কাবাব, ফালুদা, লাচ্ছিসহ মুখরোচক খাবারের এক বাজার
Published: 26th, May 2025 GMT
জনসন রোডের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় পেরিয়ে সামনের দিকে তাকালে দৃষ্টি কেড়ে নেয় বাহাদুর শাহ পার্কের কিনার দিয়ে মাথা তুলে থাকা গুলাচিগাছগুলোর শাখা ভরে থাকা থোকা থোকা সাদা ফুলের সমারোহ। উত্তর পাশে গম্ভীরভাবে দাঁড়িয়ে আছে পানির ট্যাংক। এখানে-ওখানে খসে পড়া আস্তরণ আর বিবর্ণ হয়ে আসা লালচে রং জানিয়ে দেয়, বহু বয়স হয়েছে ট্যাংকটির। সেটি পাশ কাটিয়ে খানিকটা পূর্ব দিকে এগোলেই পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মীবাজার এলাকা। এরপর আর সবুজের সমারোহ চোখে পড়বে না। দরদালানে আকীর্ণ।
আগে উদ্যানটির নাম ছিল ভিক্টোরিয়া পার্ক, পরে নাম রাখা হয়েছে বাহাদুর শাহ জাফর পার্ক। এখান থেকে পূর্ব দিকে লক্ষ্মীবাজারের ভেতর দিয়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ পর্যন্ত বেশ প্রশস্ত সড়কটির নাম সুভাষ বোস অ্যাভিনিউ। এ সড়কই এখন সূত্রাপুর, শিংটোলা, পাতলা খান লেন, গোয়ালনগর, রাজার দেউড়ি, ধোলাইপাড়, শাঁখারীবাজার, কলতাবাজার, তাঁতীবাজার, বাংলাবাজারসহ আশপাশের বাসিন্দাদের একটি মিলনস্থলে পরিণত হয়েছে। কেনাকাটা, স্কুল-কলেজ, কোচিং সেন্টারে সন্তানদের আনা নেওয়া, বিনোদনকেন্দ্রের রাইডে চড়া বা বিকেলে একটু আড্ডা দিতে তরুণদের পছন্দ প্রশস্ত এ সড়ক।
ঢাকার বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে লক্ষ্মীবাজার এলাকায়। এর মধ্যে সরকারি কাজী নজরুল কলেজ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ, সেন্ট গ্রেগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা গভ.
সড়কটির দুই পাশে নানা ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। উত্তর দিকের সড়কের কিনার দিয়ে শ খানেক খাবারের ভ্যানগাড়ি। দেশি-বিদেশি হরেক রকমের খাবার বানিয়ে গরম-গরম বিক্রি করা হয় এসব দোকানে। ভ্যানের সামনে ও পেছনে ফুটপাত ঘেঁষে টুল ও বেঞ্চ পেতে বসার ব্যবস্থাও আছে। সাধারণত দুপুরের পর থেকেই এসব দোকানে বেচাকেনা বেশ জমে ওঠে। রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত চলে আড্ডা, খাওয়াদাওয়া।
ফাস্ট ফুডের রকমারি দোকান আছে লক্ষ্মীবাজারে। আইসক্রীম বানাতে হাতে বরফ ভাঙার কাজ করছেন দুই তরুণউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: লক ষ ম ব জ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে ফেনী এখন ভাঙাচোরা সড়কের শহর
শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক ফেনী শহরের ব্যস্ততম রাস্তা। এই সড়কের পাশেই শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা। একটু ভারী বৃষ্টিতেই ডুবে যায় সড়কটি। গত বছরের আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় সড়কের দুই কিলোমিটার অংশ কোমরপানিতে তলিয়ে ছিল পাঁচ দিন। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে খানাখন্দ তৈরি হয়। পানি নেমে যাওয়ার পর পাথর ও ইটের সুরকি দিয়ে অস্থায়ী মেরামত করা হলেও স্থায়ী সংস্কার হয়নি। এ বছর বর্ষায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় আরও বেহাল হয়েছে সড়কটির দশা। ছোট ছোট গর্তে ভরা এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলে ধীরগতিতে। ফলে সড়কে যানজট লেগেই থাকে।
পৌর শহরের এই প্রধান সড়কে তা–ও যানবাহন চলে কোনোরকমে। শহরের অলিগলি আর অভ্যন্তরীণ সড়কের দশা এর চেয়ে অনেক বেহাল। শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক থেকে একটু এগোলে হাসপাতাল মোড় থেকে সালাহ উদ্দিন মোড় পর্যন্ত যে সড়কটি রয়েছে, তাতে আগাগোড়াই বড় বড় খানাখন্দ। সড়কটির সাহেববাড়ি অংশে বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় ইট দিয়ে সাময়িক মেরামত করলেও ছোট-বড় গাড়ির চাকা সেসবকে স্থায়ী হতে দেয়নি। এটিসহ পৌরসভার ছোট-বড় প্রায় ৩০টির বেশি সড়ক এখনো বন্যার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। ২০২৪ সালের বন্যার এক বছর পার হলেও ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর দৃশ্যমান কোনো সংস্কার হয়নি। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের কাজ অচিরেই শুরু হবে।
একসময়ের ছিমছাম ও সাজানো ফেনী এখন ভাঙাচোরা সড়কের শহর। খানাখন্দে ভরা সড়কগুলোতে গাড়ি চলে হেলেদুলে। হালকা বৃষ্টিতেও প্রায় সব সড়কে পানি জমে যায়। পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে। অধিকাংশ সড়কের পিচঢালাই উঠে যাচ্ছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক শহরকে যেমন শ্রীহীন করেছে, তেমনি বাড়িয়েছে জনদুর্ভোগ।
সরেজমিন ঘুরে শহরের পাঠানবাড়ি সড়ক, মাস্টারপাড়া মুন্সিবাড়ি সড়ক, কদল গাজী সড়ক, বিরিঞ্চি প্রাইমারি স্কুল সড়ক, বিরিঞ্চি রতন সড়ক, সুলতানপুর আমির উদ্দিন সড়ক, গাজী ক্রস রোড, সুফি সদর উদ্দিন সড়ক, আবু বক্কর সড়ক, শহীদ ওবায়দুল হক সড়ক, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি সড়ক, চাড়িপুর মৌলভী আব্দুস সালাম সড়ক, উত্তর চারিপুর বাইতুশ শরিফ সড়ক, পূর্ব বিজয় সিং ছোট হুদা দিঘি সড়ক, মধুপুর মালেক মিয়া বাজার সড়কের বেহাল দশা দেখা গেছে। সব মিলিয়ে ৩০টি সড়কের সব কটিই এখন বেহাল।
একসময়ের ছিমছাম ও সাজানো ফেনী এখন ভাঙাচোরা সড়কের শহর। খানাখন্দে ভরা সড়কগুলোতে গাড়ি চলে হেলেদুলে। হালকা বৃষ্টিতেও প্রায় সব সড়কে পানি জমে যায়। পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে। অধিকাংশ সড়কের পিচঢালাই উঠে যাচ্ছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক শহরকে যেমন শ্রীহীন করেছে, তেমনি বাড়িয়েছে জনদুর্ভোগ।ফেনী পৌরসভায় ইজিবাইক চালান সুজাউদ্দিন। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে অন্য অনেকের চেয়ে তাঁকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে জানিয়েছেন। ফেনীর শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে সম্প্রতি সুজাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা হয়। কথায় কথায় তিনি বলেন, ছোট-বড় গর্ত থাকায় অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে প্রতিনিয়ত গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় যাত্রীরা গাড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার দশা হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় ভাড়াও কমেছে তাঁর।
শাহিন একাডেমি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিম শহরের সড়কগুলোর ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সড়কের পাশে পর্যাপ্ত নালা নেই। এ কারণে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে। বাড়ির সামনের সড়কের এই হাল হলে আর কাজকর্ম করতে ইচ্ছা হয় না।
ফেনী পৌরসভার বিসিক–মুক্তার বাড়ি সড়কের মাঝে এমন বড় বড় খানাখন্দ