মানব সভ্যতা বিকশিত হয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দীব্যাপী। প্রতিটি প্রজন্ম সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখে। তারুণ্য হলো জীবনের সবচেয়ে কর্মতৎপর সময়। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে তারুণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারুণ্য নতুন বিষয় শিখতে আগ্রহী। তারা যুক্তি প্রয়োগের চেষ্টা এবং প্রবীণদের পুরোনো চিন্তাধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জাতির স্বার্থেই তাদের ক্ষমতায়ন দরকার। তাদের ব্যক্তিগত দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য জ্ঞানার্জনে সহায়তা করা দরকার। সমাজকে তাদের লুকানো সম্ভাবনা বুঝতে হবে। সমাজের সমস্যা সম্পর্কে তাদের সংবেদনশীল করা এবং তারা কীভাবে এসব নির্মূলে অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে তাদের জ্ঞান দিতে হবে।
সময়ের গুরুত্ব বোঝা তরুণদের দায়িত্ব। তাদের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময়ানুবর্তিতা অপরিহার্য। তরুণদের জীবনে শৃঙ্খলার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হবে।
যৌবন আবেগে ভরপুর। শৃঙ্খলা না থাকলে তরুণরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। পদক্ষেপ নেওয়ার আগে চিন্তা করা দরকার। তরুণদের আবেগপ্রবণ হওয়া উচিত নয়। এভাবেই তরুণরা একটি চিন্তাশীল সমাজ গঠন করতে সক্ষম হবে। তা ছাড়া তরুণদের নৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। তারা যেন নিবেদিতপ্রাণ হয়, যা তাদের জাতির জন্য সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিতে চালিত করবে। পাশাপাশি তরুণদের অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সাহসী হতে হবে। নির্ভীক তরুণরাই পারে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে। তারা যে লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, তার প্রতি মনোযোগী হওয়া দরকার। তরুণ প্রজন্মের লক্ষ্যমুখী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
মনে রাখতে হবে, যে জাতির মধ্যে উদ্যমী, কৌতূহলী এবং কঠোর পরিশ্রমী তরুণ আছে এবং তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়, সে জাতি পিছিয়ে থাকতে পারে
না। আমাদের দেশের তরুণ শক্তিকে
যাতে কাজে লাগাতে পারি, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
আব্দুল্লাহ আল জান্নাত নেওয়াজ: সহকারী প্রকৌশলী, এসেনসিয়াল ড্রাগ্স
কোম্পানি লিমিটেড
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তর ণ পদক ষ প ন দরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন:
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।
তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।
আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।
এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।
ঢাকা/আমিনুল