রাশিয়ার জ্বালানি খাতে গতকাল শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। বৃহৎ রুশ জ্বালানি তেল কোম্পানি গাজপ্রম নেফটও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে এল এ ঘোষণা।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, জ্বালানি খাত থেকে রাশিয়ার আয় কমানোর জি–৭-এর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় দেশটির ১৮০টির বেশি জাহাজের পাশাপাশি জ্বালানি তেল কোম্পানি গাজপ্রম নেফট ও সারগাটনেফত গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

একই সময় যুক্তরাজ্য সরকার দুটি রুশ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে বলেছে, এগুলোর মুনাফা ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অর্থের জোগান দিচ্ছে এবং যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করছে।

এ বিষয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রুশ জ্বালানি তেল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নেওয়া এ পদক্ষেপ যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থের জোগান খালি করবে। পুতিনের হাত থেকে আমাদের কেড়ে নেওয়া প্রতিটি রুবল ইউক্রেনীয়দের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে।’

যুক্তরাজ্য সরকার দুটি রুশ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে বলেছে, এগুলোর মুনাফা ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অর্থের জোগান দিচ্ছে এবং যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করছে।

এ ছাড়া হোয়াইট হাউসে গতকাল শুক্রবার বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুতিন এ মুহূর্তে কঠিন অবস্থায় আছেন। আর আমি মনে করি, এটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ যে তিনি যেসব ভয়াবহ কাজ করে চলেছেন, তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর যেন নিশ্বাস ফেলার জায়গা না থাকে।’

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজপ্রম নেফট নিষেধাজ্ঞাকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে।

এদিকে নিষেধাজ্ঞার ওই খবরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম বেড়েছে ব্যারেলপ্রতি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এ কারণে প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ৬৮ ডলার।

পুতিন এ মুহূর্তে কঠিন অবস্থায় আছেন। আর আমি মনে করি, এটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ যে তিনি যেসব ভয়াবহ কাজ করে চলেছেন, তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর যেন নিশ্বাস ফেলার জায়গা না থাকে।-জো বাইডেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট

পেট্রলের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, প্রতি গ্যালনে তিন থেকে চার সেন্ট পর্যন্ত ব্যয় বাড়তে পারে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এ নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর আরও গভীর প্রভাব ফেলবে।’

নিষেধাজ্ঞার খবরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম বেড়েছে ব্যারেলপ্রতি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এতে প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ৬৮ ডলার।

আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসার আগেই এ নিয়ে গুজব ছড়ায়। তখন যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাইডেন প্রশাসন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ‘যতটা সম্ভব কঠিন উত্তরাধিকার’ রেখে যাচ্ছেন।

তেল সরবরাহব্যবস্থা ব্যাহত করার এ পদক্ষেপ রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্রের (প্রেসিডেন্ট পুতিন) আর্থিক ভিত্তির ওপরে বড় আঘাত হানবে। -ভলোদিমির জেলেনস্কি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

মার্কিন অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সব মিলিয়ে রাশিয়ার ৪০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৩টি জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ, রুশ জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও তেলক্ষেত্র পরিষেবাদাতা, রাশিয়ার দুটি বৃহৎ জ্বালানি তেল কোম্পানি এবং এদের অধীন দুই ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠান।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ নিষেধাজ্ঞার প্রশংসা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘তেল সরবরাহব্যবস্থা ব্যাহত করার এ পদক্ষেপ রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্রের (প্রেসিডেন্ট পুতিন) আর্থিক ভিত্তির ওপর বড় আঘাত হানবে।’

জি-৭ সম্মেলনে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্ররাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞারাশিয়ার পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্ররাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় কাজ হচ্ছে না, বলেছেন দুবাইয়ের ব্যবসায়ী নেতাইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তার অভিযোগে ভারতে ১৯ প্রতিষ্ঠান ও ২ ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বালু নিয়ে দ্বন্দ্ব, বাঁধের কাজ বন্ধ

চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধের ৫০৪ কোটি টাকার নির্মাণকাজ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার’ কারণে ছয়টি কাজের মধ্যে তিনটি শুরু হয়নি। দুটি অংশে কাজ শুরু করলেও বালু, সিমেন্টসহ মালামাল সরবরাহ নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে বাধা পেয়ে কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বালু, সিমেন্টসহ নির্মাণ উপকরণ সরবরাহ নিয়ে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের কয়েকটি পক্ষ দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। এর জেরে শ্রমিকদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে কাজ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ নামে এই প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৮৭৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। আনোয়ারা অংশে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হলেও বাধা এসেছে বাঁশখালী অংশে।

বাঁশখালী উপজেলায় চারটি এলাকায় নির্মাণকাজের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০৪ কোটি টাকা। চারটি এলাকাকে (সাধনপুর, খানখানাবাদ, বাহারছড়া ও ছনুয়া) ছয়টি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একক ও যৌথভাবে ছয়টি কাজ পেয়েছে। বাঁশখালী অংশে রয়েছে ৬ দশমিক ৪১ কিলোমিটার বাঁধ ও ঢালু এবং ১ দশমিক ১ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ।

গত মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে নির্মাণকাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৫ থেকে ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও কাজের অগ্রগতি ৩ শতাংশের কম। 

পাউবোর প্রকল্পের নথিপত্রেও নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে স্থানীয় রাজনৈতিক সমস্যাকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নথিপত্র অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্য সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে পণ্য পরিবহনে সমস্যা, বালু উত্তোলনে বাধা ও লবণ চাষের কারণে ব্লক তৈরির মাঠ না পাওয়া।

বালু সরবরাহে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব

বাঁশখালী অংশের ছয়টি কাজের দুটি পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (পিডিএল)। এগুলোর মধ্যে উপজেলার খানখানাবাদের ১ হাজার ৩০০ মিটার বাঁধ ও ঢাল সংরক্ষণের কাজ করছে যৌথভাবে ওয়েস্টার্ন-পিডিএল (প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড)। ছনুয়ার ২ হাজার ৮০০ মিটারের কাজ করছে পিডিএল-আরএফএল।

পাউবো ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, দুটি অংশেই বাঁধের নির্মাণকাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিডিএল। ছনুয়ায় ব্লক নির্মাণের জন্য চট্টগ্রামের বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়ে আসা হয়েছিল।

কিন্তু রাতের আঁধারে তাঁদের মারধর করা হয়। খানখানাবাদের জন্য আনা শ্রমিকদের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর সব শ্রমিক চলে গেছেন। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এসব ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

নির্মাণকাজে বড় বাধা এসেছে বালু সরবরাহ নিয়ে। এ নিয়ে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এর জের ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, বালু সরবরাহ নিয়ে স্থানীয় মেসার্স থ্রি পয়েন্টের সঙ্গে তালুকদার ট্রেডিংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। থ্রি পয়েন্টের অংশীদারেরা হলেন চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফ ও চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম।

অভিযোগ রয়েছে তাঁদের পেছনে আছেন খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সিকদার। জানতে চাইলে থ্রি পয়েন্টের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন তিনি।

অপর পক্ষে তালুকদার ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী হিসেবে আছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ কাইদুল ওয়াদুদ।

থ্রি পয়েন্টের অংশীদার সাবেক ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম বলেন, বালু সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছেন। কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী বালু সরবরাহ করছেন। কিন্তু কাইদুল ওয়াদুদ, আশরাফ ও শাহেদ নামের কয়েকজন ছেলে কার্যাদেশ না পাওয়ার পরও বালু নিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজি হয়নি। এরপরও তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে বালু খালাস করতে চাওয়ায় অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে।

তালুকদার ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ কাইদুল ওয়াদুদ বালু সরবরাহে কার্যাদেশ পেয়েছেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক মাস ধরে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বালু নিচ্ছিল, যা লবণপানি দিয়ে খালাস করা হচ্ছিল।

মানহীন পণ্য ব্যবহারের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল। তিনি প্রথম আলোকে লিখিতভাবে জানান, বাঁধ নির্মাণের বালু, পাথর, রড, সিমেন্টসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় মালামাল খালাস করতে গেলে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় কিছু সরবরাহকারী বালু ও ইট সরবরাহের কাজ নিলেও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করে। মান উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও তা গ্রহণ করতে চাপ দিতে থাকে। এরপর বাইরের সরবরাহকারীদের কাজ দিলে স্থানীয় পক্ষটি আবার পণ্য খালাসে বাধা দিতে থাকে। স্থানীয় কয়েকটি পক্ষের অন্তঃকোন্দলের কারণে কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান না হলে  প্রকল্পটি সময়মতো সম্পন্ন করা কষ্টসাধ্য হবে।

সরেজমিনে খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদম রসুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বালুর বিশাল স্তূপ রাখা আছে এবং ব্লক তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে।

জানতে চাইলে খানখানাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব লোকমান হাকিম বলেন, বাঁশখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ প্রাণের দাবি স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।

পাউবো সূত্র জানায়, বাঁশখালীর ছয়টি কাজের মধ্যে বর্তমানে সাধনপুর অংশে কাজ চলমান রয়েছে। বাকি পাঁচটিতে কাজ হচ্ছে না।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী তানজির সাইফ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বাঁশখালী অংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণে নিয়ে নানা ধরনের বাধা আসছে। স্থানীয় কয়েকটি পক্ষ বালু, সিমেন্ট, শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। হুমকি দিচ্ছে। এসব কারণে কাজই শুরু করা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে নির্মাণকাজের সময় পিছিয়ে যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ