ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
Published: 19th, May 2025 GMT
উৎসবমুখর পরিবেশে মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাসে সামার সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর বনানীতে ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে নতুন শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরা অংশ নেন।
ওরিয়েন্টেশনের উদ্বোধনী পর্বে নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানান এবং ইউনিভার্সিটির পরিচিতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন– চিফ একাডেমিক অ্যাডভাইজর প্রফেসর এ কে এনামুল হক পিএইচডি, ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টসের ডিন প্রফেসর বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া পিএইচডি, ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস ম্যানেজমেন্টের ডিন প্রফেসর গোলাম আহমেদ ফারুকী পিএইচডি, প্রফেসর মিজানুর রহমানসহ ফ্যাকাল্টিরা।
নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে প্রফেসর এ কে এনামুল হক বলেন, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাসের সব কারিকুলাম ও সিস্টেম মালয়েশিয়ার মেইন ক্যাম্পাসের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, আপনারা জ্ঞান অর্জনের নতুন স্তরে প্রবেশ করছেন। বর্তমান যুগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগ। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তখনই প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা হবে যখন সে তার উত্তরের ব্যাখ্যা দিতে পারবে। এখন পর্যন্ত সে ক্ষমতা কেবল মানুষেরই আছে।
প্রফেসর বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মুখস্থ ও তোতাপাখির শিক্ষা নয়। এই শিক্ষা মানবিকতার শিক্ষা দেয়। দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখার শিক্ষা দেয়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাস্তব ও জীবনমুখী উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান, গবেষণা, আবিষ্কার ও পুনঃআবিষ্কারের শিক্ষা দেয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভূমিকা রাখার উপযোগী করে গড়ে তুলতে ইউসিএসআইয়ের শিক্ষকরা সদা তৎপর।
এফবিএম ডিন প্রফেসর গোলাম আহমেদ ফারুকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখার সময়। সে স্বপ্ন ঘুমিয়ে নয়, বরং জেগে থেকে স্বপ্ন দেখা। আগের ফলাফল যাই হোক না কেন, এখন যে সুযোগ এসেছে সামনের চার বছর পরিপূর্ণভাবে তার সদ্ব্যবহার করতে হবে।
পরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা নতুন শিক্ষার্থীদের ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির পরিচিতি, কারিকুলাম ও কোর্স পরিচিতি, পাঠদান পদ্ধতি, পরীক্ষা, এক্সট্রা কারিকুলাম কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। ব্রিফিং শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ভ্রমণ করেন এবং ক্লাসরুম, সেমিনার রুম, বিভিন্ন ল্যাব, লাইব্রেরি, স্পোর্টস জোন ঘুরে দেখেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নত ন শ ক ষ র থ ইউন ভ র স ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউটিউবে কম রেজল্যুশনের ভিডিও এখন দেখাবে এইচডি মানে
ভিডিও দেখা মানেই এখন ইউটিউব। একসময় এই মাধ্যমে শুধু ২৪০পি বা ৩৬০পি রেজল্যুশনের ভিডিওই দেখা যেত। সময়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এইচডি, ফুল এইচডি ও ৪কে রেজল্যুশন। যা ইউটিউবে ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে করেছে আরও প্রাণবন্ত। এবার বড় পর্দায় ভিডিওর মান আরও উন্নত করতে গুগল মালিকানাধীন মাধ্যমটি চালু করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর নতুন সুবিধা ‘সুপার রেজল্যুশন’।
নতুন এই সুবিধার মাধ্যমে ইউটিউব স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম রেজল্যুশনে আপলোড করা ভিডিওর মান উন্নত করবে। ২৪০পি থেকে ৭২০পি পর্যন্ত ভিডিওগুলো এআই প্রযুক্তির সহায়তায় রূপান্তরিত হবে এইচডি মানে। বড় পর্দায়, বিশেষ করে স্মার্ট টিভিতে, যাতে ভিডিও ঝাপসা বা বিকৃত না দেখায়, সেটিই এই প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য।
ইউটিউব জানিয়েছে, ‘সুপার রেজল্যুশন’ ভিডিওর প্রতিটি ফ্রেম বিশ্লেষণ করে ছবির সূক্ষ্মতা ও রঙের ভারসাম্য ঠিক করবে। ফলে পুরোনো বা নিম্নমানের ভিডিও আরও স্পষ্ট ও প্রাণবন্তভাবে দেখা যাবে।
প্রাথমিকভাবে এই সুবিধা ১০৮০পি ভিডিওর জন্য চালু করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে এটি ৪কে রেজল্যুশনেও কাজ করবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবহারকারীরা চাইলে এই সুবিধা বন্ধ রাখার সুযোগও পাবেন। এতে ভিডিওর মূল রেজল্যুশন অপরিবর্তিত থাকবে এবং নির্মাতারা আসল ফাইল অক্ষত রাখতে পারবেন।
ভিডিওর মান উন্নয়নের পাশাপাশি ইউটিউব হোমপেজেও আসছে নতুন পরিবর্তন। এখন ব্যবহারকারীরা হোমপেজ থেকেই কোনো চ্যানেলের ভিডিও প্রিভিউ আকারে দেখতে পারবেন। পাশাপাশি মাধ্যমটির ‘শো’ বিভাগ নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে, যাতে ধারাবাহিক সিরিজ বা সম্পর্কিত ভিডিও সহজে দেখা যায়। নির্মাতাদের জন্য বাড়ছে থাম্বনেইল আপলোডের সীমা। আগে যেখানে থাম্বনেইলের সর্বোচ্চ ফাইলের আকার ছিল ২ মেগাবাইট, এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫০ মেগাবাইট। এতে নির্মাতারা ৪কে রেজল্যুশনের উচ্চমানের ছবি থাম্বনেইল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
পাশাপাশি ইউটিউব পরীক্ষামূলকভাবে চালু করছে কিউআর কোডভিত্তিক কেনাকাটার সুবিধা। এই সুবিধা চালু হলে দর্শকেরা ভিডিওতে প্রদর্শিত পণ্যের কিউআর কোড স্ক্যান করে সরাসরি তা কিনতে পারবেন।
সূত্র: টেক্লুসিভ