চট্টগ্রাম কিংসকে হারিয়ে বিপিএলের ফাইনালে পা রেখেছে ফরচুন বরিশাল। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চট্টগ্রাম ও খুলনা টাইগার্স মুখোমুখি হবে। ম্যাচটি বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে। ওই ম্যাচের জয়ী দল ফাইনালে বরিশালের সঙ্গী হবে। 

চট্টগ্রাম প্রথম কোয়ালিফায়ারে বরিশালের বিপক্ষে হেরেছে। লিগ টেবিলে দুইয়ে শেষ করায় ফাইনালের লড়াই করার আগেকটি সুযোগ পাচ্ছে তারা। খুলনা টানা তিন ম্যাচে জিতে কোয়ালিফায়ারে এসেছে। এলিমিনেটর খেলতে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচেই জিততে হতো তাদের। এরপর এলিমিনেটরে রংপুরকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। 

ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে খুলনা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিমরন হেটমায়ার ও জেসন হোল্ডারকে এনেছে। আগে থেকেই দেশি ক্রিকেটাররা ভালো খেলছিলেন। বিশেষ করে মিরাজ, নাঈম, নাসুম, অঙ্কন ও হাসান মাহমুদ দারুণ ছন্দে আছেন। নওয়াজ ও হোল্ডার অলরাউন্ডার হওয়ায় স্লগে দলের শক্তি বেড়েছে।

ওই জায়গায় চট্টগ্রাম কিংস কিছুটা পিছিয়ে আছে। দলটির কোন অলরাউন্ডার নেই। ছয় ব্যাটার ও পাঁচ বোলার নিয়ে টুর্নামেন্টের অধিকাংশ ম্যাচ খেলেছে তারা। কোয়ালিফায়ার ম্যাচেও যেমন ছয় ব্যাটারের সঙ্গে পাঁচ বোলার খালেদ, শরিফুল, বিনোরা ফার্নান্দো, আলিস ও আরাফাত সানি ছিলেন চট্টগ্রামের একাদশে। 

চট্টগ্রাম একাদশে লেগেছে এক ধাক্কা। বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় বাঁ-হাতি স্পিনার আরাফাত সানি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলতে পারবেন না। তার জায়গা পূরণে বেশ চ্যালেঞ্জ পোহাতে হতে পারে মোহাম্মদ মিঠুনদের। বাঁ-হাতি স্পিনার নাবিল সামাদ দলে থাকলেও একাদশে জায়গার নিশ্চয়তা নেই।

চট্টগ্রাম টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে এসেছে উসমান খান, হায়দার আলী, মোহাম্মদ মিঠুন ও শামীম পাটোয়ারির ব্যাটিংয়ে। এর মধ্যে উসমান খান শুরুর ফর্ম ধরে রাখতে না পারায় একাদশ থেকে বাদ পড়েন। পরে জাতীয় দলের ডাকে দেশে ফিরেছেন তিনি। খাজা নাফি তার জায়গায় সুযোগ পেয়ে ভালো একটি ইনিংস খেলেছেন। খালি চোখে চট্টগ্রামের চেয়ে খুলনা এগিয়ে মনে হলেও শামীম পাটোয়ারি, হায়দারদের একটা ইনিংস বের করে ফেলতে পারে ম্যাচ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

হাদিকে গুলির ঘটনা আ.লীগের নির্বাচনবিরোধী ছকের অংশ: নাহিদ

ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নির্বাচনবিরোধী ছকের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

দুর্নীতি-সন্ত্রাসের অভিযোগ পেলে প্রার্থিতা বাতিল: নাহিদ 

নাহিদ ইসলাম বলেন, “হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, আওয়ামী লীগের নির্বাচনবিরোধী ছকের অংশ।”

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে নরমালাইজ করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা দেখছি।”

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় সব জায়গায় আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করা, প্রশাসনিকভাবে প্রতিহত করা এবং ভারতের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার কথা বলেছি।”

পতিতরা নির্বাচন ঠেকাতে চাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচনি পরিবেশ ফেরাতে হবে।”

নাহিদ বলেন, “আমরা সর্বাত্মকভাবে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখব বলেছি। হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি।”

এর আগে সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে করেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৈঠকে তিনটি দলের দুজন করে প্রতিনিধি অংশ নেন।

বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন-দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন-দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

এছাড়া এনসিপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন- দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ