অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদসহ আটটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। আগামীকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বৈঠকের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় যমুনায় এই বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম তাঁর দলের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেবেন।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী আন্দোলন ছাড়াও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, গণ অধিকার পরিষদ, নেজামে ইসলামী পার্টি ও হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা আগামীকালের এই বৈঠকে অংশ নেবেন। বৈঠকে সংস্কার, নির্বাচন ও স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় নিয়ে পরামর্শ দেবেন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা।

এদিকে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর যমুনায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। এরপর জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের আলোচনার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এসব বৈঠক হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

“আপনি ইংরেজি শিখলেন কোথায়?”- লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে  ট্রাম্প

লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাইর ইংরেজি কথায় মুগ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে জিজ্ঞাসা করেন— “আপনি ইংরেজি শিখলেন কোথায়?”

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার হোয়াইট হাউসে একদল আফ্রিকান নেতার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিচ্ছিলেন। আলোচনার একপর্যায়ে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই ইংরেজিতে কথা বলা শুরু করলে ট্রাম্প চমকে যান এবং প্রশ্ন করেন, “এত ভালো ইংরেজি আপনি শিখলেন কোথায়?”

বোয়াকাই বলেন, “লাইবেরিয়া থেকেই”। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “এটা বেশ মজার। আমরা এখানে যারা বসে আছি, তাদের মধ্যে অনেকেই এত ভালো ইংরেজি বলতে পারেন না।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্য শুনে বোয়াকাই হালকা হাসলেন, তবে বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও বিশ্লেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যদিও পশ্চিম আফ্রিকর দেশ লাইবেরিয়ার সরকারি ভাষা ইংরেজি। তবে ট্রাম্প জানতেনই না লাইবেরিয়ার সরকারি ভাষা ইংরেজি।

ট্রাম্প যখন আফ্রিকান নেতাদের স্বাগত জানাচ্ছিলেন, তখন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “লাইবেরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু। আমরা ‘আমেরিকাকে আবার মহান করে তোলার’ নীতিকে সমর্থন করি। আমরা শুধু এই সুযোগের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”

এই বক্তব্যের পরই ট্রাম্প তার ইংরেজি দক্ষতা নিয়ে মন্তব্য করেন।

লাইবেরিয়া এমন একটি দেশ যা ১৮২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই মুক্তি পাওয়া আফ্রিকান-আমেরিকানদের উপনিবেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তখন কিছু শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান মনে করতেন দাসপ্রথা শেষ হলে কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য আলাদা জায়গা দরকার, এই ভাবনার ফলেই গড়ে ওঠে লাইবেরিয়া। ফলে দেশটির সরকারি ভাষা ইংরেজি, যদিও স্থানীয় বহু আদিবাসী ভাষাও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ