পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি গ্রেপ্তার
Published: 12th, May 2025 GMT
ঢাকার পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম রেজাউল করিম। আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ফোর সিজন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ আর এম মোজাফফর হোসেন আজ প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পিলখানা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
আদালত সূত্র জানায়, ১৬ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে তখন পিলখানায় নিহত হন ৭৪ জন। সেদিন পিলখানায় থাকা সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও নৃশংসতার শিকার হয়েছেন।
পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়। দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা। বিচারিক আদালত ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ মামলার রায় দেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে খালাস পান ২৭৮ জন। রায় ঘোষণার আগে চার আসামি মারা যান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আশুরা উপলক্ষে রাজশাহীতে তাজিয়া মিছিল
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে খালি পায়ে ও মাথায় কালো পতাকা বেঁধে ‘হায় হোসেন’, ‘হায় হোসেন’ মাতম তুলে রাজশাহীতে বের হয় তাজিয়া মিছিল। রবিবার (৬ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে নগরের রেলগেট এলাকা থেকে বের করা হয় এই মিছিল।
এছাড়া, সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের উপশহরে অবস্থিত শিয়া মসজিদ থেকে আরো একটি তাজিয়া মিছিল বের হয়। মিছিলটি বের করে আঞ্জুমানে আব্বাসীয়া। মিছিলটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সমাবেশ করে বিশ্ববাংলা ফাউন্ডেশন, রাজশাহী। সমাবেশে বক্তারা বলেন, শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হযরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার শোকাবহ ঘটনা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রেরণা জোগায়। সত্য ও সুন্দরের পথে চলার প্রেরণা জোগায়।
আরো পড়ুন:
একে-অপরকে ‘আ.লীগ ঘনিষ্ঠ’ বললেন দুই ভাই
৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার হয়েছেন রাবির অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী
১০ মহররম বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। দিনটি পবিত্র আশুরা নামে পরিচিত। আশুরা শব্দের অর্থ দশম। মহররম অর্থ সম্মানিত। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারবালার প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ