আমি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে চাই: রফিকুল আমীন
Published: 14th, May 2025 GMT
“আমি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে চাই” এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে রাজনীতিতে নিজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। একইসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
বুধবার (১৪ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ বক্তব্য দেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই সরকার পরিবেশবান্ধব, রাজনীতি বান্ধব। এখন অনেক দল গঠিত হচ্ছে। আমিও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে চাই। সংসদে যাওয়ার মতো প্রস্তুতি এখনই নেই, তবে ভবিষ্যতে আমাদের নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন জোটে যাব কি না।”
রফিকুল আমীন দাবি করেন, “দুদকের ভেতরে টর্চার সেল ছিল, যেখানে চোখ বেঁধে মুখে গরম পানি ঢালা হতো, ঝুলিয়ে রাখা হতো। আমার স্ত্রী ডেসটিনির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলেও তাকেও আসামি করা হয়েছে। আমার দুই সন্তান ১২ বছর ধরে মায়ের অভাবে কষ্টে বড় হয়েছে। তাদের আমি কোনো জবাব দিতে পারি না।”
তিনি বলেন, “আমাকে বিদেশে চলে যেতে বলা হয়েছিল। আমি বলেছি, যাব না। কারণ আমি জানি, তারা আমাকে ক্রসফায়ারে মারবে। এরপর তারা প্রস্তাব দেয়, ডেসটিনি বন্ধ করে দিলে এক সপ্তাহের মধ্যে জামিন দেওয়া হবে। আমি বলি, এতে লাখো বিনিয়োগকারী পথে বসে যাবে। তাদের কথা সরকারের কেউ ভাবে না।”
দুদকের হেফাজতে ২৩ দিনের রিমান্ডে থাকা অবস্থার বর্ণনায় তিনি বলেন, “আমাদের মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হতো। বলা হতো স্বীকারোক্তি দাও, নয়তো তোমাদের স্ত্রী-সন্তানদের বিপদে ফেলব। আমি রাজি না হওয়ায় আমার স্ত্রীকে জেলে পাঠানো হয়।”
নিজেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার দাবি করে রফিকুল আমীন বলেন, “ডেসটিনি যখন শুরু করি, তখনই ফ্যাসিস্ট সরকারের রোশানলে পড়ি। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়, যেখানে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ ছিল না। আমরা একটি সমবায় সমিতি করেছিলাম, সেখানে বিনিয়োগ সীমার একটু বেশিতে আমাদের ফৌজদারি মামলায় জড়ানো হয়। মুদ্রা পাচারের মামলা আমার বিরুদ্ধে হয়নি, অথচ সেই আইনের আওতায় আমাকে সাজা দেওয়া হয়। প্রমাণ হিসেবে কেবল পত্রিকার রিপোর্ট ব্যবহার করা হয়েছিল, বাস্তব কোনো সাক্ষ্য ছিল না।”
তিনি অভিযোগ করেন, “৪৫ জন প্রকৃত বিনিয়োগকারীর সাক্ষ্য নেয়নি। সাক্ষী করেছে সরকারি কর্মকর্তাদের। মামলাকে দীর্ঘায়িত করতেই এসব করা হয়েছে।”
রাজনীতিতে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম একদিন গণমাধ্যমের সামনে সত্য বলব। আজ সেই দিন এসেছে। আমি মানুষের পাশে দাঁড়াতেই ‘আমজনগণ পার্টি’ গঠন করেছি।”
পার্টির নাম নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রথমে নাম ছিল ‘আমজনতা’। পরে বিএনপি নেতা তারেক রহমান অনুরোধ করেন নাম পরিবর্তনের। সম্মানের খাতিরে আমরা ‘আমজনগণ পার্টি’ রাখি। প্রতিহিংসার পথে যাইনি।”
ঢাকা/এএএম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আমি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে চাই: রফিকুল আমীন
“আমি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে চাই” এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে রাজনীতিতে নিজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। একইসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
বুধবার (১৪ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ বক্তব্য দেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই সরকার পরিবেশবান্ধব, রাজনীতি বান্ধব। এখন অনেক দল গঠিত হচ্ছে। আমিও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে চাই। সংসদে যাওয়ার মতো প্রস্তুতি এখনই নেই, তবে ভবিষ্যতে আমাদের নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন জোটে যাব কি না।”
রফিকুল আমীন দাবি করেন, “দুদকের ভেতরে টর্চার সেল ছিল, যেখানে চোখ বেঁধে মুখে গরম পানি ঢালা হতো, ঝুলিয়ে রাখা হতো। আমার স্ত্রী ডেসটিনির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলেও তাকেও আসামি করা হয়েছে। আমার দুই সন্তান ১২ বছর ধরে মায়ের অভাবে কষ্টে বড় হয়েছে। তাদের আমি কোনো জবাব দিতে পারি না।”
তিনি বলেন, “আমাকে বিদেশে চলে যেতে বলা হয়েছিল। আমি বলেছি, যাব না। কারণ আমি জানি, তারা আমাকে ক্রসফায়ারে মারবে। এরপর তারা প্রস্তাব দেয়, ডেসটিনি বন্ধ করে দিলে এক সপ্তাহের মধ্যে জামিন দেওয়া হবে। আমি বলি, এতে লাখো বিনিয়োগকারী পথে বসে যাবে। তাদের কথা সরকারের কেউ ভাবে না।”
দুদকের হেফাজতে ২৩ দিনের রিমান্ডে থাকা অবস্থার বর্ণনায় তিনি বলেন, “আমাদের মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হতো। বলা হতো স্বীকারোক্তি দাও, নয়তো তোমাদের স্ত্রী-সন্তানদের বিপদে ফেলব। আমি রাজি না হওয়ায় আমার স্ত্রীকে জেলে পাঠানো হয়।”
নিজেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার দাবি করে রফিকুল আমীন বলেন, “ডেসটিনি যখন শুরু করি, তখনই ফ্যাসিস্ট সরকারের রোশানলে পড়ি। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়, যেখানে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ ছিল না। আমরা একটি সমবায় সমিতি করেছিলাম, সেখানে বিনিয়োগ সীমার একটু বেশিতে আমাদের ফৌজদারি মামলায় জড়ানো হয়। মুদ্রা পাচারের মামলা আমার বিরুদ্ধে হয়নি, অথচ সেই আইনের আওতায় আমাকে সাজা দেওয়া হয়। প্রমাণ হিসেবে কেবল পত্রিকার রিপোর্ট ব্যবহার করা হয়েছিল, বাস্তব কোনো সাক্ষ্য ছিল না।”
তিনি অভিযোগ করেন, “৪৫ জন প্রকৃত বিনিয়োগকারীর সাক্ষ্য নেয়নি। সাক্ষী করেছে সরকারি কর্মকর্তাদের। মামলাকে দীর্ঘায়িত করতেই এসব করা হয়েছে।”
রাজনীতিতে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম একদিন গণমাধ্যমের সামনে সত্য বলব। আজ সেই দিন এসেছে। আমি মানুষের পাশে দাঁড়াতেই ‘আমজনগণ পার্টি’ গঠন করেছি।”
পার্টির নাম নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রথমে নাম ছিল ‘আমজনতা’। পরে বিএনপি নেতা তারেক রহমান অনুরোধ করেন নাম পরিবর্তনের। সম্মানের খাতিরে আমরা ‘আমজনগণ পার্টি’ রাখি। প্রতিহিংসার পথে যাইনি।”
ঢাকা/এএএম/মাসুদ