ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক শিক্ষা মেলা। আগামী ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে প্যান প্যাসিফিক  সোনারগাঁও হোটেলে।

‘এনআরবিসি ব্যাংক নিবেদিত দ্বাদশ আন্তর্জাতিক এডুকেশন এক্সপো ২০২৫’ ফরেন অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ফ্যাকড-ক্যাব) আয়োজন করছে।

মেলাটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী, পেশাজীবী এবং দর্শনার্থীদের জন্যে উম্মুক্ত থাকবে। মেলা চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা স্পট অ্যাডমিশন, বিদেশে ক্যারিয়ার গড়া, স্কলারশিপ সুবিধাসহ ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ নিয়ে আয়োজিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এই আন্তর্জাতিক শিক্ষা মেলা-তে বিশ্বের ৪৫টির বেশি দেশের এক হাজারের বেশি টপ র‍্যাঙ্কিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি তথ্য ও স্কলারশিপ সুবিধা সম্পর্কে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা মেলায় এসে জানতে পারবে।

এবারের এই আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউরোপের দেশসমূহ, মালয়েশিয়া, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরো অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। তারা শিক্ষার্থীদের কোর্স সিলেকশন, ভর্তি প্রক্রিয়া, ভিসা প্রোসেসিং, স্কলারশিপ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করবেন। মেলায় দেশের প্রথম সারির ৬০টির বেশি এডুকেশন কনসালটেন্সি ফার্ম এর পাশাপাশি টোফেল, টেন মিনিটস স্কুল, ব্যাংকসমূহ একই ছাদের নীচে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণে সহায়তা দিবে।

মেলার সার্বিক দিক তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

এ সময় জানানো হয়, মেলায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে অন-দ্য-স্পট অ্যাডমিশন এবং ফ্রি অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসিং এর সুযোগ। এছাড়াও এক্সপোতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করে জিতে নিতে পারেন ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন, ফ্রি এয়ারলাইন্স টিকিট, আইএলটিএস, ক্যাশব্যাক এবং সর্বোচ্চ ১০০ ভাগ স্টাডি স্কলারশিপ সুবিধাসহ আকর্ষণীয় উপহার।

এক্সপো চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তাদের পছন্দসই প্রোগ্রাম, টিউশন ফি এবং ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন।বিশেষ কনসালটেশন বুথগুলোতে পার্সোনালাইজড গাইডেন্স পাওয়া যাবে, যা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষা লক্ষ্য অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষ সহায়তা করবে। দুই দিনব্যাপী এই শিক্ষা মেলায় অর্ধ-লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করতে পারেন বলে জানায় এর আয়োজকরা।

দ্বাদশ আন্তর্জাতিক এডুকেশন এক্সপো'র কনভেনার, মোহাম্মদ আবুল হাসান বলেন, এই এক্সপো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তারা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে তাদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ার পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবেন। নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক এডুকেশন এক্সপো আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই।

ঢাকা/হাসান/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কনকনে শীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথনে ৩৫০ জন

কনকনে শীত নিয়ে এসেছে হিমেল হাওয়া। ঘরের বাইরে বেরোলেই সেই হাওয়া শরীরে কাঁপন ধরায়। এমন আবহাওয়ার মধ্যে আজ শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের তিতাস নদীর প্রথম সেতু এলাকায় জড়ো হন বিভিন্ন জেলার ৩৫০ দৌড়বিদ। সেখানে তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুরাও। তবে উচ্ছ্বাস প্রকাশে যেন কেউ কারও থেকে কম নয়। হাফ ম্যারাথনে অংশ নিতেই তাঁদের এই জমায়েত।

আজ সকালে এই হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটি (বিআরসি)। আয়োজকেরা জানান, চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন দৌড় হয়। এর মধ্যে ছিল ২ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার।

আয়োজক, অংশগ্রহণকারী ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, সূর্য ওঠার আগেই ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে দৌড়বিদেরা জেলা শহরের তিতাস নদীর প্রথম সেতুর ওপর জড়ো হতে শুরু করেন। সকাল ৬টায় প্রথমে ২১ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীরা সেখান থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে ৫ ও ১০ কিলোমিটারের দৌড়বিদেরা রওনা দেন। সর্বশেষ সকাল ৭টায় শিশুদের দুই কিলোমিটারের দৌড় শুরু হয়।

২১ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন ৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ জন ও নারী একজন। ১০ কিলোমিটারে অংশগ্রহণ করেন ১৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬৬ জন ও নারী দুজন। ৫ কিলোমিটারে অংশ নেন ৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ জন ও নারী ১০ জন। ২ কিলোমিটার দৌড়ে ৪৩ জন শিশু অংশ নেয়।

দৌড় প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বয়সী দৌড়বিদের পাশাপাশি ভারত, জাপান, নেপাল ও ডেনমার্কের চারজন অংশ নেন। জেলা শহরের তিতাস নদীর ওপর নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সংযোগ সড়ক কালীবাড়ি মোড় থেকে বিজয়নগরের নূরপুর জিসি সড়ক (সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পথে দৌড়বিদেরা ছড়িয়ে পড়েন। নির্দেশিত পথ ধরে প্রত্যেকে নিজের নির্ধারিত দূরত্ব অনুযায়ী দৌড় সম্পন্ন করেন।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মুহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, ‘১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিয়েছি। ভালো লাগছে। হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত হাঁটা ও দৌড়ের বিকল্প নেই।’

দৌড় শেষের ফিনিশিং লাইনে পৌঁছান এক দৌড়বিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কনকনে শীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথনে ৩৫০ জন
  • সিকৃবিতে শিবিরের ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা