Samakal:
2025-11-03@19:56:56 GMT

কালভার্ট ভাঙা নিয়ে উত্তেজনা

Published: 15th, May 2025 GMT

কালভার্ট ভাঙা নিয়ে উত্তেজনা

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের অলংকারী গ্রামে ব্যক্তিমালিকানাধীন কালভার্ট ভাঙার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় ভাঙা কালভার্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দিয়েছেন সিলেট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

এ ঘটনায় আদালতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অলংকারী গ্রামের বাসিন্দা সুলতান মিয়া। অভিযোগে জোরপূর্বক কালভার্ট ভাঙার জন্য অলংকারী ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানসহ একই গ্রামের তৈমুছ আলী, আইয়ুব আলী ও আব্দুল খালিককে দায়ী করেন তিনি।

আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে চেয়ারম্যান পক্ষকে কারণ দর্শাতে বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আগামী ৩ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওযার আদেশ দেন। একই সঙ্গে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনাথ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অলংকারী গ্রামের সুলতান মিয়া ও তৈমুছ আলী প্রতিবেশী। নানান বিষয়কে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি তৈমুছ আলী পক্ষ সুলতান মিয়া পক্ষকে না জানিয়ে রাতের বেলায় শত বছরের পুরোনো  কালভার্টটি ভেঙে ফেলে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে তৈমুছ আলী, আইয়ুব আলী ও আব্দুল খালিকের ভাষ্য, গ্রামবাসী চলাচলের সুবিধার্থে সেখানে বড় কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। এ কারণে পুরোনো কালভার্টটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটন সমকালকে বলেন, গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে সেখানে এডিপির অর্থ বরাদ্দে বড় কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কালভার্টটি ভেঙেছেন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ছ আল অল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ