জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসিওরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় আইকিউএসি এর অফিসে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

আইকিউএসি এর পরিচালক অধ্যাপক ড.

মো. সোহেল রানার সভাপতিত্বে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। 

অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, জাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহম্মদ আলী রেজা, ডেপুটি রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান আরিফ।  

এ সময় আইকিইউএসি এর অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নঈম আজিজ আনসারী, অধ্যাপক ড. শামীম আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনকালে জাবি উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অটোমেশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমে সফটওয়্যারের ব্যবহার অটোমেশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের সূচনা। যেকোন কাজে দক্ষতা অর্জন খুব জরুরি এবং এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।”

প্রশিক্ষণ কর্মশালার সফলতা প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, “অটোমেশন করা সম্ভব হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। অটোমোশনে সেবা দিতে সময় কম লাগবে এবং পরিশ্রমও কমে যাবে। এতে প্রশাসন ও শিক্ষার্থী উভয়ই উপকৃত হবে।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বদলি নীতিমালা সংশোধনের দাবি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দাবি করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে নীতিমালা ২০২৪ এর আওতাভুক্ত জেনারেল শিক্ষকদের নিজ বিষয় ও পদের অনুকূলে যেকোনো অধিদপ্তরে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে এ বদলির দাবি জানান তারা 

বর্তমানে দেশে প্রায় ৩৮ হাজার ৩২২টি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ হাজার ৫৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬ হাজার ৫১৬ টি এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে অন্তত ৪ হাজার।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শূন্যপদে বদলি নীতিমালা ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। এ জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বদলি নীতিমালার মাধ্যমে জেনেছি, স্ব স্ব অধিদপ্তর স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু আমাদের প্রথম থেকেই দাবি ছিল অধিদপ্তর নির্বিশেষে শূন্যপদে বদলি চালু করা। স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি অধিদপ্তরের সাধারণ শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য (ইনডেক্স) বদলি সিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করে সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সমপদ/সমস্কেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেকোনো অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ দেওয়া অতীব জরুরি।

তারা বলেন, প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাদরাসা ও কারিগরির জেনারেল শিক্ষকদের শুধু নিজস্ব অধিদপ্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বদলি করলে জেনারেল শিক্ষকদের সঙ্গে চরম বৈষম্য করা হবে। কারণ মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের (মাত্র ১২ হাজারের মত) সংখ্যা স্কুল-কলেজের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ। মাদরাসা/কারিগরির জেনারেল শিক্ষকদের সঙ্গে এমন বৈষম্য বর্তমান বৈষম্যবিরোধী সরকারের নীতির পরিপন্থি।

বক্তারা আরও বলেন, এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্যপদের বদলি নীতিমালা-২০২৪ সংশোধন করে সব বৈষম্য দূর করে মাদরাসা ও কারিগরি থেকে স্কুল-কলেজে এবং স্কুল-কলেজ থেকে মাদরাসা ও কারিগরিতে যাওয়ার জন্য একই সফটওয়্যারের অথবা ইনডেক্স ট্রান্সফারিং মাধ্যমে দ্রুত বদলির ব্যবস্থা চালুর দাবি জানাচ্ছি।

মানবন্ধনে সংগঠনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক সাকিবুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মো. শরিফুল, মো. আজাদ, প্রভাষক হুসাইন আলী, মো. আজিজুল হক প্রমুখ।

ঢাকা/রায়হান/মেহেদী 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের সময় বাড়লো
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি শুরু অক্টোবরে
  • বদলি নীতিমালা সংশোধনের দাবি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের