বন্দরের ফুলহর গরুর হাটের অনুমতি নিয়ে আতংকে এলাকাবাসী
Published: 10th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৭ নং ওর্য়াডের বন্দরের ফুলহরস্থ গরুর হাটের অনুমতি নিয়েই এলাকাবাসীর মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। জায়গার মালিক শিল্পপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন কোন স্বার্থে বা কি উদ্যোশে গরুর হাটের জায়গার অনুমতি দিয়েছে সে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে এলাকাবাসীকে।
নিজেদের জায়গায় হাটের অনুমতি দিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ আনোয়ার হোসেনের গভীর মিশনও থাকতে পারে। হাটের জায়গার অনুমতি দেয় ফ্যাসিস্ট সরকারের যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদের ঘনিষ্ঠ এজেন্ট বহুরূপী মোমেন মিয়াকে।
ফুলহর এলাকার শহিদুল্লা ওরফে পাইছার ছেলে মোমেন মিয়া আওয়ামীলীগে যোগদানকারী নেতা ও অহিদের ক্যাডার মোমেন মিয়া। অহিদের ছক ও আনোয়ার হোসেনের মাস্টার মাইন্ডের ঝালে মোমেন মিয়াকে অনুমতি দেয়। যা ১ ঢিলে ৩ পাখি কপোকাতের সামিল।
মাস্টার মাইন্ডার আনোয়ার হোসেন মোমেন মিয়াকে অনুমতি দেয়নি ওনি ফুলহর এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনার পথ তৈরি করে দিয়েছে। স্বৈরাচারী সরকারের যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ পলাতক থেকে কলকাঠি নাড়ছে মোমেন মিয়াকে দিয়ে আর আনোয়ার হোসেন মাস্টার গেইম পূর্বক অনুমতি দিয়েছে বলে সচেতন মহলের দাবী।
সূত্র মতে, নাসিক ২৭ নং ওর্য়াড বন্দরের ফুলহরে গরুর হাট করার জন্য জায়গার অনুমতি দেয় আনোয়ার হোসেন। জায়গার মালিক আনোয়ার হোসেন অনুমতি দিলেও তার বড় ভাই শিল্পপতি আলহাজ্ব এম জামাল উদ্দিন নিষেধ করার পরও আনোয়ার হোসেনের বিষয়টিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন সচেতন মহল।
নিজেদের জায়গা মোমেন মিয়াকে অনুমতি দিয়ে এলাকায় চর্থুরমুখী অরজগতা সৃষ্টির মাস্টার প্লান। পলাতক যুবলীগের নেতা অহিদুজ্জামান অহিদের হয়ে মোমেন মিয়া অনুমতি চাইলেই দিয়ে দেয়। এ খবর চাউর হওয়ার পরই বিএনপির ৩ গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে যাচ্ছে। স্বৈরাচারী সরকারের প্রেতাত্মারা যদি ফুলহরে হাট করে তাহলে বিএনপির নেতারা মুখে আঙুল দিয়ে বসে থাকবে।
অহিদের বিষধ পরিকল্পনা, আনোয়ার হোসেনের মাস্টার প্লানের কবলে ইতিমধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের ভিষণে হাট নিয়ে এলাকায় যেকোন সময় রক্তখয়ী সংর্ঘষের আশংকায় এলাকাবাসী। তিন মুখী পরিকল্পনায় কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটলে এর দায় নিবে কে এমনই প্রশ্ন সর্বত্র।
আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন জানান, গরুর হাট করার কথা মোমেনসহ কয়েকজন বলার পর অনুমতি দিয়েছি। এলাকার ছেলেরা যদি হাট করে কিছু টাকা পায় সেদিক বিবেচনা করে। জায়গায় হাট করার অনুমতি দিয়ে যে যন্ত্রণা পোহাতে হবে তা চিন্তাও করিনি।
স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে অহিদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন ও ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদানকারী মোমেন মিয়া। অহিদুজ্জামান অহিদের হয়ে মোমেন কাজ করতেছে এমন প্রশ্নে আনোয়ার হোসেন মৃদু হেসে বলেন, হাটের জায়গার বিষয়টি নতুনভাবে চিন্তা করে বন্ধ করে দিতে পারি।
মোমেন বিএনপি করে শুনেছি, তাদের মধ্যেই গ্রুপের শেষ নেই। আবার যদি অহিদের হয়ে মোমেন কাজ করতেছে সেখানেও যন্ত্রণা। শনিবার বিএনপির নেতা বাদলে ফোন দিয়েছিল। আলহাজ্ব এম জামাল উদ্দিন সাহেবতো হাটের জন্য জায়গার অনুমতি দিতে নিষেধ করেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন হ্যা, জায়গার বিষয়টি অনুমতি দিতে নিষেধ করেছে।
দেখি নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে, জায়গা দিয়ে উপকার করতে গিয়ে কোন অজাতব যন্ত্রণা পোহাতে চাই না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফুলহরে হাটের অনুমতি বাতিলের জন্য প্রশাসনের কঠোর ও জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলামের বিশেষ দৃষ্টি ও কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন জহিরুল ইসলামের সাথে কথা বলতে তার বাংলালিংক নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গর র হ ট এল ক ব স আলহ জ ব সরক র র হ ট কর এল ক য় ব এনপ ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে গণ–অভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আইভী কারাগারে
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে পোশাকশ্রমিক মিনারুল ইসলামের নিহত হওয়ার ঘটনায় করা হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁকে হাজির করা হলে শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেন বিচারক।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান প্রথম আলোকে বলেন, মিনারুল হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ ১২ নম্বর আসামি। এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২৬ মে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেলিনা হায়াৎকে গ্রেপ্তারের জন্য শহরের দেওভোগ এলাকায় তাঁর নতুন বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর আজ সকাল পৌনে ছয়টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে বহনকারী গাড়ির ওপর হামলা হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিবি রোডের কালীর বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় র্যাব ও পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান জানান, আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরকসহ মোট পাঁচটি মামলা আছে। মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান আছেন।
গত বছরের ২০ জুলাই সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আদমজী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন পোশাকশ্রমিক মিনারুল ইসলাম। শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরদিন গ্রামের বাড়িতে তাঁকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর নিহত মিনারুল ইসলামের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জে আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের গাড়িবহরে হামলা৩ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনঅভিযান শুরুর ৬ ঘণ্টা পর আইভীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৬ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনআইভীকে গ্রেপ্তারে বাসায় পুলিশ, বাইরে সমর্থকদের অবস্থান৮ ঘণ্টা আগে