তারকাদের নিয়ে নানা সময় বিভিন্ন ধরনের গুজব শোনা যায়। বিশেষ করে, প্রেমের গুজব বেশি রটে। সেখানে বলিউড তারকাদের নামই বেশি শোনা যায়। বছরজুড়ে কানে আসতে থাকে তাদের প্রেমের গুঞ্জন। এমন দাবি নব্বই দশকের আলোচিত বলিউড অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তারকাদের নিয়ে গুজব ছড়ানোর কারণ জানিয়েছেন সোনালি। অভিযোগের তীর ছুড়েছেন সংবাদ মাধ্যমের দিকে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে অতিরঞ্জিত শিরোনাম নিয়ে অনেকেই অভিযোগ জানান। একই কথা শোনা গেছে সোনালির মুখেও।

তিনি বলেন, “সে সময় ‘ক্লিকবেট’ বলে কিছু হতো না। কিন্তু তখন সাংবাদিকদের চটকদার শিরোনাম করার এতটাই পাগলামো থাকত, তাই সব ভুলভাল খবর লেখা হতো।”

সোনালি আরও জানিয়েছেন, তিনি যখন অভিনয় জগতে পা রাখেন, তখন বিভিন্ন ফিল্মি ম্যাগাজিনের বাড়বাড়ন্ত। অভিনেত্রীর কথায়, “নিজেদের ম্যাগাজিনের বিক্রি বাড়ানোর জন্য আমার নামে ভুল খবর ছাপা হতো। তাই আমার মনে হয়েছিল নিজের চামড়া মোটা করে নিতে হবে।”

তাই পরবর্তী সময়ে এই ধরনের কোনো রটনা শুনে বিচলিত হওয়া বন্ধ করে দেন সোনালি। তবে তাঁর মনে করা বিষয়টি সবাই সহজভাবে এড়িয়ে যেতে পেরেছেন, এমন নয়। এখনও অনেকে গুজব-গুঞ্জনের বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারেন না। যে কারণে সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতি তাদের এক ধরনের বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখেন সোনালি। সে সময়েই রাজনৈতিক নেতা বাল ঠাকরের ভাতিজা রাজের সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। কিন্তু বাল ঠাকরে ছিলেন ভীষণ কড়া। তাঁর কানে এ খবর পৌঁছতেই ভ্রাতুষ্পুত্রকে রীতিমতো শাসিয়েছিলেন। জানিয়ে দেন, এতে রাজনীতিতে প্রভাব পড়বে।

পারিবারিক সমস্যা তৈরি হবে। সব মিলিয়ে রাজ অসম্মানিত হবেন। কাকার প্রতাপের কাছে সে দিন হার মেনেছিলেন রাজ। দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন সোনালিকে। তার পরও সোনালি ভেঙে পড়েননি। অভিনয় ব্যস্ততার মাঝে ছিন্ন সম্পর্ককে ভুলে থাকার চেষ্টা করেছেন। যার সুবাদে তাঁর ক্যারিয়ারে জমা পড়েছে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা। যেখানে তাঁর সহশিল্পী ছিলেন আমির, শাহরুখ, সালমান, অজয় দেবগনসহ বলিউডের খ্যাতিমান সব অভিনেতা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামার সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সামার সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করেছে। গত বুধবার এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের নানা বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন, নতুন প্রযুক্তির প্রভাব, দায়িত্বজ্ঞানহীন জনপ্রিয়তাবাদ ও বৈষম্য। এসব সংকট মোকাবিলায় একমাত্র তরুণ প্রজন্মই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তোমরা কৌতূহলী হও, প্রশ্ন করো, সামাজিক সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করো, যারা তোমার থেকে ভিন্ন তাদের প্রতি সম্মান দেখাও। বিভেদকে মনে না রেখে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করো। তোমাদের শিক্ষা যাতে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে, সেই চেষ্টাটাই সব সময় করো।’

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে আরও বেশি শিক্ষার্থী ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইরাসমাস’ কর্মসূচির আওতায় ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার সুযোগ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ইরাসমাস হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি আন্তর্জাতিক স্কলারশিপ কর্মসূচি, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিনিময় ও সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা একাডেমিক দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নিজেদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের দূত হিসেবে গড়ে তুলছে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন নারী শিক্ষার্থীকে ‘স্পেশাল রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড—সামার–২০২৫’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের কর্মময় জীবন নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাব ‘মনন’-এর নৃত্য পরিবেশনা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আয়োজনে ‘আই হ্যাভ গট দ্য পাওয়ার’ শীর্ষক প্রদর্শনী ছিল অনুষ্ঠানে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ