সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের অলংকারী গ্রামে ব্যক্তিমালিকানাধীন কালভার্ট ভাঙার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় ভাঙা কালভার্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দিয়েছেন সিলেট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এ ঘটনায় আদালতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অলংকারী গ্রামের বাসিন্দা সুলতান মিয়া। অভিযোগে জোরপূর্বক কালভার্ট ভাঙার জন্য অলংকারী ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানসহ একই গ্রামের তৈমুছ আলী, আইয়ুব আলী ও আব্দুল খালিককে দায়ী করেন তিনি।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে চেয়ারম্যান পক্ষকে কারণ দর্শাতে বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আগামী ৩ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওযার আদেশ দেন। একই সঙ্গে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনাথ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অলংকারী গ্রামের সুলতান মিয়া ও তৈমুছ আলী প্রতিবেশী। নানান বিষয়কে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি তৈমুছ আলী পক্ষ সুলতান মিয়া পক্ষকে না জানিয়ে রাতের বেলায় শত বছরের পুরোনো কালভার্টটি ভেঙে ফেলে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে তৈমুছ আলী, আইয়ুব আলী ও আব্দুল খালিকের ভাষ্য, গ্রামবাসী চলাচলের সুবিধার্থে সেখানে বড় কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। এ কারণে পুরোনো কালভার্টটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটন সমকালকে বলেন, গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে সেখানে এডিপির অর্থ বরাদ্দে বড় কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কালভার্টটি ভেঙেছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ধানের চাতালে ব্যস্ততা
২ / ৯সেদ্ধ করা ধান হাউস থেকে তোলা হচ্ছে