পাকিস্তানে টি-২০ সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বুধবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সিরিজের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করেছে। নতুন সূচি অনুযায়ী, তিন ম্যাচের সিরিজ আগামী ২৮ মে, ৩০ মে এবং ১ জুন মাঠে গড়াবে।

তবে ভেন্যু অপরিবর্তিত থাকছে। তিনটি ম্যাচই হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এর আগে তিন ম্যাচের সিরিজ ২৭ মে শুরু হওয়ার কথা ছিল। ২৯ মে ও ১ জুন হওয়ার কথা ছিল বাকি দুই ম্যাচ।

এফটিপি অনুযায়ী, শুরুতে পাকিস্তান সফরে গিয়ে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা ছিল। পরবর্তীতে সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপ ও আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির টি-২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে দুই বোর্ড পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত নেয়।

পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের জন্য সূচিও ঘোষণা করেছিল পিসিবি। সিরিজটি ২৫ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে পিএসএল স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সিরিজের সূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়। ২৭ মে থেকে সিরিজ শুরু ঘোষণা দিয়ে পুনরায় পিসিবি সূচি ঘোষণা করে।

এর মধ্যেই পাকিস্তান সফরের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে আসে। সঙ্গে সিরিজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় দুই বোর্ড পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ছোট করে তিন ম্যাচে করার বিষয়ে সম্মত হয়। এছাড়া বিসিবির পক্ষ থেকে রাওয়ালপিন্ডি থেকে ম্যাচ সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। পিসিবি ওই শর্তে রাজি হয়।

মঙ্গলবার পিসিবির পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, বাংলাদেশ পাকিস্তান সফর করতে সম্মত হয়েছে। তখনো ২৭ মে থেকে সিরিজ শুরুর কথাই ছিল। তবে আনুষ্ঠানিক সূচি ঘোষণা করা হয়নি। নতুন সূচিতে, সিরিজ ২৮ মে থেকে  অর্থাৎ পিএসএল ফাইনালের দুইদিন পরে শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ