ভোটে জিতেও চ্যান্সেলর হতে পারছেন না ম্যারৎস
Published: 7th, May 2025 GMT
জার্মানির রক্ষণশীল দলের নেতা ফ্রেডরিশ ম্যারৎস চ্যান্সেলর হওয়ার জন্য নজিরবিহীনভাবে পর্যাপ্ত ভোট সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার জার্মানির পার্লামেন্টে এ ভোটাভুটি হয়। এতে ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির কট্টর ডানপন্থি এএফডি নতুন নির্বাচন দাবি করেছে।
সিডিইউ-সিএসইউ দলের নেতা ৬৯ বছর বয়সী ম্যারৎস গত ফেব্রুয়ারিতে জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হন। পরে তিনি মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের (এসপিডি) সঙ্গে জোট গঠনে চুক্তি সই করেন। চ্যান্সেলর পদের জন্য জার্মান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্ডেস্ট্যাগে যে ভোটাভুটি হয়, তাতে ম্যারৎস পেয়েছেন ৩১০ ভোট। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তাঁর প্রয়োজন ছিল ৩১৬ ভোটের। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, জোটের কমপক্ষে ১৮ আইনপ্রণেতা তাঁকে সমর্থন জানাননি।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। চ্যান্সেলর হওয়ার ভোটে হেরে যাওয়ায় বড় ধরনের বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন ম্যারৎস। তিনি জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। চ্যান্সেলর হওয়ার পর আজ বুধবার তাঁর প্রতিবেশী ফ্রান্স ও পোল্যান্ড সফর করার কথা ছিল। অপ্রত্যাশিত হারে সেসব পরিকল্পনাও ভেস্তে গেল। বুন্ডেস্ট্যাগের প্রেসিডেন্ট জুলিয়া ক্লোয়েকনার বলেন, ৯ আইনপ্রণেতা ভোটদানে বিরত ছিলেন। ৩০৭ জন ম্যারৎসের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ভোটাভুটির সময় নিয়মানুযায়ী বুন্ডেস্ট্যাগেই ছিলেন ফ্রেডরিশ ম্যারৎস। তাঁকে হতাশ ও হতবাক হতে দেখা যায়। তিনি সহকর্মীদের সামনে মর্মাহত অবস্থায় উঠে দাঁড়ান। লন্ডনের বেরেনবার্গের প্রধান অর্থনীতিবিদ হোলগার স্মিডিং বলেন, ‘এটি বেশ বড় ধরনের নেতিবাচক বিষয়। তাঁর (ম্যারৎস) এখনও নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এটি স্পষ্ট হয়ে গেল, তাঁর জোট ঐক্যবদ্ধ নয়। এতে তিনি ক্ষমতায় গেলেও সক্ষমতা থাকবে কম।’
রাজনৈতিক এ অস্থিরতার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জার্মানির শেয়ার বাজারেও। বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মূল্য পড়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পর ম্যারৎস প্রতিরক্ষা ও অবকাঠামোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিশাল ঋণ কর্মসূচির জন্য আইনি কাঠামো নিশ্চিত করেছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামার সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সামার সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করেছে। গত বুধবার এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের নানা বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন, নতুন প্রযুক্তির প্রভাব, দায়িত্বজ্ঞানহীন জনপ্রিয়তাবাদ ও বৈষম্য। এসব সংকট মোকাবিলায় একমাত্র তরুণ প্রজন্মই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তোমরা কৌতূহলী হও, প্রশ্ন করো, সামাজিক সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করো, যারা তোমার থেকে ভিন্ন তাদের প্রতি সম্মান দেখাও। বিভেদকে মনে না রেখে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করো। তোমাদের শিক্ষা যাতে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে, সেই চেষ্টাটাই সব সময় করো।’
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে আরও বেশি শিক্ষার্থী ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইরাসমাস’ কর্মসূচির আওতায় ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার সুযোগ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ইরাসমাস হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি আন্তর্জাতিক স্কলারশিপ কর্মসূচি, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিনিময় ও সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা একাডেমিক দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নিজেদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের দূত হিসেবে গড়ে তুলছে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন নারী শিক্ষার্থীকে ‘স্পেশাল রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড—সামার–২০২৫’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের কর্মময় জীবন নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাব ‘মনন’-এর নৃত্য পরিবেশনা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আয়োজনে ‘আই হ্যাভ গট দ্য পাওয়ার’ শীর্ষক প্রদর্শনী ছিল অনুষ্ঠানে।