আলোচিত স্মৃতিকথায় মিথ্যা লেখার অভিযোগ
Published: 12th, July 2025 GMT
এই গ্রীষ্মের আলোচিত বইগুলোর একটি রেইনর উইনের লেখা দ্য সল্ট পাথ। বইটি সমালোচকদের দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এর গল্পের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত ৬ জুলাই দ্য অবজারভার একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে, লেখক রেইনার উইন তাঁর আত্মজীবনীতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তিনি তাঁর সাবেক এক কর্মস্থল থেকে ৬৪ হাজার পাউন্ড আত্মসাৎ করেন এবং নিজেদের গৃহহীন হয়ে পড়ার বিষয়টি ভুলভাবে পাঠকের কাছে তুলে ধরেন। বইয়ে যেভাবে তাঁদের বাড়ি বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাতেও বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। এমনকি উইনের স্বামী মথের রোগ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দ্য গার্ডিয়ান রেইনার উইনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘অবজারভারের রিপোর্টটি অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর। আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। আপাতত আর কোনো মন্তব্য করব না।’
উইন বলেন, ‘দ্য সল্ট পাথ বইটি আমাদের জীবনের নির্মম সত্যচিত্র। এটি আমাদের জীবনের প্রকৃত কাহিনি।’
অবজারভার তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, উইনের প্রকৃত নাম স্যালি ওয়াকার। তিনি এস্টেট এজেন্সি ও প্রপার্টি সার্ভে ফার্মে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করার সময় সেখান থেকে প্রায় ৬৪ হাজার পাউন্ড আত্মসাৎ করেন। ফার্মটির মালিকের স্ত্রীর বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ওই ঘটনার পর ওয়াকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
গ্রন্থনা: রবিউল কমল
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইন র
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনায় ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু
নেত্রকোনার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মিয়া ঘাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কখনো বাড়িতে থাকতেন, কখনো বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন।
গতকাল সন্ধ্যার পর সাজ্জাদ বাড়িতে ফেরেন। রাতের খাবার শেষে মোস্তফা মিয়া নিজ ঘরে শুয়ে পড়লে হঠাৎ সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তফা মিয়া।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মোস্তফা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে এবং সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।