পণ্য রপ্তানি বাড়ছে। ডলার–সংকট কাটিয়ে আমদানিও স্বাভাবিক হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির ওপর ভর করে কনটেইনার পরিবহনে নতুন উচ্চতায় জায়গা করে নিল বিশ্বের ৬৭তম অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম বন্দর। সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রায় ৩২ লাখ ৯৬ হাজার একক কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। কনটেইনার পরিবহনে বিগত ৪৮ বছরের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা।

এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ২০২১-২২ অর্থবছরে। সেবার সাড়ে ৩২ লাখ কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল, যা এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তৃতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক কনটেইনার পরিবহনের রেকর্ড রয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে।

বন্দরের হিসাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল ৩১ লাখ ৬৮ হাজার একক, অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি টার্মিনাল, কমলাপুর কনটেইনার ডিপো ও পাঁনগাও নৌ টার্মিনালে এসব কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। এ হিসাবে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যবাহী এবং খালি কনটেইনার রয়েছে।

কনটেইনার পরিবহনে প্রবৃদ্ধি হলেও বন্দরের কার্যক্রম অন্য সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হয়েছে বিদায়ী অর্থবছরে। অর্থবছরের শুরুতে জুলাই-আগস্টে আন্দোলন কর্মসূচি, অর্থবছর শেষে কাস্টমসের শাটডাউন কর্মসূচি, পরিবহন ধর্মঘটসহ নানা কারণে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, অর্থবছরের শেষে আন্দোলন কর্মসূচি না হলে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন আরও বাড়ত। এরপরও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দরের এ সাফল্য এসেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে মোট পণ্য পরিবহনের ২৩ শতাংশ কনটেইনার আনা-নেওয়া হয়। বাকি ৭৭ শতাংশ হচ্ছে কনটেইনারবিহীন পণ্য। যেমন খোলা পণ্য, জ্বালানি ও ভোজ্যতেল। পণ্যের পরিমাণে কম হলেও সবচেয়ে মূল্যবান পণ্য আনা হয় কনটেইনারে। যেমন শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনি যন্ত্রপাতি, বাণিজ্যিক পণ্য কনটেইনারে আসে। আবার রপ্তানির পুরোটাই যায় কনটেইনারে। বাংলাদেশে কনটেইনার পরিবহনের জন্য দুটি বন্দর রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরেই ৯৯ শতাংশ কনটেইনার পরিবহন হয়। মোংলায় পরিবহন হয় ১ শতাংশ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ আরও বেড়ে ৩১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। গত ২৮ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। এরপর ওই মাসের ১৫ তারিখ সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার হয়। এছাড়া সব সময়ই এখনকার চেয়ে রিজার্ভ কম ছিল বলে জানা গেছে।

গ্রস রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে ২৬ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি মেনে হিসাব প্রকাশের পর থেকে যা সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে গ্রস রিজার্ভের পাশাপাশি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

২০২৩ সালের জুনে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে নেমে যায় ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে এখন বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান. রিজার্ভ বৃদ্ধির মূল কারণ অর্থ পাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ। যে কারণে চলতি অর্থবছরের দুই দিন বাকি থাকতেই প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। আবার আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ বিভিন্ন উৎস থেকে সরকার ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ পেয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লুকিয়েও বাঁচেন না কাব্য, ক্যামেরাম্যান খুঁজেই ফেলে!
  • ইইউর বাইরের দেশে নতুন ৫ লাখ কর্মভিসা দেবে ইতালি
  • বেরোবিতে নোটিশ ছাড়াই ভর্তি ফি দ্বিগুণ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
  • ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬,৫০০ ছুঁয়েছে
  • প্রথমবারের মতাে ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স
  • রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার
  • গল্পের প্রয়োজনে অন্তরঙ্গ দৃশ্য করেছি: রাজ রিপা
  • ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরো ৮১ ফিলিস্তিনি
  • সিলিকন ভ্যালিতে চাকরি পেলেন ইরফান, বেতন বছরে সাড়ে তিন কোটি