সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকার কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

সোমবার (২৬ মে) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ধনকুন্ডা ভাঙ্গারপুল ডিএনডি লেক পাড় এলাকায় মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

বিক্ষোভ মিছিলটি গোদনাইল ধনকুন্ডা ভাঙ্গারপুল ডিএনডি লেক পাড় এলাকা থেকে শুরু হয়ে কদমতলী নাভানা ভূঁইয়া সিটি হয়ে আদমজী-চাষাঢ়া সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় ভাঙ্গারপুল এলাকায় এসে শেষ হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের বাবা শামীম খান, ফুফু পিংকি বেগম ও বড়বোন সোহানা।

কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের বাবা শামীম খান তার বক্তব্যে বলেন, আমি আমার ছেলে আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার চাই। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরো যে তিনজন আসামী রয়েছে, তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্শন করছি।

আজ আমার কোল খালি হয়েছে, কাল যেন আরেকজনের কোল খালি না হয়। আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের ফুফু বলেন, আমরা চাই ডিএনডি লেক পাড়টি যেন পুরোপুরি নিরাপদ থাকে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা যাতে সন্ধ্যার পর রাতে হাটতে পারে। কিশোরগ্যাংয়ের উৎপাতে এই লেক পাড়ের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে।

ছিনতাই, চাঁদাবাজী, গাঁজা, ইয়াবা ব্যবসা, সেবন এবং মেয়েদেরকে ইভটিজিং সহ সব এই লেক পাড়ে হয়। লেক পাড়ের লাইটগুলো বন্ধ থাকার কারণে অন্ধকারে আরো বেশি অপরাধ হয়। এক আব্দুল্লাহ গেছে আমরা চাইনা আরো কোন আব্দুল্লাহর মারা যাক। আমরা চাই আব্দুল্লাহ হত্যার একটা সুষ্ঠু বিচার হউক।

তিনি আরো বলেন, এই লেক পাড়ে একটি দোকান আছে, আব্দুল্লাহকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে তার পাশেই চাচার দোকান নামে পরিচিত। ওই চাচার দোকানে চার বছরের শিশু থেকে শুরু করে বুড়ারাও সেখানে যায়, মাদক দ্রব্য কিনে এবং খায়। আমরা চাই না এই দোকানটা এখানে থাকুক।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মে শুক্রবার রাত ১০টায় দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জেরে আব্দুল্লাহ ছুরিকাঘাতে আহত হয়। পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই নিহতের বাবা শামীম খান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় মো.

হৃদয়, সাব্বির, মো. আতিক ও  মো. জাহিদকে  আটক করেছে পুলিশ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটিতে হল খোলা রাখার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের

পবিত্র ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষে ২৩ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এ দীর্ঘ ছুটিতে আগামী ৪ জুন থেকে ১৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ রাখার বিষয়ে ভাবছে প্রাধ্যক্ষ পরিষদ। তবে ছুটিতে হল খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।

এ সময় ‘ছুটির নামে হল বন্ধের প্রহসন মানি না’, ‘শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা আর না’, ‘ঢাবি, রাবি, জাবি পারলে ইবি কেন নয়?’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যা-কার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। 

আরো পড়ুন:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০-এ পা

লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কারাগারে

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতি বছর ঈদে ইবির সব হল দীর্ঘদিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। যা শিক্ষার্থীদের জন্য চরম ভোগান্তির। ছুটিতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কেনো বন্ধ করা হবে? বহু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত যারা ঈদুল আজহা উদযাপন করেন না। ছুটির সময় হলে বন্ধ থাকলে তাঁদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়ে।

তারা বলেন, ছুটির পরপরই ৪৭তম বিসিএসসহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী হলে থেকে এসব পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হল বন্ধ হলে তাদের প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটবে এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি হবে। এছাড়া স্নাতকোত্তর ও গবেষণামূলক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চলমান থিসিস, গবেষণা প্রকল্প এবং ল্যাবরেটরি কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। হল বন্ধ হলে এসব কাজ অনিশ্চয়তায় পড়বে।

তারা আরও বলেন, ঈদের পরপরই বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল, মধ্যবর্তী মূল্যায়ন ও প্রেজেন্টেশন থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসেই সেগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের পড়াশোনায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য হল খোলা রাখা প্রয়োজন। দূরবর্তী অনেক শিক্ষার্থী বন্ধে ক্যাম্পাসে থাকেন। কিন্তু হল বন্ধ করে দিলে তাদের থাকার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর আগে বিভিন্ন সময়ে হল খোলা রাখার বিষয়ে আমাদের বলেছেন। কিন্তু এখন তারাই হল বন্ধ করে দিচ্ছেন। আমরা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল খোলা রাখার দাবি জানাই।

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে স্মারকলিপি নিয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের দাবি তুলে ধরেন। 

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কোষাধ্যক্ষ বলেন, “তোমরা যারা হলে থাকতে চাও, তারা তোমাদের হলের প্রধ্যক্ষকে চাহিদার কথা জানাও। তারা প্রাধ্যক্ষ পরিষদকে জানাবে এবং প্রাধ্যক্ষ পরিষদ আমাদের সঙ্গে বসবে। হল খোলা রাখার বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ পরিষদ ইতিবাচক হলে আমরাও ইতিবাচক।” 

এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল গফুর গাজী বলেন, “হল খোলা রাখার বিষয়ে আমরা পজিটিভ। ছুটিতে যারা হলে থাকতে চায়, তাদের লিখিতভাবে স্ব-স্ব হল প্রাধ্যক্ষের কাছে আবেদন দিতে বলেছি। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শিক্ষার্থী যদি থাকতে চায়, তাহলে আমরা হল খোলা রাখব।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছুটিতে হল খোলা রাখার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
  • জবি ডিবেটিং সোসাইটির সম্পাদকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • বিএনপি নেতা কামরুলের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম
  • পাবিপ্রবিতে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
  • তৃতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা পেল ডিএনসিসির পশুর হাটের ইজারা
  • মাদরাসার অ্যাডহক কমিটি গঠনে দুর্নীতি, এলাকাবাসীর মানববন্ধন
  • আওয়ামী দোসরদের বাদ দিয়ে বিএনপির কমিটি করার দাবি
  • টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • আওয়ামী লীগের দোসরদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি বিএনপির একাংশের