বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জেবুন্নেছা আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জেবুন্নেছাকে হাজির করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক হাবিবুর রহমান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, জেবুন্নেছা আফরোজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ১৬ মে রাজধানী ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মারজুক আবদুল্লাহর দায়ের করা একটি মামলায় তাঁকে সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলাতেও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: আজহারুলের আইনজীবী

জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, আপিল বিভাগের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সত্য বিজয়ী ও মিথ্যা পরাভূত হয়েছে।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন আজহারুল ইসলাম। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আজহারুলের করা আপিল সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন। আপিল বিভাগের এই রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী শিশির মনির এসব কথা বলেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াত ও বিএনপির ছয়জন শীর্ষস্থানীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অন্ততপক্ষে পাঁচজন কারাগারেই মৃত্যুবরণ করেছেন। দুনিয়ার ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন নির্যাতনের শামিল।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ টি এম আজহারুল ইসলাম সৌভাগ্যবান, তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন। আল্লাহতায়ালা তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তাই। আমরা এটাও মনে করি, এই রায়ের মাধ্যমে সিন্ডকেটেড ইনজাস্টিসের অবসান হয়েছে। আমরা এটাও মনে করি, এই রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আদালতের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে।’

আরও পড়ুনমৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা আজহারুল১ ঘণ্টা আগে

আদালত চারটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি বলেন, ‘প্রথমটি বলেছেন অতীতের রায়ে বাংলাদেশসহ এই ভারতীয় উপমহাদেশের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার পদ্ধতি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। আদালতের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ মূল্যায়ন করা ছাড়াই আজহারুল ইসলামকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন যে পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি বিচারের নামে অবিচার। আরও বলেছেন, যেসব তথ্যপ্রমাণ আদালতে হাজির করা হয়েছিল, অতীতের আপিল বিভাগ তা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলশ্রুতিতে আজকে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা মনে করি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সত্য বিজয়ী হয়েছে মিথ্যা পরাভূত হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সারজিসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন
  • আমি পাওয়ারকে সিজদা করি: সুব্রত বাইন
  • ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি বৃহস্পতিবার
  • আনিস-সালমান রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার ৯
  • মুক্তি পেয়ে শাহবাগে সমাবেশে যোগ দিলেন আজহারুল ইসলাম
  • ভারতে সাজাভোগ শেষে বেনাপোল দিয়ে ফিরলেন ৩৬ জন
  • ভারতে পাচারের শিকার ৩৬ কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরেছে
  • চিন্ময় দাসকে আরেক মামলায় জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদে অনুমতি
  • চিন্ময় দাসকে আরও এক মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
  • রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: আজহারুলের আইনজীবী