ঢাকাই সিনেমার উজ্জ্বল নক্ষত্র বিদ্যা সিনহা মিম। রুপালি পর্দা, ফ্যাশনের মঞ্চে কিংবা সামাজিক মাধ্যমে তিনি যেন এক সজীব কবিতা— যেখানে প্রতিটি ছবি, প্রতিটি রূপভঙ্গি হয়ে ওঠে মুগ্ধতার নতুন ভাষ্য।
সদা ব্যস্ততার মধ্যেও সময় পেলে মিম ছুটে যান প্রকৃতির কোলে। এবার গন্তব্য ছিল স্বপ্নের দ্বীপ মালদ্বীপ। কাজের দায় থাকলেও এই সফর যেন পরিণত হয় এক নীলিমায় মিশে যাওয়া মুহূর্তের মেলায়। সমুদ্রের নীল জলরাশি আর আকাশের অপার বিস্তারে হারিয়ে গেলেন মিম, আবার ফিরে এলেন ভক্তদের হৃদয়ে ছবি হয়ে, স্বপ্ন হয়ে।
মালদ্বীপের সাগরতীরে তোলা তার সদ্য প্রকাশিত ছবিগুলো যেন এক জলছবি। নীলের মধ্যে নীল হয়ে থাকা মিমের পরনে সাদা ফুলের নকশা আঁকা নীল টপস, যেন সমুদ্রের ঢেউ আর আকাশের মেঘের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গড়ে তুলেছে এক অপার্থিব দৃশ্য।
খোলা চুলের এলোমেলো উড়ান, নিখাঁদ ন্যাচারাল মেকআপের কোমল আভা আর মুখভরানো প্রাণহাসি— সব মিলিয়ে মিম যেন হয়ে উঠেছেন প্রকৃতির নিজেরই এক ভাষ্য। সেই হাসির ঝিলিক যেন সাগরের নীল জলে ছড়িয়ে পড়েছে, বাতাসের গানে ধ্বনিত হয়েছে।
এই ছবিগুলো শুধু ভক্তদের চোখকে শান্তি দেয়নি, বরং ডেকেছে নতুন করে ভ্রমণের নেশায়। প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়ার, সৌন্দর্যের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার। বিদ্যা সিনহা মিম আবারও প্রমাণ করলেন—তিনি কেবল পর্দার অভিনেত্রী নন, বরং একজন স্টাইল আইকন, একজন প্রকৃতিপ্রেমী কবি, যার প্রতিটি রূপ প্রকৃতির রঙে রাঙানো।
ভক্তদের মনভরে উঠেছে মুগ্ধতায়, প্রশংসায়, ভালোবাসায়—কারণ মিম যেন আবারও শিখিয়েছেন, সৌন্দর্য যখন সরলতায় মেলে ধরে, তখনই তা সবচেয়ে বেশি হৃদয় ছোঁয়।
ঢাকা/রাহাত//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কেবল ব্যক্তির বদল নয়, পুলিশের সংস্কারও প্রয়োজন: সামান্তা শারমিন
কেবল ব্যক্তির বদল নয়, বরং পুরো পুলিশ প্রশাসনের প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনের সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। গুম–খুন–নির্যাতনের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে পুলিশ বাহিনী। শুধুমাত্র একজন মানুষ পরিবর্তন করলেই যে এটা সংস্কার, তা আমরা কেউ বিশ্বাস করি না। এরকম কত মানুষ পরিবর্তন হলো! আওয়ামী লীগ তো কম পরিবর্তন করেনি। এভাবে পরিবর্তন হবে না। নীতিমালা ও আইনে পরিবর্তন আনতে হবে।
আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘নির্যাতন থেকে প্রতিরোধ: স্মৃতি, ন্যায়বিচার ও প্রতিবাদের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এনসিপির মানবাধিকারবিষয়ক সেলের আয়োজন করে।
সামান্তা শারমিন বলেন, একজন মানুষ গুম–খুনের শিকার হলে তার পরিবারও অসহায় হয়ে পড়ে। এসব পরিবারের ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের আমলে নির্যাতনের শিকার হওয়া সবাইকে স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, কেউ কি বলতে পারবেন যে, পুলিশ সংস্কার নিয়ে আমাদের শেষ আলাপটা কবে দেখেছেন? সর্বশেষ কোন রাজনৈতিক দল পুলিশ সংস্কার কমিশন নিয়ে আলাপ করেছেন? কিন্তু পুলিশ সংস্কার যদি না হয়, তাহলে যেই দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা পুলিশকে রাজনৈতিকভাবেই ব্যবহার করবে। এটা বাংলাদেশের বাস্তবতা। এ সময় তিনি গুম, খুন এবং নির্যাতন প্রতিরোধে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি নতুন সামাজিক ও রাজনৈতিক চুক্তির আহ্বান জানান।
সভায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার পিএইচডি গবেষক খন্দকার আবদুর রকিব, এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আকরাম হুসাইন ও এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার প্রমুখ।