অভয়নগরে আগুনে পোড়া বাড়িগুলো পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
Published: 25th, May 2025 GMT
যশোরের অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের আগুনে পোড়া বাড়িগুলো পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার রওনক জাহান।
রবিবার (২৫ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে যান তারা।
গত ২২ মে ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সরদারকে গুলি করে ও কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর ওই গ্রামের অন্তত ২০টি বাড়ি লুটপাট করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এতে নিঃস্ব হয়ে যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
আরো পড়ুন:
মাদকসেবন নিয়ে ঝগড়ায় শুভকে খুন করে বন্ধুরা : পুলিশ
পালিত ছেলের বিরুদ্ধে মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পুলিশ সুপার রওনক জাহানকে কাছে পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির নারীরা কান্না ভেঙে পড়েন। তারা তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার তাদের পাশে থাকার এবং সব ধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দেন।
পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, “যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা খুবই খারাপ। তবে ঘটনা শোনার পরপরই আমরা সব দপ্তরগুলো অত্যন্ত সচেতন আছি। তাৎক্ষণিক আমরা তাদের খাবার, পোশাক, ঘরের টিনসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করেছি।”
ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এখানে পুনর্বাসনের যে কথা বলা হচ্ছে, সেটা অবশ্যই করা হবে। ঘটনার সময় তো আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম, প্রশাসন এখন সর্বদা প্রস্তুত আপনাদের নিরাপত্তা দিতে। আপনাদের নিঃভয়ে ঘরে ফিরুন।”
এ সময় যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন, সাধারণ সম্পাদক তপন বিশ্বাসসহ পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রিটন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অভয়নগরে কৃষক দল নেতাকে হত্যার ঘটনায় ২০ বাড়িতে আগুন
যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নে কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম (৪৮) সরদারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন একদল লোক।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত তরিকুল ইসলাম পৌর কৃষক দলের সভাপতি ও পৌরসভার ধোপাদি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়।
আরো পড়ুন:
দৌলতপুরে পরীক্ষা দিতে এসে হামলার শিকার ২ শিক্ষার্থী
ডিআরইউয়ে সন্ত্রাসী জাকির গংয়ের হামলার শিকার সভাপতিসহ অনেক সাংবাদিক
শুক্রবার (২৩ মে) ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে গেলে দেখা যায়, বাড়িগুলো আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। কয়েকটি বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখা গেছে, আগুনে ঘরের আসবাবপত্র, জামা-কাপড় ও লেপ-তোশক-বিছানা কয়লা হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর একদল লোক ডহর মশিয়াহাটীতে এসে ঘরে থাকা টাকা, স্বর্ণ লুট করার পর একের পর এক বাড়িতে আগুন দেয়। অনেককে মারধর করা হয়। আগুনে ধানের গোলা, বসত ঘর ও গোয়ল ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অন্তত পাঁচটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের পর রাত ৯টার দিকে সুন্দলী ইউনিয়নের সুন্দলী বাজারে চারটি দোকান লুট করা হয় ও পাঁচটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। বাজার থেকে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুব্রত মন্ডলের মোটরসাইকেল নিয়ে গেছেন নাম না জানা লোকজন।
ভুক্তভোগী এক নারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, বাড়ির কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। সব আগুনে পুড়ে গেছে। পাসপোর্ট ও ওষুধ ছিল, তার সব পুড়ে গেছে।
কী কী হারিয়েছেন এর তালিকা করতে বললে তিনি জানান, তালিকা করে কোনো লাভ নেই। কোনো কিছুই আর ফিরে পাব না। বাড়ির ছয়টি মানুষ বেঁচে আছি এটাই অনেক।
এদিকে, ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে হামলার শিকার বাড়িগুলো পরদর্শন করেছেন বাংলাদেশ বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন।
অভয়নগর থানার ওসি আব্দুল আলীম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এর প্রতিবাদে কয়েকজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।”
ঢাকা/রিটন/মাসুদ