বিপিএল ছেড়েছেন শাহিন, এবার সুযোগ পাবেন এবাদত?
Published: 15th, January 2025 GMT
বিপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। এবারো দারুণ দল গড়েছে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহকে দলে নিয়েছে তারা। জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল শান্তও আছেন বরিশালের দলে।
যে কারণে দেশের তারকা অনেক ক্রিকেটার নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। ঢাকা পর্বে যেমন ম্যাচ পাননি জাতীয় দলের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। একই কথা বলা চলে পেসার এবাদত হোসেনের জন্যও। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা এই দীর্ঘদেহি পেসার এখনো বিপিএলে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।
তবে পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি বিপিএল ছাড়ায় সুযোগ আসতে পারে এবাদতের সামনে। বিষয়টি নিয়ে ফরচুন বরিশালের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল জানিয়েছেন, এখনো অনেক ম্যাচ বাকি আছে। সামনে খেলার সুযোগ পেতে পারেন এবাদত।
তিনি বলেন, ‘এবাদতসহ আমাদের অনেকগুলো পেস বোলার আছে। সামনে এখনো অনেক ম্যাচ বাকি আছে। টিম কম্বিনেশন ও কে কোন সময় খেলবে এসব চিন্তা করে তাকে এখানো খেলানো হয়নি। সামনে খেলবে না এমন কোন কথা নেই।’
বিপিএলের ভেন্যুতে এবার রান হচ্ছে ভালো। ঢাকা পর্বের প্রায় সব ম্যাচে রান হয়েছে। সিলেটে সেঞ্চুরি পেয়েছেন লিটন দাস, তানজিদ তামিম। বিপিএলের কোচ বাবুল জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম পর্বেও রান হতে পারে। সিলেটের মতোই উইকেট সেখানে। ট্রু উইকেটে স্থানীয় ক্রিকেটাররা ভালো করছেছন দেশে খুশি বলেও জানান তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আট দশক পর দেশের মাটিতে ফিরে যাওয়া
জাপানের টোকিওর নগরকেন্দ্রের ব্যস্ত এক জায়গাজুড়ে আছে বিতর্কিত একটি শিন্তো মন্দির। জাপানে যেটা ইয়াসুকুনি মন্দির নামে পরিচিত। ১৮৬৯ সালে যাত্রা শুরু করা শিন্তো ধর্মের এই মন্দির তৈরি করা হয়েছিল মূলত এক বছর আগে গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সামন্ত্রতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে আধুনিক জাপানের ভিত্তি তৈরি করে নেওয়া মেইজি পুনরুত্থানের সময় গৃহযুদ্ধে নিহত বিজয়ী পক্ষের সৈন্যদের ‘দেবতুল্য’ ভাবমূর্তি তুলে ধরার উদ্দেশ্যে। ফলে বিজয়ী পক্ষের নিহত সব সৈনিকের নাম সেখানে দেবতার সারিতে সন্নিবেশিত আছে, পরাজিতদের নয়।
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবন বিসর্জন দেওয়ার বিনিময়ে পাওয়া এ রকম প্রতিদানের মধ্যে বিতর্কের কিছু থাকার কথা নয়। দীর্ঘকাল ধরে এটা নিয়ে কোনো রকম বিতর্কও ছিল না। তবে সেই হিসাব পাল্টে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সর্বোচ্চ সাজা পাওয়া জাপানের সেই সময়ের কয়েকজন নেতাকে ১৯৭০–এর দশকের শেষ দিকে ইয়াসুকুনির দেবতার তালিকায় যুক্ত করার প্রচেষ্টা চালানোর মধ্য দিয়ে।
ফলে যুদ্ধের পুরো সময় ধরে জাপানের যে কয়েক লাখ তরুণ দেশপ্রেমে নিবেদিত থেকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, ইয়াসুকুনির সেই ঘটনার আলোকে তাঁদেরও এখন ধরে নেওয়া হচ্ছে ‘বিতর্কিত’ হিসেবে। জাপানের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের বাইরে অন্য একটি মর্মান্তিক দিক হচ্ছে এটা।
যেকোনো যুদ্ধের বলি সর্বাগ্রে হতে হয় যুদ্ধে জড়িত কোনো একটি দেশের তরুণদের। নিজেরা না চাইলেও দেশপ্রেমের দোহাই দিয়ে যুদ্ধে যোগ দিতে যাঁদের সাধারণত বাধ্য করা হয়। এর পরোক্ষ ফলশ্রুতিতে নেতৃত্বের স্খলনের জন্য নেতারাই কেবল নয়, সেসব তরুণকেও চিহ্নিত করা হয় ‘খলনায়ক’ হিসেবে।
এমনটাই সম্ভবত ঘটেছে আট দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত জাপানের কয়েকজন তরুণ সৈনিকের জীবনে। তাঁদের অনেকেরই সম্ভবত জানা ছিল না কেন তাঁরা যুদ্ধে জড়িত। আর যাঁরা তাঁদের যুদ্ধের ময়দানে পাঠিয়েছিলেন, তাঁরা ধরে নিয়েছিলেন যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা সেই তরুণদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কী ঘটে, তা নিয়ে খুব বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করার দরকার সম্ভবত নেই।
সমাধিতে চিরনিদ্রায় শায়িত জাপানিদের নামফলক