অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে উপদেষ্টার পরিষদের এই বৈঠক আহ্বান করা হলো।

আরো পড়ুন:

আ.

লীগ নিষিদ্ধের দাবি: শাহবাগে গণজমায়েত শনিবার ৩টায়

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্বে রদবদল, সিইও পদ ছাড়লেন স্নিগ্ধ

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র উপদ ষ ট উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে, তবে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে: ব্রিফিংয়ে সামরিক মুখপাত্র

যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই আজ শনিবার সন্ধ্যায় ভারত জানিয়ে দিল, তারা যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভারতীয় বাহিনী প্রস্তুত থাকছে। ভারতীয় বাহিনী দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা সতর্ক।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে অন্য দিনের মতোই উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। এই কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান নানা অপপ্রচার চালিয়েছে অভিযোগ তুলে তাঁরা সেগুলো তুলে ধরেন।

কর্নেল সোফিয়া ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা দাবি করেন, পাকিস্তানের দাবি চীনের তৈরি জে এফ–১৭ যুদ্ধবিমান দিয়ে তারা ভারতের এস–৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এই প্রচার মিথ্যা। তারা প্রচার করেছে শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট ও ভুজের বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এটাও ভুয়া প্রচার। চণ্ডীগড় ও বিয়াসের অস্ত্র ভান্ডারও নাকি ধূলিসাৎ করেছে। এই দাবিও অসত্য।

এই দুই সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেন, পাকিস্তান আরও প্রচার করেছে ভারতীয় বাহিনী নাকি বেছে বেছে মসজিদ ভেঙেছে। এই প্রচারও পুরোপুরি অসত্য। ভারতীয় বাহিনী দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল। সংবিধানের প্রতি বিশ্বস্ত। তারা মূল্যবোধ রক্ষায় বিশ্বাসী। ভারতীয় বাহিনীর লক্ষ্য ছিল শুধু সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি। তাদের শিবির।

কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের দাবিমতে, এই কয়েক দিনে স্কারদু, সরগোদা, জাকোয়াবাদ, ভুলারিতে পাকিস্তানি সেনাঘাঁটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমান হানা রুখে পাল্টা আক্রমণ করার ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাঘাঁটিগুলো প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ