কথাটা বলেছেন স্বয়ং ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাকি ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা আছে। এ নিয়ে নাকি আলোচনা চলছে। শুধু তা–ই নয়, ক্লাব বিশ্বকাপে মেসি এবং রোনালদোকে এক দলে খেলতে দেখতে চান ইনফান্তিনো।

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ইউটিউবার ও অনলাইন স্ট্রিমার স্পিডের আইশোস্পিড চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো। সেখানে ক্লাব বিশ্বকাপে মেসি-রোনালদোর একসঙ্গে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি।

দুই কিংবদন্তিকে ‘গ্রেট খেলোয়াড়’ সম্বোধন করে রোনালদোকে নিয়ে ইনফান্তিনো বলেন, ‘ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে পারেন ক্রিস্টিয়ানো; এ নিয়ে আলোচনা চলছে। কে জানে কোনো ক্লাব হয়তো তাকে সই করাতে চায়। এখনো কয়েক সপ্তাহ বাকি আছে। মজা হবে।’

আরও পড়ুননাটকীয় মৌসুম শেষে অবিশ্বাস্য গোলে লিগ শিরোপা ম্যারাডোনার নাপোলির১ ঘণ্টা আগে

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এবারই প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টটি ৩২ দল নিয়ে আয়োজিত হবে। রোনালদোর দল আল নাসর ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। সৌদি আরব থেকে শুধু আল হিলাল সুযোগ পেয়েছে এ টুর্নামেন্টে।

কয়েক মাস আগে ইন্টার মায়ামিকে ঘিরে একটি গুঞ্জন চাউর হয়েছিল। মেজর লিগ সকারের ক্লাবটি নাকি রোনালদোকে দলে ভেড়াতে চায়! আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, এ নিয়ে মেসির সঙ্গে কথাও হয়েছে মায়ামির সহমালিক ও ইংল্যান্ডের সাবেক মিডফিল্ডার ডেভিড বেকহামের। মেসি নাকি রোনালদোকে নিয়ে আসার বিষয়ে সম্মতিও দিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, বেকহাম নিজেই নাকি এ বিষয়ে রোনালদোকে রাজি করানোর চেষ্টা করছেন।

ইনফান্তিনো এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি তাদের একসঙ্গে খেলতে দেখতে চাই। এই টুর্নামেন্টে তারা যদি একসঙ্গে খেলে তাহলে কেমন হবে ভাবতে পারেন! এটা হবে বিশেষ কিছু।’ শুধু রোনালদোই নয়, টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে রিয়াল কিংবদন্তি লুকা মদরিচেরও মায়ামিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আরও পড়ুনহামজাদের সামনে ৩৬৫ কোটি টাকার ম্যাচ২ ঘণ্টা আগে

গত বছর এমএএলএস সাপোটার্স শিল্ডজয়ী মায়ামি আয়োজক দেশের দল হিসেবে এবার ক্লাব বিশ্বকাপে খেলবে। ১৪ জুন মিসরের ক্লাব আল আহলির মুখোমুখি হবে হাভিয়ের মাচেরানোর দল। এরপর ১৯ জুন তাদের প্রতিপক্ষ পর্তুগালের পোর্তো ও ২৩ জুন ব্রাজিলের পালমেইরাসের মুখোমুখি হবে মায়ামি।

আল নাসরের সঙ্গে রোনালদোর বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ফুরোবে আগামী মাসে। দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কথা চালিয়ে যাচ্ছেন এই কিংবদন্তি। কিন্তু দুই পক্ষ এখনো সম্মতিতে পৌঁছাতে পারেনি। আল নাসর ছেড়ে ধারে অন্য কোনো ক্লাবে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রোনালদোর নেই বলে জানিয়েছে এই সংবাদমাধ্যম। তবে গুঞ্জন উঠেছে, সৌদি আরব ছেড়ে রোনালদো নাকি ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলে নাম লেখাতে পারেননি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প ইনফ ন ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারের যে স্থান থেকে একসঙ্গে দেখা যায় পাহাড়-সাগর আর ঝরনা

সাগরের পাশে বিশাল পাহাড়। সেই পাহাড়ের বুক চিরে বেরিয়েছে শীতল পানির ঝরনা। পাহাড়-ঝরনার নাম—হিমছড়ি। তবে পাহাড়টি আগে পরিচিত ছিল ‘হিমপরির পাহাড়’ নামে। স্থানীয় মানুষের কাছে প্রচলিত গল্প অনুযায়ী, একসময় উঁচু পাহাড়টির চূড়ায় সময় কাটাতেন সাগর থেকে উঠে আসা পরিরা। কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে টেকনাফের দিকে ১২ কিলোমিটার এগোলোই দেখা মেলে এই পাহাড়ের। এলাকাটির নামই এখন হিমছড়ি। এলাকায় অবস্থিত সমুদ্রসৈকতও পরিচিত হিমছড়ি সৈকত নামে।

প্রায় ২৮০ ফুট উঁচু হিমছড়ি পাহাড়ের চূড়ায় বসে দেখা যায় চারপাশের নয়নাভিরাম দৃশ্য। উপভোগ করা যায় সমুদ্রের গর্জন। ঝরনার শীতল জলে শরীর ভিজিয়ে নেওয়ার সুযোগ তো আছেই।

সড়কপথে হিমছড়ি পৌঁছানোর পরই চোখে পড়ে দুপাশে শতাধিক দোকানপাট। সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, জিপ-মাইক্রোবাসসহ নানা যানবাহনের ভিড়। অনেক পর্যটকের কাছে অস্বস্তিকর ঠেকে এই দৃশ্য। তবে হিমছড়িতে পাহাড়-সাগর আর ঝরনার দৃশ্য দেখার আনন্দ যেন এসব ভুলিয়ে দেয়।

দেখা যায় ঝরনার আশপাশে কয়েকটি বিশ্রামাগার। ঝরনায় যাতায়াতের রাস্তাতে বসানো হয়েছে রকমারি পণ্য বেচাবিক্রির ২০ থেকে ২৫টি দোকান। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ পর্যটকেরা বিশ্রামাগারে বসে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিচ্ছেন। কেউ দোকানে গিয়ে সেরে নিচ্ছেন কেনাকাটা। শামুক-ঝিনুক দিয়ে তৈরি রকমারি পণ্য, ফলমূল, আচার, ডাব, চিনাবাদামসহ নানা খাবারদাবার রয়েছে এসব দোকানে। ঝরনার আশপাশে ১০ থেকে ১২ জন ভ্রাম্যমাণ আলোকচিত্রীকে ছবি তোলার জন্য পর্যটকদের পিছু নিতে দেখা যায়।

গত শুক্রবার সকাল ১০টা। সরেজমিনে দেখা যায় হিমছড়ি ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রে শতাধিক নারী-পুরুষের ভিড়। কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে পর্যটকেরা ভেতরে ঢুকছেন। টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ৩৫ টাকা। এক টিকিটেই ঝরনা দেখা ও পাহাড়চূড়ায় ওঠার সুযোগ। ভেতরে ঢুকেই দেখা গেল, পর্যটকদের বেশির ভাগ ছুটছেন ঝরনার দিকে। কেউ ঝরনার হিমশীতল পানিতে গা ভাসাচ্ছেন। কেউ ছবি তোলায় ব্যস্ত। কয়েকজন তরুণকে হিমছড়ি ঝরনায় পানি কম থাকা নিয়ে আক্ষেপ করতে দেখা যায়।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ঝরনা দেখতে এসেছেন শিক্ষক কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় স্ত্রী-সন্তানেরা বলে রাখেন, কক্সবাজার পৌঁছে সমুদ্রসৈকতের লোনাপানিতে গোসল সেরে তাঁদের হিমছড়ির ঝরনা দেখাতে নিয়ে যেতে হবে। তাই ঝরনায় নিয়ে এলাম।’ কামরুল ইসলাম আরও বলেন, ১১ বছর আগে তিনি প্রথমবার যে হিমছড়ি ঝরনা দেখে গেছেন, এখন যেন তার অনেক কিছুই নেই। পাহাড়ের ওপর থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে খুবই কম। তাঁর দাবি, অযত্নে-অবহেলায় এই পাহাড়-ঝরনা সৌন্দর্য হারাচ্ছে।

কক্সবাজারের হিমছড়ির ঝরণা। অযত্ন-অবহেলায় ম্লান পানিপ্রবাহ। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় এনসিপি
  • সাঁতরে যমুনা পার
  • ‘আমি আর প্রসেনজিৎ যখন পর্দায় থাকি, তখন সবকিছু ভুলে যাই’
  • দীপিকার ‘আকাশচুম্বী’ চাহিদায় বিরক্ত পরিচালক, বাদ দিলেন সিনেমা থেকেই
  • কক্সবাজারের যে স্থান থেকে একসঙ্গে দেখা যায় পাহাড়-সাগর আর ঝরনা