আজকাল বেশিরভাগ বাবা-মাই কর্মজীবী। প্রতিযোগিতার যুগে চাকরি জীবনে টিকে থাকতে হলে অফিসের পরেও সামলাতে হয় অনেক দায়িত্ব। এর পাশাপাশি ঘরের কাজ তো আছেই। সব মিলিয়ে এত বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় যে বাবা-মায়েরা সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর অবসর পান না। এতে বাবা-মা যে কষ্ট পান না তা নয়। আবার সন্তানেরও মনখারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। তবে একটি রুটিন তৈরি করে নিলেই সন্তানের সঙ্গে কাটাতে পারেন ‘কোয়ালিটি টাইম’। 

১.

ঘুম থেকে আগে উঠে পড়ুন। এরপর সন্তানের ঘুম ভাঙিয়ে স্কুল যাওয়ার জন্য তৈরি করে দিন। টিফিন গুছিয়ে তার ব্যাগ দিন। সময় থাকলে সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দিতে পারেন।

২. সারাদিনের মধ্যে অল্প সময়ও যদি সন্তানের সঙ্গে কাটান তাহলে সে খুশি হতে পারে। শুধু বকাঝকা না করে সেই মুহূর্ত যেন আনন্দদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। একসঙ্গে ছবি আঁকতে পারেন। কিংবা তাকে জড়িয়ে ধরতে পারেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে সারাদিন সে কি করলো তা নিয়ে গল্প করতে পারেন। 

৩. সারাদিন অফিসে থাকলেও বাবা-মায়ের সন্তানকে নিয়ে চিন্তা থাকে। সন্তানও মিস করে তাদের। বাড়িতে যিনি সন্তানের দেখাশোনা করছেন তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজ পাঠাতে পারেন। কিংবা কাজের ফাঁকে একটু ভিডিও কল সেরে নিতে পারেন সন্তানের সঙ্গে। এতে সে খুশি হবে।

৪.ব্যস্ততা থাকলেও, সন্তানের জন্য সপ্তাহে একদিন একটু বেশি সময় বের করতেই হবে। ওইদিন আপনি সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যেতে পারেন। কোথাও খেতেও যেতে পারেন। বাড়ি থেকে বেরতে না চাইলে তাকে নিয়ে সিনেমা দেখুন কিংবা ভালো গান শুনুন। সন্তান বেশি ছোট হলে তার সঙ্গে খেলায় মাতুন। দেখবেন সে খুশি হবে।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ শ র যত ন

এছাড়াও পড়ুন:

পরিশ্রম করে রোজগার করি, জরিমানা দিতে চাই না: বুমরাহ

লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৫ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫তম ফাইফার তুলে নিয়েছেন বিশ্ব টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা এই পেস তারকা। হ্যারি ব্রুক, জো রুট, বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস ও জোফরা আর্চারকে ফিরিয়ে দেন তিনি।

তবে বুমরাহর ফাইফারের চেয়েও এ দিন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল বলের মান নিয়ে তীব্র অসন্তোষ। নতুন বল নেওয়ার পর মাত্র ৬৩ বল খেলতেই তা আকার হারায়। পরে পরিবর্তিত বলটিও মাত্র ৪৮ বল পরেই আবার বদলাতে হয়। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেন অধিনায়ক শুভমান গিল। অনফিল্ড আম্পায়ার পল রাইফেল এবং শরফুদ্দৌলার সঙ্গে বেশ উত্তেজিতভাবে কথা বলতেও দেখা যায় তাকে। 

বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সামনে বুমরাহ বলেন, ‘বারবার বল বদলাতে হচ্ছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই। আমি এ নিয়ে কিছু বললে জরিমানা দিতে হতে পারে। আমি পরিশ্রম করে রোজগার করি, জরিমানা দিয়ে দিতে চাই না।’ এরপর হেসে যোগ করেন, ‘আমরা যা বল পেয়েছি, সেটি দিয়েই বল করেছি। মাঝে মাঝে বল ভালো থাকে, মাঝে মাঝে খারাপ থাকে। এটা খেলারই অংশ। আমরা কিছুই করতে পারি না, মানিয়ে নিতে হয়।’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। তবু তেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়নি তাকে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক ক্লান্ত ছিলাম। তাছাড়া এখন আর ২১–২২ বছরের মতো উচ্ছ্বাস দেখানো চলে না। পাঁচ উইকেট নিলেই লাফিয়ে উল্লাস করার বয়স পেরিয়ে এসেছি। পরের বল করাই এখন লক্ষ্য।’

তবে ঐতিহাসিক লর্ডসের ‘অনার্স বোর্ড’-এ নাম ওঠা নিয়ে তিনি বেশ রোমাঞ্চিত। বলেন, ‘এটা অবশ্যই ভালো লাগার ব্যাপার। ভবিষ্যতে ছেলেকে বলার মতো গল্প পেলাম।’

এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বুমরাহ ভেঙেছেন কিংবদন্তি কপিল দেবের রেকর্ডও। বিদেশের মাটিতে ১৩ বার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট তুলে নিয়ে পেছনে ফেলেছেন কপিল দেবকে, যার ঝুলিতে ছিল ১২টি ফাইফার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ