আগামী সোমবার থেকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানাতে একমত হয়েছেন ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতারা। আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে ইউক্রেন।

দেশগুলোর নেতারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে এ প্রস্তাব করা হয়।

২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তিন বছর পার হলেও ইউক্রেনে হামলা বন্ধের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি দেশটি। মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও কিয়েভের পক্ষ থেকে দেওয়া এ ধরনের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল তারা। মস্কো আগেই সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, পশ্চিমা দেশগুলো যদি কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ না করে, তাহলে কোনো যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নেই।

ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে। ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপও এর মধ্যে রয়েছে। চলতি বছর বসন্তে ইউক্রেনে হামলা আরও জোরদার করে রাশিয়া।

আরও পড়ুনবিজয় দিবসে কুচকাওয়াজে পুতিনের পাশে সি, ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা অস্ত্রের মহড়া০৯ মে ২০২৫

গত শুক্রবার কিয়েভে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সতর্ক করে বলেছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইউক্রেনে একটি ‘বড় ধরনের বিমান হামলা’ হতে পারে।

এর মধ্যে গতকাল জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্ৎস, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও পোলান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিগা এক্সে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছেন, পাঁচ নেতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন।

আন্দ্রেই সিবিগা আরও বলেন, ইউক্রেন ও সব মিত্রদেশ সোমবার থেকে শুরু করে অন্তত ৩০ দিনের জন্য স্থল, আকাশ, সমুদ্রে পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত।

আরও পড়ুনইউক্রেনে প্রতি বর্গকিলোমিটার দখল করার দাম দাঁড়াচ্ছে ২৭ রুশ সেনার প্রাণ০৬ মে ২০২৫

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যেকোনো সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির সময় রাশিয়া চাইবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করুক।

পেসকভ বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে অস্ত্রসহায়তা বন্ধ না করলে তাঁরা সুবিধা পাবেন না। ইউক্রেন পূর্ণমাত্রায় সেনা মোতায়েন অব্যাহত রাখবে এবং নতুন সেনাদের ফ্রন্টলাইনে পাঠাতে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেন এ সময়ে নতুন সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতে ও সেনাদের বিশ্রাম দেওয়ার কাজে ব্যবহার করবে। তাহলে আমরা কেন ইউক্রেনকে এমন একটি সুবিধা দেব?’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

উত্তর কোরিয়ার ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র’ উন্মোচন করলেন

উত্তর কোরিয়ার নেতা জং উন দেশটির সর্বাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উন্মোচন করেছেন। ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত এক সামরিক কুচকাওয়াজে এই অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। 

শনিবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। 

আরো পড়ুন:

দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ‘বিশেষ অস্ত্র’ মোতায়েন করল উত্তর কোরিয়া

পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়তে না বললে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত কিম

প্রতিবেদনে বলা হয়, কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত অস্ত্রগুলোর মধ্যে ছিল হোয়াসং-১১এমএ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং হোয়াসং-২০ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলোকে উত্তর কোরিয়া দেশটির ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

পিয়ংইয়ংয়ে এই অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের মধ্যে ছিলেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ এবং ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা তো লাম।

উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হোয়াসং-২০ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা নিয়ে এখনো কোনো পরীক্ষা করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের পরমাণু নীতি প্রোগ্রামের স্ট্যান্টন সিনিয়র ফেলো অঙ্কিত পান্ডার মতে, “হোয়াসং-২০ আপাতত, উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার পারমাণবিক সরবরাহ ক্ষমতার উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক। দেশটির এই বছর শেষের আগেই তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে।”  আমাদের এই সিস্টেমটি পরীক্ষা করা হবে বলে আশা করা উচিত,” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের অঙ্কিত পান্ডা বলেছেন।

তিনি বলেন, “এই সিস্টেমটি সম্ভবত একাধিক ওয়ারহেড সরবরাহের জন্য তৈরি করা হয়েছে। একাধিক ওয়ারহেড বিদ্যমান মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ বৃদ্ধি করবে এবং ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অর্থপূর্ণ প্রতিরোধমূলক প্রভাব অর্জনের জন্য কিম যা প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তা বৃদ্ধি করবে।”

এছাড়া উত্তর কোরিয়া নতুন হোয়াসং-১১এমএ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে এমন এক ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত করেছে, যা ‘বুস্ট-গ্লাইড যান’ হিসেবে কাজ করে। এটি মূলত চ্যাপ্টা ও পাখনাযুক্ত একটি গ্লাইডার, যা লক্ষ্যবস্তুর দিকে যাওয়ার সময় অনিয়মিত পথ অনুসরণ করে, ফলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সেটি শনাক্ত করা বা আটকানো অত্যন্ত কঠিন।

সামরিক কুচকাওয়াজে দেওয়া  ভাষণে কিম জং উন বলেন, উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে ‘একটি অজেয় সত্তায় পরিণত হতে হবে যা সকল হুমকি ধ্বংস করবে’।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুষ্টিয়ায় দুই দিনে ১৪ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
  • পুতিন যুদ্ধ না থামালে ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেবেন ট্রাম্প
  • রাইজিংবিডিতে প্রতিবেদনের পর ১৪ রেলস্টেশনে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী দিয়েছে ঠিকাদার
  • শিল্পপতি বাবুলের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল সার্ভিস
  • উত্তর কোরিয়ার ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র’ উন্মোচন করলেন