্যতার শর্ত

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—

—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।

—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।

—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা

—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।

—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।

—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।

—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।

বৃত্তির সুবিধা

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:

১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।

২। মাসিক ভাতা।

—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।

—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।

—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।

—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।

—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।

—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।

—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নর্ডিক স্কলারশিপে সম্পূর্ণ অর্থায়নে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির সুযোগ
  • জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
  • জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩