‘মুক্তির কণ্ঠ’ দিয়ে শেষ হলো রংপুর পদাতিকের নাট্যোৎসব
Published: 4th, February 2025 GMT
রংপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে রংপুর পদাতিক-বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যৌথ নাট্যোৎসব। ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া উৎসবের শেষ দিন ২ ফেব্রুয়ারি সমাপনী নাটক ‘মুক্তির কণ্ঠ’। নাটকটি রচনা করেছেন রঞ্জন সরকার।
আফ্রিকান বিদ্রোহী কবি বেঞ্জামিন মলোয়েস এর ফাঁসী নিয়ে সারা বিশ্বে যে আলোড়ন উঠেছিল তা উঠে এসেছে এই নাটকে। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন লুকমান শারীফ। প্রযোজনা উপদেষ্টা ও নেপথ্যকর্মী হিসাবে কাজ করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক দীপংকর দীপন। সমাপনী দিনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার রংপুর বিভাগের পরিচালক মো.
এই নাট্যোৎসবে মঞ্চস্থ হয় ঢাকা থিয়েটারের ‘একটি লৌকিক ও অলৌকিক স্টিমার’. তীরন্দাজের ‘কণ্ঠনালিতে সূর্য’, ম্যাড থেটারের ‘রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় বিজয়া’, ভূমিজ পঞ্চগড়ের ‘মায়াচর’, পাবনা ড্রামা সার্কেলের ‘কেনারাম বেচারাম’, প্রচ্ছদ কুড়িগ্রামের ‘ঘর জামাই’, সারথি নাট্য সম্প্রদায় রংপরের ‘কি হচ্ছে এসব’।
এই নাট্যোৎসবে অংশ নিয়ে অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘অনেক দিন আগে রংপুরে মুনতাসির ফ্যান্টাসি নাটক মঞ্চায়ন করেছিলাম- এবার উৎসবে অংশগ্রহণ করে খুব ভাল লেগেছে। দর্শক ও আয়োজকদের স্বতঃস্ফূর্ততা ও আন্তরিকতা আমাদের মুগ্ধ করেছে।’
অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, ‘আমাদের নাটক চলার সময় দর্শকদের এমন রেসপন্স পেয়েছি যে, তা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।’
দীপংকর দীপন বলেন ‘রংপুরে নাট্যর্চার মাধ্যমেই আমার সাংস্কৃতিক জীবনের শুরু। অনেকে বলে রংপুরের নাট্যচর্চায় নাকি ভাটা পড়েছে, আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতাম সেটা সত্যি নয়। সেটাই প্রমাণ হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে। প্রতিদিন হাউসফুল মঞ্চে দর্শক নাটক দেখছেন─এই দৃশ্য দেখে আগত প্রতিটি দলই অভিভূত।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ট য উৎসব ন ট য ৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে ভোরের কুয়াশা মাড়িয়ে স্বপ্নবাজদের ভিড়
ভোরের কুয়াশা কাটতেই ময়মনসিংহ টাউন হলের মাঠে জড়ো হতে থাকেন কৃতী শিক্ষার্থীরা ও তাঁদের অভিভাবকেরা। শীত উপেক্ষা করে আজ বুধবার সকালে কেউ দূরের পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন, কেউ এসেছেন পাশের মহল্লা থেকে। তবু সবার মুখে একই রকমের আনন্দ আর রঙিন স্বপ্নের ঝলকানি। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি-প্রথম আলো জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব-২০২৫-এ ময়মনসিংহে এমন দৃশ্য দেখা যায় সকালজুড়ে।
স্কুলশিক্ষক আবুল কালামও ছেলে আবু সাঈদকে নিয়ে সকাল আটটার মধ্যে পৌঁছে যান অনুষ্ঠানস্থলে। এরপর ঘুরে দেখেন বিভিন্ন স্টল, ছেলের সাফল্যের স্মৃতি ধরে রাখতে তোলেন সেলফিও। নেত্রকোনা সরকারি কলেজ থেকে এবারের এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন আবু সাঈদ। কথা বলে জানা যায়, তিনি স্বপ্ন দেখছেন বিচারক হওয়ার। স্বপ্নবাজ এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে দিনের শুরু থেকেই ময়মনসিংহ টাউন হলের মাঠ উৎসবে রূপ নেয়।
জামালপুরের তাসনিম সুলতানাও এসেছেন মা জহুরা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে। তাঁর বাবা নেই। ব্যাংক কর্মকর্তা বাবার পেনশনের টাকায় তিন ভাইবোনের পড়ালেখা চালান মা। তাসনিম বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করেছেন। মা স্বপ্ন দেখেন, মেয়ে একদিন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবে। জহুরা খাতুন বলেন, ‘মেয়েকে ডাক্তার বানাব, সেই স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি থেকে এই শহরে থাকি। মেয়ে মন দিয়ে পড়ছে। কষ্ট সার্থক হবে ইনশা আল্লাহ।’
জামালপুরের মেলান্দহের সুমাইয়া আক্তার আর ময়মনসিংহের তারাকান্দার আফসানা সানজিলার দেখা হয় টাউন হল মাঠে। ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির গল্প করতে করতেই সেখানে দুজনের বন্ধুত্ব হয়। দুজনে একসঙ্গে তোলেন সেলফিও। কথায় কথায় জানা গেল, সুমাইয়া চান চিকিৎসক হতে, আর আফসানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে শিক্ষকতা করতে চান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের লক্ষ্য লিখে টানিয়ে রাখছেন শিক্ষার্থীরা