নেপালকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ
Published: 16th, May 2025 GMT
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে আজ নেপালের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। শুক্রবার (১৬ মে) ভারতের অরুণাচলের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে লাল-সবুজের দল।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে নাজমুল হুদা ফয়সালের কর্নারে দুর্দান্ত এক হেডে নেপালের জালভেদ করেন আশিকুর রহমান। এরপর ৮১ মিনিটে মানিকের পাসে বাংলাদেশকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন নাজমূল হুদা ফয়সাল। ম্যাচের শেষদিকে ৮৭ মিনিটে সুজন দাঙ্গোলের গোলে ব্যবধান কমায় নেপাল।
এর আগে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউট পর্বে ওঠে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করার পর দ্বিতীয় মাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে বাংলাদেশের যুবারা। অপরদিকে, ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে উঠেছে স্বাগতিক ভারত। বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলবে ‘এ’ গ্রুপের রানার আপ মালদ্বীপ।
একই মাঠে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৯ মে। এই টুর্নামেন্টের গত আসরের ফাইনালে নেপালকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয়বার এই টুর্নামেন্টের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ
নারীর অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ নামে একটি সংগঠন। শুক্রবার বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সহসভাপতি পুষ্পিতা নাথের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- আধ্যাপক জুলেখা আক্তার, শিক্ষক সাবিনা লিনা, কবি শৈকত দে, পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী ঋতু পারভী, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের আহ্বায়ক আসমা আক্তার, হিল উইমেন্স ফেডারেশন কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য দয়াসোনা চাকমা, গার্মেন্টস ওর্য়াকাস ইউনিয়নের সংগঠক এ্যানি চৌধুরী, ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন রহমান, ছাত্রফ্রট কেন্দ্রীয় স্কুল বিষয়ক সম্পাদক দীপা মজুমদার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অব্যাহত নারী নিপীড়ন, অবমাননা, লাঞ্ছনা, ধর্ষণ ও কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে ধরে বলেন, জুলাই আন্দোলনে নারীরা ভাইদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে। অসংখ্য নারী আহত হয় আন্দোলনে আবার প্রাণও দেয় নারীরা। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই সম্মেলিত ভাবে হলেও ৫ আগস্টের পর আমরা দেখি নারী পুরুষের বৈষম্যের চিত্র স্পষ্ট হচ্ছে। ৫ আগস্টে পর আমরা দেখি পথে ঘাটে লঞ্চে নারীদের মব তৈরি করে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। আমরা দেখি মৌলবাদী গোষ্ঠীকে ঘরে বাহিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে নারীদের আক্রমণ ও হেনস্থা করার চিত্র।
তারা বলেন, সম্প্রতি নারী সংস্কার কমিশনের বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করে নারী সংস্কার কমিশনের নেত্রীদের প্রকাশ্যে গালিগালাজ করতে দেখি। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
সভায় নারীর অধকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়।