‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করলেন ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
Published: 13th, March 2025 GMT
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সেবা নিজেদের অধীন রাখতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত নির্বাচন ভবনের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান করেন।
শুরু থেকেই এনআইডি সেবা দিয়ে আসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এ সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে নিতে আইন সংশোধন করেছিল, তবে তা কার্যকর হয়নি।
এখন অন্তর্বর্তী সরকার জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্ট সেবা নিয়ে স্বতন্ত্র একটি কমিশন করার উদ্যোগ নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এনআইডি সেবা নিজেদের হাতে রাখতে কর্মসূচি পালন করছেন ইসির কর্মকর্তারা। ৫ মার্চ তাঁরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেন এবং কিছু সময় তাঁর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন। আজ তাঁরা সারা দেশে দুই ঘণ্টা ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করেন।
এতে আইডিয়া-২ প্রকল্পের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেন।
আজকের কর্মসূচি থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন। তিনি বলেন, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আইন বাতিল করে এনআইডি সেবা ইসির অধীন রাখার বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না পেলে আগামী বুধবার তিন ঘণ্টা অপারেশনাল হল্ট (কর্মবিরতি) কর্মসূচি পালন করা হবে।
এনআইডি ইসির অধীন থাকা উচিত: ইসি সচিবএদিকে আজ দুপুরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ইসির অবস্থান হচ্ছে এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীন থাকা উচিত। কারণ, এটা ২০০৭ সালে গড়ে ওঠেছে ইসির কাছে। ইসির কারিগরি দক্ষতা আছে, এখান থেকে কাম্য সেবা দিচ্ছে ইসি। তিনি বলেন, সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, এতে কোনো মন্তব্য করার সুযোগ তাঁর নেই। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মতামত দিতে পারবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে বাউলদের মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে হামলা, আহত ২
মানিকগঞ্জে বাউলদের ওপর হামলার বিচার ও বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে শহরের আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
‘তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে একদল যুবক এই হামলা চালান বলে অভিযোগ। হামলাকারীদের মারধরে দুজন বাউলশিল্পী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে ‘সম্প্রীতির ঐক্য, ঠাকুরগাঁও’ ব্যানারে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন আহ্বান করেন বাউলশিল্পীরা। কিন্তু মানববন্ধন শুরুর আগে বেলা দেড়টার দিকে আদালত চত্বর এলাকায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি শামসুল চিশতি ও ঠাকুরগাঁও পৌরসভার হঠাৎপাড়ার মোকলেস পাগলা নামে দুজন বাউলশিল্পীকে পেয়ে তৌহিদী জনতার ব্যানারে ৪০ থেকে ৫০ জনের একদল যুবক তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সারোয়ার আলম খান বলেন, বাউলশিল্পীদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ কারণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু মানববন্ধনের আগে কোর্ট চত্বর এলাকায় বাউলদের ওপর হামলা চালান একদল যুবক। বাউলশিল্পীদের লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠাকুরগাঁও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বলেন, কর্মসূচি পালনের জন্য বাউলশিল্পীরা আদালত চত্বরে জড়ো হচ্ছিলেন। এ সময় একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ মিছিল নিয়ে এসে বাউলশিল্পীদের ওপর হামলা চালান। প্রত্যেক মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। কিন্তু বাউলশিল্পীদের মারপিটের ঘটনা দুঃখজনক।