বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আজ দুপুরে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও বরেণ্য সংগীতশিল্পী মো. খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, ‘মুস্তাফা জামান আব্বাসীর চলে যাওয়া সংগীত জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। কারণ, তিনি শুধু অনবদ্য কণ্ঠশিল্পী ছিলেন না, একই সঙ্গে ছিলেন সংগীত গবেষক, উপস্থাপক, লেখক, পরিচালক– এক কথায় দেশীয় সংস্কৃতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব। কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি কিংবদন্তি মরমী শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের সুযোগ্য উত্তরসূরি।’

খুরশীদ আলম আরও বলেন, ‘বড় মাপের এ সাংস্কৃতিককে কখনও মনে অহম ভর করতে দেখিনি। মানুষটি ছিলেন খুবই সহজ-সরল। আমরা যারা অনুজ তাদের সঙ্গেও অনায়াসে মিলেমিশে গান গাইতেন।’

স্মৃতিচারণ করে করে খুরশীদ আলম বলেন, ‘এখনও মনে পড়ে, তাঁর সঙ্গে চীন সফরের সে দিনগুলোর কথা। সেটি ছিল ১৯৭৭ সাল। আমার প্রথম বিদেশ সফর। সেখানে গিয়ে কীভাবে কী করব, তা নিয়ে কিছুটা ভয় ছিল। কিন্তু আব্বাসী ভাইয়ের সঙ্গে মেশার পর সব ভয়-সংকোচ মুহূর্তেই কেটে গিয়েছিল। আমরা তাঁর সঙ্গে দল বেঁধে কোরাস গানও গেয়েছি। তিনি লোকসংগীতে যেমন অতুলনীয়, তেমনি ইসলামী গান বিশেষ করে হামদ-নাতেও ছিলেন দারুণ পারদর্শী। নানা বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা যেমন ছিল, তেমনি ছিল অগাধ জ্ঞান।’

খুরশীদ আলমের কথায়, ‘সবকিছু মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সংস্কৃতি অঙ্গনের মহিরুহ; যার শূন্যতা কখনও পূরণ হবে না। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা, যেখানে থাকুন, তাঁর আত্মা যেন শান্তিতে থাকে।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৬ কোটির চুক্তি, মুস্তাফিজ পাবেন কত?

শেষ মুহূর্তে চলতি আইপিএলে দল পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের পরিবর্তে বাংলাদেশি বাঁহাতি পেসারকে নেওয়ার কথা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে দিল্লি, যা দ্রুতই ভাইরাল হয়ে ওঠে। ভারতীয় গণমাধ্যমেও গুরুত্ব দিয়ে প্রচারিত হয় খবরটি।

এই চুক্তির আর্থিক দিকটিও বেশ চমক জাগানিয়া। এক মৌসুমের জন্য মুস্তাফিজের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ কোটি রুপি। তবে প্রশ্ন উঠেছে—মাত্র তিনটি লিগ ম্যাচ বাকি থাকতে আইপিএলে ডাক পাওয়া মুস্তাফিজ কি পুরো ৬ কোটি রুপিই পাবেন?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে কিছুটা হতাশই হতে পারেন ফিজ ভক্তরা। কারণ, আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী চুক্তির সম্পূর্ণ অর্থ কোনো বদলি খেলোয়াড় পান না। আইপিএল নীতিমালার ধারা ৬.৬ অনুসারে, বদলি খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক মূল চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি হতে পারে না এবং তার যোগদানের আগে যতগুলো ম্যাচ হয়ে গেছে, সেই অনুপাতে অর্থ কেটে রাখা হয়।

অর্থাৎ, মুস্তাফিজ পুরো মৌসুমের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেও, তিনি খেলতে পারবেন কেবল শেষের কয়েকটি ম্যাচ। তাই তার আয় নির্ধারিত হবে ম্যাচ অনুপাতে। তবু এটুকু বলাই যায়, আইপিএলের ইতিহাসে এটাই বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক।

তবে শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজ আদৌ আইপিএল খেলতে পারবেন কি না, সেটাও এখনও নিশ্চিত নয়। বর্তমানে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন, সেখানে স্বাগতিক আমিরাতের বিপক্ষে ১৭ ও ১৯ মে শারজাহতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল।

এই সিরিজ চলাকালেই দিল্লি খেলবে তাদের পরবর্তী তিনটি ম্যাচ—১৮ মে গুজরাট টাইটান্স, ২১ মে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও ২৪ মে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে। প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনাও আছে দলটির, তাই মুস্তাফিজকে এখনই দলে পেতে আগ্রহী তারা।

তবে এখনও বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ছাড়পত্র বা এনওসি দেওয়া হয়নি। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ জানিয়েছে, আইপিএল বা বিসিসিআই এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে এনওসির বিষয়ে যোগাযোগ করেনি। যদিও আইপিএলের নাম তালিকায় থাকা মানেই এনওসির বিষয়টি আগেই নিশ্চিত হয়ে থাকে।

জাতীয় দলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘পাঁচজন পেসার থাকায় আমিরাত সিরিজে একজন না থাকলে খুব একটা সমস্যা হবে না। সেক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে মুস্তাফিজকে ছাড় দিতেই পারে।’

তবে বিসিবি সূত্রে আরও জানা গেছে, হয়তো ১৯ মে সিরিজ শেষ করে তবেই আইপিএলে যোগ দিতে পারবেন মুস্তাফিজ। তাই ফিজকে দিল্লির জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে কি না, তা জানতে অপেক্ষা আরও কিছু সময়ের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে টালবাহানা করছে: ফরহাদ মজহার
  • মূকাভিনয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছি
  • লেখকের স্বাধীনতা হরণের ইতিহাস লিখছি
  • নির্মাতা প্রভাত রায় ফের হাসপাতালে
  • গোল বন্যার ম্যাচে নিষ্প্রভ মেসি, জয়বঞ্চিত মায়ামি
  • রক মিউজিকে নতুন সুর
  • ৬ কোটির চুক্তি, মুস্তাফিজ পাবেন কত?
  • বিনয়ী, প্রতিবাদী সাম্যের হত্যা মানতে পারছে না কেউ
  • এই গরমে ডায়রিয়া হলে কী করবেন
  • আইপিএলের জন্য এখনও ছাড়পত্র চাননি মুস্তাফিজ