জার্মানির রক্ষণশীল দলের নেতা ফ্রেডরিশ ম্যারৎস চ্যান্সেলর হওয়ার জন্য নজিরবিহীনভাবে পর্যাপ্ত ভোট সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার জার্মানির পার্লামেন্টে এ ভোটাভুটি হয়। এতে ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির কট্টর ডানপন্থি এএফডি নতুন নির্বাচন দাবি করেছে।  

সিডিইউ-সিএসইউ দলের নেতা ৬৯ বছর বয়সী ম্যারৎস গত ফেব্রুয়ারিতে জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হন। পরে তিনি মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের (এসপিডি) সঙ্গে জোট গঠনে চুক্তি সই করেন। চ্যান্সেলর পদের জন্য জার্মান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্ডেস্ট্যাগে যে ভোটাভুটি হয়, তাতে ম্যারৎস পেয়েছেন ৩১০ ভোট। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তাঁর প্রয়োজন ছিল ৩১৬ ভোটের। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, জোটের কমপক্ষে ১৮ আইনপ্রণেতা তাঁকে সমর্থন জানাননি। 

১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। চ্যান্সেলর হওয়ার ভোটে হেরে যাওয়ায় বড় ধরনের বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন ম্যারৎস। তিনি জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। চ্যান্সেলর হওয়ার পর আজ বুধবার তাঁর প্রতিবেশী ফ্রান্স ও পোল্যান্ড সফর করার কথা ছিল। অপ্রত্যাশিত হারে সেসব পরিকল্পনাও ভেস্তে গেল। বুন্ডেস্ট্যাগের প্রেসিডেন্ট জুলিয়া ক্লোয়েকনার বলেন, ৯ আইনপ্রণেতা ভোটদানে বিরত ছিলেন। ৩০৭ জন ম্যারৎসের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

ভোটাভুটির সময় নিয়মানুযায়ী বুন্ডেস্ট্যাগেই ছিলেন ফ্রেডরিশ ম্যারৎস। তাঁকে হতাশ ও হতবাক হতে দেখা যায়। তিনি সহকর্মীদের সামনে মর্মাহত অবস্থায় উঠে দাঁড়ান। লন্ডনের বেরেনবার্গের প্রধান অর্থনীতিবিদ হোলগার স্মিডিং বলেন, ‘এটি বেশ বড় ধরনের নেতিবাচক বিষয়। তাঁর (ম্যারৎস) এখনও নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এটি স্পষ্ট হয়ে গেল, তাঁর জোট ঐক্যবদ্ধ নয়। এতে তিনি ক্ষমতায় গেলেও সক্ষমতা থাকবে কম।’ 
রাজনৈতিক এ অস্থিরতার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জার্মানির শেয়ার বাজারেও। বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মূল্য পড়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পর ম্যারৎস প্রতিরক্ষা ও অবকাঠামোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিশাল ঋণ কর্মসূচির জন্য আইনি কাঠামো নিশ্চিত করেছিলেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ভোটে জিতেও চ্যান্সেলর হতে পারছেন না ম্যারৎস

জার্মানির রক্ষণশীল দলের নেতা ফ্রেডরিশ ম্যারৎস চ্যান্সেলর হওয়ার জন্য নজিরবিহীনভাবে পর্যাপ্ত ভোট সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার জার্মানির পার্লামেন্টে এ ভোটাভুটি হয়। এতে ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির কট্টর ডানপন্থি এএফডি নতুন নির্বাচন দাবি করেছে।  

সিডিইউ-সিএসইউ দলের নেতা ৬৯ বছর বয়সী ম্যারৎস গত ফেব্রুয়ারিতে জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হন। পরে তিনি মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের (এসপিডি) সঙ্গে জোট গঠনে চুক্তি সই করেন। চ্যান্সেলর পদের জন্য জার্মান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্ডেস্ট্যাগে যে ভোটাভুটি হয়, তাতে ম্যারৎস পেয়েছেন ৩১০ ভোট। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তাঁর প্রয়োজন ছিল ৩১৬ ভোটের। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, জোটের কমপক্ষে ১৮ আইনপ্রণেতা তাঁকে সমর্থন জানাননি। 

১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। চ্যান্সেলর হওয়ার ভোটে হেরে যাওয়ায় বড় ধরনের বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন ম্যারৎস। তিনি জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। চ্যান্সেলর হওয়ার পর আজ বুধবার তাঁর প্রতিবেশী ফ্রান্স ও পোল্যান্ড সফর করার কথা ছিল। অপ্রত্যাশিত হারে সেসব পরিকল্পনাও ভেস্তে গেল। বুন্ডেস্ট্যাগের প্রেসিডেন্ট জুলিয়া ক্লোয়েকনার বলেন, ৯ আইনপ্রণেতা ভোটদানে বিরত ছিলেন। ৩০৭ জন ম্যারৎসের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

ভোটাভুটির সময় নিয়মানুযায়ী বুন্ডেস্ট্যাগেই ছিলেন ফ্রেডরিশ ম্যারৎস। তাঁকে হতাশ ও হতবাক হতে দেখা যায়। তিনি সহকর্মীদের সামনে মর্মাহত অবস্থায় উঠে দাঁড়ান। লন্ডনের বেরেনবার্গের প্রধান অর্থনীতিবিদ হোলগার স্মিডিং বলেন, ‘এটি বেশ বড় ধরনের নেতিবাচক বিষয়। তাঁর (ম্যারৎস) এখনও নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এটি স্পষ্ট হয়ে গেল, তাঁর জোট ঐক্যবদ্ধ নয়। এতে তিনি ক্ষমতায় গেলেও সক্ষমতা থাকবে কম।’ 
রাজনৈতিক এ অস্থিরতার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জার্মানির শেয়ার বাজারেও। বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মূল্য পড়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পর ম্যারৎস প্রতিরক্ষা ও অবকাঠামোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিশাল ঋণ কর্মসূচির জন্য আইনি কাঠামো নিশ্চিত করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ