এশিয়া কাপ নিয়ে ক্রিকেট উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের বিস্ময়কর এক সিদ্ধান্তে বড় ধরনের অনিশ্চয়তায় পড়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ ও সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত পুরুষদের আসর—এই দুই টুর্নামেন্ট থেকেই নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত।

ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনের (বিসিসিআই) এমন অবস্থান শুধু আসন্ন এশিয়া কাপ নয়, গোটা এশিয়ান ক্রিকেট কাঠামোর ওপরেই প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

বিসিসিআই-এর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসিসির নেতৃত্বে বর্তমানে রয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি। যিনি একযোগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধানের দায়িত্বেও আছেন। এর ফলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পেয়েছে।

আরো পড়ুন:

প্লে-অফের দোরগোড়ায় পাঞ্জাব, রাজস্থানের বিদায়

মোস্তাফিজকে একাদশে রেখে ব্যাটিংয়ে দিল্লি

ভারতের মতে, এমন একজনের নেতৃত্বাধীন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ দেশটির জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। তাই ভারত সরাসরি অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছে এসিসিকে।

২০২৪ সালের এশিয়া কাপের সম্প্রচার স্বত্ব আগে থেকেই রয়েছে ভারতের সনি পিকচার্স নেটওয়ার্কস-এর হাতে। প্রায় ১৭০ মিলিয়ন ডলারের এই চুক্তি ভারতীয় অংশগ্রহণ ছাড়া ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত ছাড়া আসর হলে টেলিভিশন রেটিং ও স্পন্সরশিপ মূল্য দুই-ই হ্রাস পাবে। মূলত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোর ঘিরেই দর্শক ও অর্থনীতি কেন্দ্রীভূত।

২০২৩ সালেও একই ধরনের রাজনৈতিক জটিলতায় পাকিস্তানে আয়োজিত এশিয়া কাপ হয় হাইব্রিড মডেলে। ভারত খেলেছিল নিরপেক্ষ ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেই পরিকাঠামো অনুসরণ করে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচিও সাজানো হয়েছিল। চলতি বছরেও হয়তো এই বিকল্প পথে হাঁটতে হতে পারে এসিসিকে। যদিও সেটিও আপাতত অনিশ্চিত।

১৯৮৩ সালে গঠিত এসিসি-র মূল লক্ষ্য ছিল এশিয়ান ক্রিকেটের উন্নয়ন ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক পারিপার্শ্বিকতা এই সংগঠনের কার্যকারিতা ও গ্রহণযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

যদি ভারত সত্যিই আসর বর্জন করে এবং এসিসি ভিন্ন কোনো আয়োজক খুঁজে না পায়, তাহলে ২০২৪ এশিয়া কাপ শুধু স্থগিত নয়, হয়তো বাতিলও হতে পারে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’

সাপ্তাহিক ‘পঙক্তি’র দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নারীর সমান অধিকার, সাংস্কৃতিক জাগরণ ও মুক্তচিন্তার বিকাশ ছাড়া বৈষম্যহীন সমাজ গঠন সম্ভব নয় এমন মত প্রকাশ করেছেন বক্তারা।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাপ্তাহিক পঙক্তির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’সহ ৩৮ দাবি সংবাদকর্মীদের 

‘সাম্য, মর্যাদা ও আলোকিত সমাজের স্বপ্নে ৭১ ও ২৪ এর তরুণরা’

অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ বলেন, “নারীরা অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও পুরুষতান্ত্রিক নানা বৈষম্য ও হেনস্তার শিকার হন। আমরা দেখছি, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও নারী ও শিশুরা লাঞ্ছিত, নিপীড়িত হচ্ছে, এটি লজ্জার বিষয়। আমরা এমন সমাজ চাই না। আমরা চাই একটি সত্যিকারের বৈষম্যমুক্ত সমাজ, যেখানে নারী–পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত থাকবে।”

প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া বলেন, “আমরা বর্তমানে একটি সাংস্কৃতিকভাবে খারাপ সময় পার করছি। একটি নতুন রাজনৈতিক আন্দোলন বারবার ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে যে অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, তাতে একমাত্র একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লবই আমাদের জাতিকে রক্ষা করতে পারে।”

কবি ও কলামিস্ট সোহরাব হাসান বলেন, “ফেসবুক–ইউটিউবের যুগে একটি সাহিত্য পত্রিকা টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত কঠিন কাজ। বর্তমানে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এক ধরনের বৈরী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে মাজার, দরগা, শিল্পী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক তৎপরতা। এই আক্রমণ জাতিসত্তার উপর আক্রমণ, আমাদের শিল্প–সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সুকুমার ভিত্তির উপর আঘাত। এর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াই করতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে সাপ্তাহিক পঙ্ক্তির সম্পাদক কবি জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না ওরফে পান্না বেগম বলেন, “আজ আমি খুব আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত। আমি একজন সফল নারী বলে নিজেকে সম্মান করি। আমি ২৬ বছর ধরে কাজ করি। কারোর মুখাপেক্ষী হইনি। একটি পত্রিকা কারোর সহযোগিতা ছাড়া নিয়মিত প্রকাশ করা এতোটা সহজ নয়। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজকের এই জায়গাটি তৈরি হয়েছে।”

বাংলাদেশের আলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মফিজুর রহমান বাবু বলেন, “সাপ্তাহিক পঙ্ক্তি পত্রিকাটি নিয়ে প্রথম থেকেই আমার একটি চিন্তা ছিল। পত্রিকাটির নাম পঙ্ক্তি কেন? খুব চিন্তা করে এর দুইটি কারণ খুঁজে পেলাম। একটি হলো-এই পত্রিকাটির সম্পাদক একজন কবি ও সাংবাদিক। উনার কবিসত্তার চিন্তাধারা থেকে এই নামটি নির্ধারণ করেছেন। কারণ পঙ্ক্তি শব্দের অর্থ কবিতার লাইন বা সারি। আর দ্বিতীয়টি হলো- সম্পাদকের একমাত্র কন্যার নাম পঙ্ক্তি। সন্তানের প্রতি একজন মায়ের যে অসাধারণ ভালোবাসা, তারই বহিঃপ্রকাশ হলো সাপ্তাহিক পঙ্ক্তি।”

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক মানিক মুনতাসির, কবি ও সাংবাদিক বজলুর রহমান, কবি মোশাররফ হোসেন ইউসূফ, বাংলানিউজের সাংবাদিক তুলনা আফরিন প্রমুখ।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রসিকিউটর গ্রেপ্তার
  • পণ্য রপ্তানিতে বিলিয়ন ডলারের কাছে ইয়াংওয়ান, অর্ধবিলিয়ন ছাড়িয়ে হা-মীম, মণ্ডল ও ডিবিএল
  • ত্রাস সৃষ্টি, টার্গেট কিলিং: ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন ভাবমূর্তি
  • লরা উলভার্ট: হিমালয়ের চূড়ায় এক নিঃসঙ্গ শেরপা
  • ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
  • বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের মৃত্যু
  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
  • বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন