ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বদনীকাঠি গ্রামে প্রবাসী সাইদুল ইসলাম খান ও সোহেল খান নামের দুই ভাইয়ের বসতঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

ক্ষতিগ্রস্ত সাইদুল ইসলাম খান বলেন, গতকাল আমরা সবাই আত্মীয়ের বাড়িতে যাই। কেউ না থাকায় রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে ঘরের আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিকসামগ্রী, কাপড়চোপড়সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

স্থানীয় হারুন খান জানান, রাতে খবর পেয়ে এসে দেখি, সম্পূর্ণ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিছুই অবশিষ্ট নেই।

প্রতিবেশী জাকির হোসেন খান বলেন, রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ টিন পোড়ার শব্দ পাই। ঘুম ভাঙার পর চিৎকার চেচামেচি করে সবাইকে ডাকি। ততক্ষণে আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু নেভানোর আগেই বাড়ির সব মালামাল পড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনার সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে ছিল। এ বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ লক ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের গুজরাটে সেতুধসে নিহত ৯ জন 

ভারতের গুজরাটে ভদোদরার পাদ্রা তালুকায় গম্ভীরা-মুজপুর সেতুর একটি অংশ ধসে পড়েছে। বুধবার সকালে ব্যস্ততম সড়কে হঠাৎ ধসে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  এ সময় অন্তত নয়জন নিহত হন এবং কয়েকটি গাড়ি মহিসাগর (মাহি) নদীতে পড়ে যায়। আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন।

ভেঙে পড়া এ সেতুটি ভদোদরা ও আনন্দ জেলাকে সংযুক্ত করেছে। এটি ভেঙে পড়ায় দুটি ট্রাক, একটি বোলেরো এসইউভি এবং একটি পিকআপ ভ্যান পানিতে তলিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ বিকট শব্দ শোনা যায়, তারপরই সেতুর একটি অংশ ভেঙে যানবাহনগুলো পানিতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী, স্থানীয় পুলিশ ও ভদোদরা জেলা প্রশাসন উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধারকাজে যোগ দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার পর প্রশাসন এলাকা ঘিরে রেখেছে। এ ছাড়া সেতুধসের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মধ্য গুজরাটকে সৌরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। এক বাসিন্দা বলেন, অনেকবার সতর্ক করার পরও সেতুর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা উপেক্ষা করা হয়েছে। এটি শুধু দুর্ঘটনার জন্য নয়, আত্মহত্যার জায়গা হিসেবেও কুখ্যাত।

কংগ্রেস নেতা অমিত চাভদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, আনন্দ ও ভদোদরা জেলার মূল গম্ভীরা সেতু ধসে পড়েছে। এসময় অনেক গাড়ি নদীতে পড়েছে। এতে বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনকে দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বিকল্প রাস্তা চালু করতে হবে।

প্রশাসন জানিয়েছে, শিগগির এলাকার অন্যান্য সেতুরও টেকনিক্যাল পরিদর্শন ও নিরাপত্তা অডিট করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ