ইশরাকের শপথের উদ্যোগ নেই, ফের নগর ভবনে সমর্থকরা
Published: 24th, May 2025 GMT
আইনি বাধা না থাকলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যাপারে এখনও সরকারের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। আদালতের রায়ের পর ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে রাজপথ ছেড়েছিলেন ইশরাক ও তাঁর সমর্থকরা। সেই সময়সীমা শেষ না হলেও গতকাল শনিবার ফের নগর ভবনে অবস্থান নেন তারা। যথারীতি ফটকগুলোতে তালা দিয়ে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির পর শনিবার কর্মদিবস থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আজ রোববারের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আবারও কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা।
ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর বিষয়ে গত ১৪ মে মামুনুর রশীদের পক্ষে আকবর আলী নামের এক আইনজীবী আদালতে রিট করেন। সেদিন থেকেই ইশরাক সমর্থকরা আন্দোলনে নামেন।
ইশরাককে মেয়র হিসেবে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশের পর তাঁর শপথ পড়ানোর বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কেউ স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না। গতকালও উদ্যোগ না নেওয়ায় ফের নগর ভবনে জড়ো হন ইশরাক সমর্থকরা। তবে নাগরিক সেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়ে সমর্থকদের ফোনে নির্দেশনা দেন ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যেহেতু সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছি, মাঝখানে শুক্রবার থাকায় সেদিন কোনো কাজ হয়নি। আমরা আরেক দিন সময় দেব। এর মধ্যে যার যার কাজ যেটা আছে, সেটা যেন সম্পন্ন করেন।’
ইশরাকের মেয়র পদে শপথের দাবিতে ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেন, ‘এখনও ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু করেনি সরকার। যতদিন সরকার শপথের প্রক্রিয়া শুরু করবে না, ততদিন আন্দোলন চলবে।’
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমর থকর নগর ভবন র শপথ র ইশর ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী নির্বাচনে ৩৮.৭৬% ভোট পেতে পারে বিএনপি
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অন্য সব রাজনৈতিক দলের চেয়ে বেশি ভোট পাবে বল মনে করেন তরুণরা। তাদের বিবেচনায় সর্বাধিক ৩৮ দশমিক ৭৬ ভোট পাবে দলটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ৪৫ ভোট পাবে জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পাবে ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পায়, তাহলে ১৫ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ ভোট পাবে।
দেশের তরুণদের ওপর পরিচালিত মাঠ পর্যায়ের এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে গত ২০ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। সোমবার রাজধানীর হোটেল ব্র্যাক ইনে জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগের দুটি জেলার দুটি করে উপজেলার দুই হাজার তরুণের ওপর জরিপটি পরিচালনা করা হয়।
‘রূপান্তরকালে তরুণ সমাজ : জুলাই পরবর্তী কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের গতি’ শিরোনামের এই জরিপে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের তরুণের মতামত নেওয়া হয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া তরুণদের একটা অংশ এখনও ভোটার নন। এ হারটা কত তা স্পষ্ট নয়।
জরিপের ফল বলছে, নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর বাইরের ইসলামিক দলগুলো ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে। জাতীয় পার্টি পাবে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ ভোট। অন্যান্য ছোট দলগুলো পাবে শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট।
তরুণদের মতে দেশের কোন বিভাগে কোন দল কী হারে ভোট পেতে পারে, তারও একটা চিত্র তুলে আনা হয়েছে জরিপে। এতে দেখা যায়, সব বিভাগেই এগিয়ে রয়েছে বিএনপি। দলটি সবচেয়ে বেশি ৪১ দশমিক ৯৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে চট্টগ্রাম বিভাগে। সবচেয়ে কম ৩৬ দশমিক ১৩ শতাংশ পেতে পারে সিলেটে।
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের বিষয়ে উত্তর দাতাদের কাছে প্রশ্ন ছিল– আপনি কি মনে করেন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি দেশের উন্নয়নের জন্য কল্যাণকর? জবাবে ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দিয়েছেন। বাকিরা ‘না’ সূচক জবাব দিয়েছেন। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পার বলে মনে করে জরিপে অংশ নেওয়া তরুণদের ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। ১৪ দশমিক ১ শতাংশ তরুণ মনে করেন, এ জন্য ১০ থেকে ২০ বছর সময় লাগতে পারে। উত্তর দাতার ২২ দশমিক ৮ শতাংশ মনে করেন, ধর্মভিত্তিক দল কোনোদিন এ দেশের শাসন ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
জরিপে অংশ নেওয়া তরুণ ভোটারদের ৭৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে চান। তবে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের অংশগ্রহণের বিষয়ে হতাশা ও অনাগ্রহ রয়েছে।
৮২ দশমিক ৭ শতাংশ তরুণ জানিয়েছেন, তারা রাজনীতিতে যুক্ত হতে চান না। কারণ হিসেবে রাজনৈতিক সহিংসতা ও রাজনীতিবিদদের নৈতিকতার অভাবের কথা বলেছেন তারা।
জরিপটি পরিচালনার ব্যাখ্যা দিয়ে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান অনুষ্ঠানে বলেন, জুলাই বিপ্লবের এক বছর পর কর্মসংস্থান নিয়ে তরুণদের ভাবনা, চ্যালেঞ্জ, আশাবাদ ও হতাশা বুঝতে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়।
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ছিল অনেক। তরুণ সমাজের আন্দোলনের মূলে ছিল বৈষম্যের অবসান। তবে তা কি হয়েছে? এখনও নানাভাবে নানান পর্যায়ে বৈষম্য রয়েছে।