‘ফ্যাসিবাদের সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে শতাধিক কর্মকর্তার তালিকা প্রকাশ জুলাই ঐক্যের
Published: 20th, May 2025 GMT
‘ফ্যাসিবাদের সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের শতাধিক কর্মকর্তার তালিকা প্রকাশ করেছে জুলাই ঐক্য নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। এসব কর্মকর্তার মধ্যে ৪৪ জন সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা এবং ৯৫ জন সহকারী কমিশনার ও জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার রয়েছেন, যাঁরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘিরে আত্মপ্রকাশ করা বিভিন্ন সংগঠনের মোর্চা হিসেবে কাজ করছে জুলাই ঐক্য। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশ করেন প্ল্যাটফর্মের নেতারা। তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর দাবি জানান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে এই প্ল্যাটফর্মের নেতারা ৩১ মের মধ্যে তালিকায় থাকা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। সেটা করা না হলে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান তাঁরা।
তালিকায় থাকা ব্যক্তি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারও দাবি জানান জুলাই ঐক্যের সংগঠকেরা। তাঁরা বলেন, আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চান। সংবাদ সম্মেলন থেকে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরবর্তী সময়ে সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা সরকারিভাবে প্রকাশের দাবিও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জুলাই ঐক্যের সংগঠক মোসাদ্দেক আলি ইবনে মোহাম্মদ, একতার বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক প্লাবন তারেক, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মুনতাসির রহমানের বাবা সৈয়দ গাজীউর রহমান, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সাইয়েদ আহমেদ সরকার, জাস্টিস ফর অল প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ফুয়াদ জামান, ৩৬ জুলাই পরিষদের আহ্বায়ক শহীদুল হক এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (পুনাব) প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল সা’দ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম র কর মকর ত প রক শ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন জরুরি: জামায়াতের নায়েবে আমির
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন আয়োজন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
রোববার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভাটির আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা।
সভায় অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় সংসদ হলো রাষ্ট্র পরিচালনার মেরুদণ্ড। এই নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা বা ত্রুটি হলে পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তার আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচনী ব্যবস্থার বাস্তব পরীক্ষা জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘একটি রেলগাড়ির সামনে ইঞ্জিনের আগে কিছু মালবাহী বগি থাকে, যাতে দুর্ঘটনা ঘটলেও ইঞ্জিন অক্ষত থাকে। জাতীয় সংসদ ঠিক যেন সেই ইঞ্জিন—সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে পুরো ব্যবস্থাকে যাচাই করা দরকার।’
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন যদি বিতর্কিতও হয়, তাতে জাতীয় রাজনীতির তেমন ক্ষতি হয় না। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন ভেস্তে গেলে তার প্রভাব সর্বত্র পড়বে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্রবিরোধী চরিত্র’ বজায় রাখার অভিযোগ তুলে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘যারা আগের শাসকদের পদলেহন করেছে, তারা গণতন্ত্রের ধার ধারেনি। সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এদের রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হবে। দেশে কোনো টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি আর বরদাস্ত করা হবে না।’
তিনি জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অপরাধীদের বিচার এবং নির্বাচনী ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ একদা শোষকের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। কেউ যদি আবার জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, তবে নতুন করে আবারও জুলাইয়ের উত্তাল সময় আসবে।’
সভায় মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কবির আহমেদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. শামছুর রহমান প্রমুখ।