ইবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে থানায় সোপর্দ
Published: 12th, May 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সনদপত্র তুলতে এসে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের কৃষি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সায়মুম খান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি অফিসারদের সহায়তায় থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
সোমবার(১২ মে) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে বান্ধবীর সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় আটক হন সাইমুম খান।
আরো পড়ুন:
প্রতিবাদী জাতীয় সংগীতে উত্তাল টিএসসি
বাজেট বৈষম্যের প্রতিবাদে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঐক্য সমাবেশ
গত ২০২৪ সালে ৫ জুন সায়মুম ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের খাইরুল ইসলাম সৌরভকে বেয়াদবি করার অভিযোগে ছাদে নিয়ে নিচে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ভুক্তভোগী তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড.
সোমবার সন্ধ্যার পর ছাত্রলীগের ওই নেতা প্রধান ফটকে আছে- এমন খবর জানতে পেরে ভুক্তভোগী সৌরভসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি অফিসারদের সহায়তায় থানায় সোপর্দ করেন তারা।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছল ৫ জুন সন্ধা ৭টা ১৩মিনিটে ভুক্তভোগীর বন্ধু সিফাত সিদ্দিকির সহায়তায় তাকে কল দিয়ে কথা বার্তার অজুহাতে শহীদ আনাস হলের (তৎকালীন শেখ রাসেল হল) ছাদে নিয়ে যান সাইমুম খান। পরে জেরা করার একপর্যায়ে মারধর করে ও ছাদ থেকে ফেলে প্রাণনাশের হুমকি দেন সাইমুম। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী সিঁড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাক্কা দিয়ে সিঁডিতে ফেলে দেন তিনি। ফলে ভুক্তভোগী হাত-পায়ে আঘাত পান এবং তার রক্তক্ষরণ হয়।
অভিযুক্ত সায়মুম বলেন, “আমি সনদপত্র তুলতে এসেছি। ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করিনি। বাইরে বসে ছিলাম, হঠাৎ করে এমন আক্রমণ। আমি সঠিক জানি না, তারা কেনো এমন করেছে।”ভুক্তভোগী সৌরভ বলেন, “ওর গার্লফ্রেন্ড আমার বিভাগে পড়ে। আমার বান্ধবী। তার সঙ্গে একদিন আমি ঘুরেছিলাম। এতে সে আমাকে ডেকে ছাদে নিয়ে গিয়ে ভীষণভাবে মারধর করেছে, ছাদ থেকে ফেলে দিতে যাচ্ছিল। আমি অনেক কষ্টে তখন পালিয়ে আসছি।”
এ বিষয়ে জানতে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসানকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন জরুরি: জামায়াতের নায়েবে আমির
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন আয়োজন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
রোববার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভাটির আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা।
সভায় অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় সংসদ হলো রাষ্ট্র পরিচালনার মেরুদণ্ড। এই নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা বা ত্রুটি হলে পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তার আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচনী ব্যবস্থার বাস্তব পরীক্ষা জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘একটি রেলগাড়ির সামনে ইঞ্জিনের আগে কিছু মালবাহী বগি থাকে, যাতে দুর্ঘটনা ঘটলেও ইঞ্জিন অক্ষত থাকে। জাতীয় সংসদ ঠিক যেন সেই ইঞ্জিন—সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে পুরো ব্যবস্থাকে যাচাই করা দরকার।’
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন যদি বিতর্কিতও হয়, তাতে জাতীয় রাজনীতির তেমন ক্ষতি হয় না। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন ভেস্তে গেলে তার প্রভাব সর্বত্র পড়বে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্রবিরোধী চরিত্র’ বজায় রাখার অভিযোগ তুলে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘যারা আগের শাসকদের পদলেহন করেছে, তারা গণতন্ত্রের ধার ধারেনি। সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এদের রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হবে। দেশে কোনো টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি আর বরদাস্ত করা হবে না।’
তিনি জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অপরাধীদের বিচার এবং নির্বাচনী ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ একদা শোষকের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। কেউ যদি আবার জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, তবে নতুন করে আবারও জুলাইয়ের উত্তাল সময় আসবে।’
সভায় মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কবির আহমেদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. শামছুর রহমান প্রমুখ।