খাল রক্ষায় এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
Published: 12th, May 2025 GMT
পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে খাল রক্ষায় এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, আর কিছু পারি না পারি, আসুন খালগুলো গভীর করে দেই। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করি। আশাকরি তাহলে জলাবদ্ধতা এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হবে।
সোমবার সকালে শুভাঢ্যা খাল খননকাজের প্রাক্কালে সরেজমিনে দেখার জন্য দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ এলাকা ও শ্মশানঘাট এলাকা যান পরিবেশ উপদেষ্টা। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি সব খাল বিল ভরাট করে বাড়িঘর বানিয়ে ফেলবেন। ড্রেন পরিষ্কার করবেন না, তাহলে তো জলাবদ্ধতা হবেই। আগামী অর্থবছরের মধ্যেই একনেকে পাস হওয়া ঐতিহ্যবাহী শুভাঢ্যা খাল খননকাজ সম্পন্ন হবে। কাজ সম্পাদন করবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। প্রায় ৩১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বুড়িগঙ্গা থেকে ধলেশ্বরী পর্যন্ত আনুমানিক ১৩ কিলোমিটার খাল খনন করবে সরকার। পরিবেশের ভারসাম্যর জন্যে খাল রক্ষায় এলাকাবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন নির্মাণ বর্জ্য খালে বালু, ইট, সিমেন্ট পাথর যত্রতত্র না ফেলার জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ করেন। খাল খনন করা হলে এই এলাকার মানুষ খালের সুফল ফিরে পাবেন।
তিনি আরও বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই শুভাঢ্যা খালের পানি প্রবাহের মুখগুলো ময়লা আবর্জনা আর দখলের কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, জনগণের টাকায় এই খাল খনন করা হবে। যাতে জনগণের অর্থ অপচয় না হয় এবং অর্থ যেন সাশ্রয় হয় সেই বিষয়ে সরকার দেখভাল করার জন্যই এই পরিদর্শনে আসা হয়েছে। এই খালের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গার্মেন্টস জোটসহ অন্যান্য সমস্ত ময়লা-আবর্জনা খালে না ফেলার জন্য এলাকাবাসীকে সজাগ থেকে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। আগামী বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দূর করণের জন্য সিটি কর্পোরেশনগুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কার্যক্রম শুরু হয়েছে । যাতে করে আগামী বর্ষা মৌসুমে সিটি কর্পোরেশন গুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়। এ ব্যাপারে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ রক্ষায় খাল খননের পর দুই পাশে সবুজায়নের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, খালের দুই পাশে প্রাকৃতিক নিয়মে পরিবেশ রক্ষায় বনায়ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের কাছে খালের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে আলোচনা করেছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টার একান্ত সচিব আবু নঈম, তথ্য কর্মকর্তা দীপঙ্কর বর, সহকারী একান্ত সচিব আশিকুর রহমান সমীসহ ঢাকা জেলা ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ খ ল পর স ক র এল ক ব স ক ন পর ব শ পর ব শ র উপদ ষ ট খ ল খনন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারির দেয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টিভিতে সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন বিবৃতিতে ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, তারা ‘ফিলিস্তিন-২’ মডেলের হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে।
আরো পড়ুন:
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত ইসরায়েল: ট্রাম্প
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র
সারির মতে, ‘লাখ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করে ও বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত করে’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘সফলভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে’।
সারিয়ার দাবি, বেনগুরিয়ন বিমান বন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি ইলাত, তেল আবিব ও আশকেলনের ‘তিনটি সংবেদনশীল স্থান’ লক্ষ্য করে ড্রোন হামলাও চালানো হয়েছে।
হুতি মুখপাত্র গোষ্ঠীর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় তাদের সামরিক অভিযান বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা ‘ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে’ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইয়েমেনের হুতি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতি গোষ্ঠী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গোষ্ঠীটি দাবি করেছে যে, তাদের এসব পদক্ষেপ অবরুদ্ধ গাজার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে। উত্তর ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান শত্রুতার সময় ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে নিজেদের একত্রিত করেছে।
হামলার প্রতিক্রিয়ায়, ইসরায়েল ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বেশ কয়েকবার বিমান হামলা চালিয়েছে, বিশেষ করে জ্বালানি ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে। স্থানীয় ইয়েমেনি কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় উত্তর ইয়েমেনে অনেক মানুষ হতাহত ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ