টি-২০ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইতালির ইতিহাস
Published: 12th, July 2025 GMT
বাছাইপর্ব পেরিয়ে প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে ইতালি। আজ্জুরিরা বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে। তারপরও নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় জার্সিকে হটিয়ে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে দেশটি।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বের হিসাব ছিল- ইতালিকে হারাতে পারলে ডাচরা গ্রুপে সর্বাধিক পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পাবে। অন্য দিকে স্কটল্যান্ড ও জার্সির মধ্যে জয়ী দলের সঙ্গে ইতালির নেট রান রেটের লড়াই হবে। স্কটল্যান্ডকে জার্সি হারালেও নেট রান রেটে ছাড়াতে পারেনি আজ্জুরিদের।
হেগের ভোরবার্গ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে ইতালি টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে ১৩৭ রানে আটকে যায়। ইতালির সামনে তখন চ্যালেঞ্জ আসে ডাচদের ১৪ ওভারের মধ্যে জিততে না দেওয়ার। ইতালি ওই চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়েছে। ডাচরা ম্যাচ জিতেছে ১৬.
বাছাইপর্ব শেষে ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট তুলেছে নেদারল্যান্ডস। ইতালি ৪ ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্র’তে ৫ পয়েন্ট তুলেছে। সঙ্গে তাদের নেট রান রেট ০.৬১২। জার্সিরও সমান ৫ পয়েন্ট। তবে তাদের নেট রান রেট ০.৩০৬। বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করায় ইতালিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ।
ভারত ও শ্রীলঙ্কায় আগামী বছরের টি-২০ বিশ্বকাপ হবে ২০ দল নিয়ে। এর মধ্যে ১৫ দল বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, ইতালি। এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্ব পেরিয়ে আরও তিন ও আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপে আসবে দুই দল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর ব ছ ইপর ব ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ
দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।