ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের দাপ্তরিক মুঠোফোন নম্বরটি হ্যাকড হয়েছে। ফোন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন নম্বরে খুদে বার্তা পাঠিয়ে দিয়ে টাকা চাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসার পর নম্বরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর।

হ্যাকড হওয়া নম্বরটি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সময়ে নেওয়া হয়েছিল। অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের পরে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল এটি ব্যবহার করেন। পরবর্তী সময়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিয়াজ আহমেদ এটি ব্যবহার করছিলেন। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দাপ্তরিক মুঠোফোন নম্বর।

ওই মুঠোফোন নম্বর থেকে যেসব নম্বরে চ্যাট করা হয়েছে, সেসব নম্বরে আজ শনিবার দুপুরে হ্যাকার ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করার জন্য খুদে বার্তা পাঠান। এই বার্তা পেয়ে অনেকে বিস্মিত হন। পরে জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হ্যাকিংয়ের শিকার।

অনলাইন একটি নিউজ পোর্টালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে উপাচার্যের নম্বর থেকে ১৫ হাজার টাকা চেয়ে খুদে বার্তা পাঠানো হয়। খুদে বার্তায় বলা হয়, ‘বিকাশে ১৫ হাজার টাকা হবে? আমার আর্জেন্ট লাগবে। এখন পাঠিয়ে দেওয়া যাবে?’

আরেকটি খুদে বার্তায় বলা হয়, ‘আমি কালকে ব্যাংক থেকে তুলে দিয়ে দিব সমস্যা নেই।’ এভাবে আরও কয়েকজনকে একই মেসেজ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘উপাচার্য স্যারের দাপ্তরিক ফোন নম্বর হ্যাকড হয়েছে। সেখান থেকে অনেকের কাছে টাকা চেয়ে মেসেজ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে আমরা ডিবিতে জানিয়ে নম্বরটি বন্ধ রেখেছি। তবে উপাচার্যের ব্যক্তিগত নম্বর নিরাপদ আছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপ চ র য র

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩

তিনি বলেন, ‍“ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ