বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় দুই টিভি তারকা মুগ্ধ ছাপকার ও রাভিস দেশাই। এক বিবৃতিতে ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্তের কথা জানান তাঁরা। খবর বলিউড হাঙ্গামার
২০১৪ সালে জিটিভির সিরিয়াল ‘শতরঙ্গি শ্বশুরাল’-এর শুটিং সেটে তাঁদের পরিচয়। এরপর দ্রুতই দুজনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তাঁরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাভিস লিখেছেন, ‘অনেক ভাবনাচিন্তা করার পর আমি আর মুগ্ধ স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমাদের পথচলা শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একসঙ্গে আমাদের পথচলাটা দারুণ ছিল। দাম্পত্য জীবন শেষ হলেও বন্ধু হিসেবে আমাদের সম্পর্ক অটুট থাকবে।’
এই বিবৃতিতে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি ভক্তদের শ্রদ্ধাশীল হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন রাভিস।
টিভি সিরিজ ছাড়াও হিন্দি সিনেমা ‘হরর স্টোরি’, ‘কনট্রোল’, ‘বিজয় ৬৯’ ইত্যাদি সিনেমায় দেখা গেছে রাভিসকে।
অন্যদিকে মুগ্ধ ক্যারিয়ার শুরু করেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৯৫ সালে হিন্দি সিনেমা ‘আজমাইশ’-এ দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর করেছেন ‘জিতা’, ‘রূপনগর কে ছিটি’ ইত্যাদি মারাঠি সিনেমা।
আরও পড়ুন‘সিনেমা নিয়ে এই উন্মাদনা থাকা জরুরি’০৫ এপ্রিল ২০২৫তবে সিনেমার চেয়ে টিভিতে কাজ করেই বেশি পরিচিতি পেয়েছেন মুগ্ধ। গত এক দশকে করেছেন ১০টির বেশি টিভি সিরিয়াল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদা না দেওয়ায় চেয়ারম্যানের হাত-পা ভাঙ্গলো সন্ত্রাসীরা
চাঁদা না দেওয়ায় যশোরের চৌগাছার ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ঢালিকে (৪৭) পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা।
ইউনিয়নের মান্দারতলা এলাকায় বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে দুবৃর্ত্তরা তাকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
জিয়াউর রহমান ঢালি সদ্য কার্যক্রম স্থগিত হওয়া সংগঠন আওয়ামী লীগের ফুলসারা ইউনিয়নের সভাপতি।
চেয়ারম্যানের স্বজনের অভিযোগ, ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ চৌধুরী। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। এরপর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগনেতা জিয়াউর রহমান ঢালি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান।
দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী লিটনের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জনের একটি দল জিয়াউর রহমানের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষুদ্ধ হন লিটন। বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে লিটন ও তাদের সহযোগীরা পথরোধ করে। এরপর অস্ত্র ঠেকিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পরে হকিস্টিক দিয়ে দিই পা ও হাত ভেঙে দেয়।
ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান ঢালি বলেন, “চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে একটি পক্ষ আমাকে মেনে নিতে পারে না। আমাকে হত্যার চেষ্টা শুরু করে। স্থানীয় সন্ত্রাসী লিটন আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় আমার উপর হামলা চালিয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় লোকজন চলে আসায় তারা পালিয়ে যায়।”
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাসিবুর রহমান বলেন, ‘‘আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে বর্তমানে তিনি শঙ্কা মুক্ত।”
যশোর চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের একটি টিম কাজ শুরু করেছে। তদন্ত চলছে, এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’’
ঢাকা/রিটন/এস