Samakal:
2025-07-12@11:36:16 GMT

সরকারের নিদ্রাভঙ্গ হউক

Published: 12th, July 2025 GMT

সরকারের নিদ্রাভঙ্গ হউক

বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সম্মুখে যেই বর্বর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হইয়াছে, হয়তো উহা নজিরবিহীন নহে; তবে উহা যে বিশেষত রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি নির্দেশ করিতেছে– এই বিষয়ে কাহারও সংশয় থাকিবার অবকাশ নাই।

তৎসহিত ইহাও প্রমাণিত হইল, সমাজে সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য এখন এতটাই; এহেন বীভৎসতা প্রত্যক্ষ করিয়াও মানুষকে ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ জপ করিতে হয়। শুক্রবার সমকালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, যিনি ঐ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হইয়াছেন, তিনি উক্ত এলাকার ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ। ব্যবসায়ের ভাগবাটোয়ারা লইয়া তাঁহারই পূর্বপরিচিত এক দল যুবক সোহাগকে বুধবার মধ্যাহ্নে ডাকিয়া লইয়া সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতাল চত্বরে প্রহার ও ইষ্টক-প্রস্তরের আঘাতে মস্তক পিষ্ট করিয়া মৃত্যু নিশ্চিত করে। শুধু উহাই নহে; মৃত্যুর পরও সোহাগকে নিষ্কৃতি দেয় নাই সন্ত্রাসীরা। তাহারা একাদিক্রমে মৃতদেহের উপর লম্ফঝম্প করিয়াছে।

ইতোমধ্যে প্রকাশিত সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওর নির্মম সাক্ষ্য– লোকজন হতবিহ্বল দৃষ্টিতে এই নৃশংসতা প্রত্যক্ষ করিয়াছে। এমনকি হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের ক্যাম্পের অবস্থান পার্শ্বে হইলেও তাহাদের কেহই অগ্রসর হইতে সাহসী হন নাই। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, শুধু সোহাগ হত্যা নয়; ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েক মাস ধরিয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিরন্তর চলমান। বৃহস্পতিবারও চট্টগ্রামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ ১১ খণ্ড করা হইয়াছে। 

সম্প্রতি গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কারখানায় চুরির অপবাদ দিয়া হৃদয় নামে এক তরুণ শ্রমিককে প্রহারে হত্যা করা হয়। ১৮ মে রাত্রে রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে এক যুবককে প্রকাশ্যে কোপানো হয়। ১৬ মে রাজধানীর জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন পাতাম রেস্টুরেন্ট এলাকায় হত্যা করা হয় সামিউর রহমান (আলভি) নামে এক ব্যক্তিকে। 
পুলিশ সদরদপ্তরের পরিসংখ্যান বলিতেছে, গত জানুয়ারি হইতে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে রাজধানীতেই খুন হইয়াছেন ১৩৬ জন। সমগ্র দেশে এই সংখ্যা ১২ শতাধিক। অন্যদিকে ২০২১ সালের প্রথম চার মাসে ঢাকায় এই সংখ্যা ছিল ৫৫; ২০২২ সালে ৫৪; ২০২৩ সালে ৫১ এবং ২০২৪ সালে ৪৭। এই পরিসংখ্যানও বলিতেছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের যেই প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হইয়াছিল, তাহা যতটুকু কাগজে আছে, ততটুকু কার্যকর হয় নাই। বলা হইতে পারে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তা এখনও প্রত্যাশিত পর্যায়ে আসে নাই। কিন্তু উহাদেরই যখন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্দোলন দমনে যথেষ্ট তৎপর দেখা যায়, তখন ঐ কথার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। উপরন্তু পুলিশের দুর্বলতার কারণেই তো সেনাবাহিনীকে অধ্যাদেশবলে গ্রেপ্তার করিবার ক্ষমতা প্রদান করা হইয়াছে। আমরা মনে করি, যদি সরকার দলমত নির্বিশেষে প্রকৃত অপরাধীদের দমনে মনোযোগ নিবদ্ধ করিত, তাহা হইলে নিঃসন্দেহে পরিস্থিতির উন্নতি হইত। তদুপরি গত বৎসরের আগস্ট হইতে দেশব্যাপী মহলবিশেষ যে ভয়ংকর মব সন্ত্রাস চালাইতেছে, উহার প্রতিও রহস্যজনক কারণে সরকার এক প্রকার নমনীয়তা প্রদর্শন করিতেছে। ইহাও নানা প্রকার ফৌজদারি অপরাধীদের স্বীয় অপকর্ম চালাইয়া যাইতে উৎসাহ (!) জোগাইয়া চলিয়াছে।  

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশন্স) এস এন নজরুল ইসলাম সমকালকে যথার্থই বলিয়াছেন, মানুষের মধ্যে অস্থিরতা ক্রিয়াশীল। তরুণদের একটা অংশ নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলিয়া যাইতেছে। সমাজে শৃঙ্খলা ও ঐক্য বজায় না থাকিলে বিপদ আরও বৃদ্ধি পাইবে বলিয়া তিনি মনে করেন। কিন্তু অনুরূপ কোনো চিন্তা সরকারের মধ্যে আদৌ আছে বলিয়া উপলব্ধ হয় না। একদিকে ক্ষমতাপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাকর্মী ক্রমশ বেপরোয়া হইয়া উঠিতেছে, অন্যদিকে তাহাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে গুরুতর অপরাধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সক্রিয় হইয়া উঠিয়াছে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে স্পষ্ট কোনো বার্তা প্রদানের উদ্যোগও সরকারের মধ্যে পরিদৃষ্ট হইতেছে না। তবে আমাদের প্রত্যাশা, আলোচ্য ঘটনার পর সরকারের বোধোদয় ঘটিবে এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গৃহীত হইবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ট য় হত য সরক র র হইয় ছ অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

লটারির মাধ্যমে নির্বাচনী দায়িত্ব পাবেন ডিসি-এসপিরা: শফিকুল আলম

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্বচ্ছতা নিশ্চিতে গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের যথাসম্ভব বাদ দেওয়া, সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পুলিশের শরীরে ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান। 

নির্বাচনের আগে সব ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি বদল করা এবং নির্বাচনে লটারির মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়ার আলোচনাও করেছেন ড. ইউনূস। 

বুধবার সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বৈঠক থেকে তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর হতে বলেছেন সরকারপ্রধান। 

বৈঠকের পর গতকাল রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক যত প্রস্তুতি রয়েছে, তা ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা’। নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং সংস্কারের অগ্রগতি হলে আগামী রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে আবারও সরকারের বার্তা তুলে ধরেছেন প্রেস সচিব। 

এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু সমকালকে বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সরকারের ঘোষণা কিংবা সিদ্ধান্ত অবশ্যই ইতিবাচক। এখন দেখতে হবে এটা কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, অবশ্যই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। সংস্কার এবং বিচারের অগ্রগতিও করতে হবে নির্বাচনের আগে। 

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন সমকালকে বলেন, নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা দিতে  সক্ষম কিনা– তা নিশ্চিত করতে হয়। এ ছাড়া কীভাবে নির্বাচন হবে? প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের কথায় নির্বাচন দিয়ে চলে যেতে চাইছেন। শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য কিংবা তাঁর মামলা খালাসের জন্য তাঁকে বসানো হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার করতে হবে। 

গত ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সংস্কার এবং বিচারের অগ্রগতি সাপেক্ষে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে। 

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। তাঁর প্রথম ঘোষণা ছিল, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে পরের বছর জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। বিএনপির দাবি ছিল, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। তবে দলটি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনে ঘোষণা মেনে নিয়েছে। 

এদিকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ইসির দ্বিমত রয়েছে, সেগুলো নিয়েও কথা হয়েছে। 

ঐকমত্যের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করে বিশেষায়িত কমিটি গঠনে একমত হয়েছে। তবে ইসি নিজস্ব কর্মকর্তাদের নিয়ে ইতোমধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিটি করেছে। সংবিধান অনুযায়ী, সীমানা নির্ধারণ ইসির এখতিয়ার হলেও, কমিটিতে কীভাবে বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় বলে সূত্র জানিয়েছে। 

প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ ও কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অনেক পাঁয়তারা হয়, তাই আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর হতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব সদস্যের প্রশিক্ষণ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। 

শফিকুল আলম জানান, পুলিশ পর্যালোচনা করে দেখেছে, ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রের ১৬ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এসব কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে– পুলিশের বডি ক্যামেরা রাখা এবং প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রেস সচিব জানান, চার দিনের পরিবর্তে নির্বাচনে সাত দিনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের কথা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, কর্মকর্তাদের নম্বর ধরে লটারির মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়া যায় কিনা, তা ভেবে দেখতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যাতে কেউ কোনো প্রভাব খাটাতে না পারে। 

ভোট সুষ্ঠু না হলে তা বাতিলের ক্ষমতা ইসিকে ফিরিয়ে দেওয়া যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনে যেসব পোলিং ও প্রিসাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের বাদ দিয়ে এবার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া যায় কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়েও মনিটরিং সেল গঠন হবে জানিয়ে উপ-প্রেস সচিব বলেন, অনিয়ম দেখা গেলে, এতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। 

ভোটের দিন ইন্টারনেট সচল রাখার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর্যবেক্ষকদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রায় ২ লাখ পর্যবেক্ষক এই নির্বাচনে সম্পৃক্ত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকের নামে যাতে কেউ দলীয় কর্মীকে নির্বাচনী কেন্দ্রে পাঠাতে না পারে– এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন। 

নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে থাকবে কিনা– এ প্রশ্নে প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। তিনি বলেন, ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সীদের জন্য পৃথক  তালিকা এবং বুথ কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যারা প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, যাতে  প্রথম ভোটে ভালো স্মৃতি হয়। 

বৈঠকের বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম সমকালকে বলেন, নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে ডিসেম্বরের মধ্যে পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুত করে তোলা হবে। আগস্ট থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রশিক্ষণ শুরু হবে।  কীভাবে একটি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে হয়, কোন ধরনের বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে– তা হাতেকলমে শেখাব। এ ছাড়া প্রযুক্তিগত বিষয়গুলোও থাকবে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট হবে– এটা ধরে নিয়ে পুলিশ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে। 

আইজিপি জানান, প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে সব বাহিনীর জনবল ব্যবস্থাপনার ওপর আলোচনা হয়েছে। নিখুঁত নির্বাচন মূল লক্ষ্য। কোনো কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সমন্বয়ের মাধ্যমে তা মোকাবিলার পদ্ধতি ও কৌশল সম্পর্কে বাহিনীর সদস্যদের প্রায়োগিক ধারণা দেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করবে সরকার’
  • লাল চাঁদ হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • মিটফোর্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হ‌য়ে‌ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্
  • প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় রেখে দেশে অরাজক পরিস্থিতি রাখতে চাচ্ছে সরকার: যুবদল সভাপতি
  • শাহজালালে বিমানে বোমা আতঙ্ক, ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইট সাময়িক স্থগিত
  • ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন হোক
  • জঙ্গিবাদ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে মার্কিন দূত
  • লটারির মাধ্যমে নির্বাচনী দায়িত্ব পাবেন ডিসি-এসপিরা
  • লটারির মাধ্যমে নির্বাচনী দায়িত্ব পাবেন ডিসি-এসপিরা: শফিকুল আলম