পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে লাহোরে, টুইটারে এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

এফটিপি অনুসারে মে মাসে পাকিস্তান সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের। পরবর্তীতে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে দুই বোর্ড সম্মত হয় ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের বিষয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সংখ্যাও কমে তিন ম্যাচে এসে ঠেকেছে।

পিএসএলের সূচি ও ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে সফরটি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। পিএসএল স্থগিত হওয়ার পর তা পুনরায় শুরুর সময়সূচি বাংলাদেশ সিরিজের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে পড়ে। ফলে পাকিস্তান সফর আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে দ্বিধা তৈরি হয়।

শেষমেশ দুবাইয়ে বিসিবি ও পিসিবির কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়। আলোচনায় অংশ নেন পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম। সফল আলোচনার পর দুই বোর্ড নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফরে যাবে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।

সিরিজের ম্যাচ তিনটি হবে যথাক্রমে ২৭ মে, ২৯ মে এবং ১ জুন। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সফরের আনুষ্ঠানিক সূচি ও বিস্তারিত দুই-এক দিনের মধ্যেই প্রকাশ করবে বিসিবি ও পিসিবি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ক স ত ন সফর

এছাড়াও পড়ুন:

এজবাস্টনে আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত

যশস্বী জয়সোয়ালের সঙ্গে বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের যেন একটা অদৃশ্য যোগসূত্র রয়েছে। ভারতীয় এই টপঅর্ডার ব্যাটিংয়ে এবং সৈকত আম্পায়ারিংয়ে থাকলে একটা না একটা কিছু ঘটবেই। সেই মেলবোর্ন থেকে শুরু করে এই ধারাবাহিকতা এজবাস্টনেও চলছে। এর মধ্যে এজবাস্টনে জয়সোয়াল-সংশ্লিষ্ট একটি সিদ্ধান্তে সৈকতের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। 

ইংলিশদের মন খারাপ হওয়ারই কথা। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও যে তাদের হাতে নেই। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের অধিনায়ক শুভমান গিল। তাঁর ১৬১ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪২৭ রান তুলে ডিক্লেয়ার করেছে ভারত। এরপর ৬০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ৭২ রান করে চাপে আছে ইংল্যান্ড।

সর্বশেষ ঘটনাটি ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ বিকেলের। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের অষ্টম ওভারে জয়সোয়ালের বিপক্ষে এলবির আবেদন করেন ইংলিশ পেসার যশ টং। আম্পায়ার সৈকত আঙুল তুলে আউট ঘোষণা করেন। জয়সোয়াল আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করবেন কিনা, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটার লোকেশ রাহুলের সঙ্গে পরামর্শ করে রিভিউ নেন। 

সৈকত নিয়ম অনুযায়ী টিভি আম্পায়ারের কাছে পাঠিয়ে দেন রিভিউ আবেদন। তবে এ সময় সৈকতের দিকে ছুটে যান বেন স্টোকস। ইংলিশ অধিনায়কের দাবি, রিভিউ নেওয়ার নির্ধারিত ১৫ সেকেন্ড পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সৈকত বলেন, ১৫ সেকেন্ডের ভেতরেই রিভিউ নিয়েছেন জয়সোয়াল। বিষয়টি নিয়ে স্টোকস ও সৈকতের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ তর্কও হয়। এর মধ্যে টিভি আম্পায়ার পল রাইফেল সিদ্ধান্ত দেন যে জয়সোয়াল আউটই ছিলেন। যার মানে, সৈকতের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। অথচ মাঝখান দিয়ে কত কিছু ঘটে গেল। বিশেষ করে বেন স্টোকসের ক্ষোভ প্রকাশের বিষয়টি বেশ দৃষ্টিকটুই ছিল।

এই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও জয়সোয়ালের বিপক্ষে সৈকতের সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়েছিল ইংলিশরা। ক্রিস ওকসের বলে জয়সোয়ালের বিপক্ষে এলবির আবেদনে সাড়া দেননি বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত। সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ইংলিশ অধিনায়ক রিভিউ নিলে ‘আম্পায়ার্স কল’ বহাল থাকে। এর জেরে বোলার ওকস তো নিয়ম বদলের দাবি পর্যন্ত তুলেছিলেন। এজবাস্টন টেস্টে গতকাল চতুর্থ দিন প্রথম সেশন পর্যন্ত সৈকতের সাতটি সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রিভিউ নিয়েছে ভারত ও ইংল্যান্ড। এর মধ্যে ব্রাইডন কার্সের বিপক্ষে সিরাজের এলবির নটআউট সিদ্ধান্ত বাদে আর একটিও সফল হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ