শ্রীনগরে বিকট বিস্ফোরণ, জম্মুর আকাশে গোলাবারুদ ও ঝলকানি
Published: 11th, May 2025 GMT
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর বিকট বিস্ফোরণে শব্দ শোনা গেছে। আর জম্মুর আকাশে ঝলকানি দেখা গেছে। আজ শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভারত সরকারের একটি সূত্র অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মাথায় পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।
এ ঘটনার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে পোস্ট করেছেন। তিনি তাতে লেখেন, ‘সবে হওয়া যুদ্ধবিরতি কি তবে ছাইয়ে পরিণত হলো? শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।’
কর্তৃপক্ষ, বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীনগর ও জম্মুতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং জম্মুর আকাশে রাতের বেলায় গোলাবারুদ ও ঝলকানি দেখা গেছে, যা শুক্রবারের সন্ধ্যার ঘটনার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ এক্স হ্যান্ডলে এ কথা জানান। এরপর ভারত ও পাকিস্তানের কর্মকর্তারা আলাদা করে তা নিশ্চিত করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আগেও যেসব দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল
অন্তর্বর্তী সরকার গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এবারই প্রথম কোনো দলকে নিষিদ্ধ না করে, তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দখলদার পাকিস্তান সরকার। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগের তিনটি অংশ, পিডিপিসহ স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এবং সব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন চালু করেন শেখ মুজিব। গঠন করেন বাকশাল।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর বাকশালের কার্যক্রমসহ সব রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধ করা হয় সামরিক আইনে।
রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মো. সায়েম ১৯৭৬ সালে রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। এই সময়ে বাকশাল থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত করেন জোহরা তাজউদ্দিনসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। তবে নেতৃত্বের বিরোধে আওয়ামী লীগ (মালেক) এবং আওয়ামী লীগ (মিজান) দুই ধারায় বিভক্ত হয়। শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আসার পর আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ভেঙে আবার বাকশাল গঠিত হয়।
এর আগে ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় জামায়াতসহ নিষিদ্ধ সব দল রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ পায়। তবে সে বছরই ভোটের রাজনীতিতে ফিরতে পারেনি। জামায়াত নেতারা ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) নামের একটি দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন।
২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের শাসনামলে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেন। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত ও ছাত্রশিবিরিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত আগস্টে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি (পিবিএসপি) ও পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (পিবিসিপি) নিষিদ্ধ করা হয়। দুটি বামপন্থি মাওবাদী সংগঠন এখনও নিষিদ্ধ।
এ ছাড়া ২০০৫ সালে দেশজুড়ে বোমা হামলার পর জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশকে (জেএমবি) সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়। ২০০৯ সালে হিযবুত তাহ্রীর নিষিদ্ধ হয়। সবশেষ গত বছরের ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়।