Samakal:
2025-07-09@08:47:12 GMT

তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগান

Published: 23rd, May 2025 GMT

তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগান

মানব সভ্যতা বিকশিত হয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দীব্যাপী। প্রতিটি প্রজন্ম সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখে। তারুণ্য হলো জীবনের সবচেয়ে কর্মতৎপর সময়। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে তারুণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারুণ্য নতুন বিষয় শিখতে আগ্রহী। তারা যুক্তি প্রয়োগের চেষ্টা এবং প্রবীণদের পুরোনো চিন্তাধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জাতির স্বার্থেই তাদের ক্ষমতায়ন দরকার। তাদের ব্যক্তিগত দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য জ্ঞানার্জনে সহায়তা করা দরকার। সমাজকে তাদের লুকানো সম্ভাবনা বুঝতে হবে। সমাজের সমস্যা সম্পর্কে তাদের সংবেদনশীল করা এবং তারা কীভাবে এসব নির্মূলে অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে তাদের জ্ঞান দিতে হবে। 
সময়ের গুরুত্ব বোঝা তরুণদের দায়িত্ব। তাদের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময়ানুবর্তিতা অপরিহার্য। তরুণদের জীবনে শৃঙ্খলার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হবে।
যৌবন আবেগে ভরপুর। শৃঙ্খলা না থাকলে তরুণরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। পদক্ষেপ নেওয়ার আগে চিন্তা করা দরকার। তরুণদের আবেগপ্রবণ হওয়া উচিত নয়। এভাবেই তরুণরা একটি চিন্তাশীল সমাজ গঠন করতে সক্ষম হবে। তা ছাড়া তরুণদের নৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। তারা যেন নিবেদিতপ্রাণ হয়, যা তাদের জাতির জন্য সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিতে চালিত করবে। পাশাপাশি তরুণদের অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সাহসী হতে হবে। নির্ভীক তরুণরাই পারে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে। তারা যে লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, তার প্রতি মনোযোগী হওয়া দরকার। তরুণ প্রজন্মের  লক্ষ্যমুখী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
মনে রাখতে হবে, যে জাতির মধ্যে উদ্যমী, কৌতূহলী এবং কঠোর পরিশ্রমী তরুণ আছে এবং তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়, সে জাতি পিছিয়ে থাকতে পারে 
না। আমাদের দেশের তরুণ শক্তিকে 
যাতে কাজে লাগাতে পারি, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

আব্দুল্লাহ আল জান্নাত নেওয়াজ: সহকারী প্রকৌশলী, এসেনসিয়াল ড্রাগ্স 
কোম্পানি লিমিটেড
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: তর ণ পদক ষ প ন দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ নারীকে হত্যা: ৮ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ী গ্রামে দুই সন্তানসহ নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় আট আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শুনানি শেষে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মমিনুল হক তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কুমিল্লার আদালত পুলিশের পরিদর্শক সাদেকুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে তিন খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত সোমবার দুপুরে আদালতে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বুধবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়। আজ শুনানির সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন‘মূল হোতা’ গ্রেপ্তার না হওয়ায় চারদিক থেকে ‘খুনের হুমকি পাচ্ছে’ পরিবার০৭ জুলাই ২০২৫

আদালত পুলিশের পরিদর্শক সাদেকুর রহমান বলেন, মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আট আসামির সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হলেও আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে হেফাজতে নেবেন।

আট আসামির মধ্যে ঘটনার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত মামলার ৩ নম্বর আসামি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাচ্চু মিয়া রয়েছেন। বাচ্চু মিয়া ছাড়া অন্য সাতজন হলেন কড়ইবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মামলার ৫ নম্বর আসামি রবিউল আওয়াল, বাচ্চু মিয়ার ছেলে সন্দেহভাজন আসামি আতিকুর রহমান, রবিউল আওয়ালের ছেলে মো. বায়েজ, মামলার ৩৩ নম্বর আসামি ও পাশের হায়দরাবাদ গ্রামের দুলাল এবং তাঁর ছেলে সন্দেহভাজন আসামি আকাশ, মামলার ১৮ নম্বর আসামি নাজিমউদ্দীন বাবুল এবং ১৯ নম্বর আসামি মো. সবির আহমেদ।

আরও পড়ুনস্থানীয় ইউপি সদস্যের পরিকল্পনায় মুরাদনগরে ‘মব’ সৃষ্টি করে তিনজনকে হত্যা০৫ জুলাই ২০২৫

গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কড়ইবাড়ী গ্রামে ‘মব’ সৃষ্টি করে মা, মেয়ে, ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত তিনজন হলেন কড়ইবাড়ী গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), তাঁর ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি (২৯)। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন রোকসানার আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৭)। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে তিনি চিকিৎসাধীন।

হত্যার ঘটনায় শুক্রবার রাতে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন রোকসানা বেগমের বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে স্থানীয় আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহকে। মামলা হওয়ার পর সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশের সদস্যরা হত্যার ঘটনায় ওই আটজনকে গ্রেপ্তার করেন।

এদিকে তিন খুনের ঘটনায় নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রধান আসামি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ পলাতক। সোমবার রাতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) মামলাটি হস্তান্তর করা হয়।

মামলাটির নতুন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার চক্রবর্তী আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান আসামিসহ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আজ আট আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে, তাঁদের দু-তিন দিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ