জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের তিন নেতাকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাফিউর রহমান নাফি এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
জবি শাখা ছাত্রদলের ওই নেতারা হলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার, রাশেদ বিন হাকিম ও ওমর ফারুক।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ছাত্রদল নেতার ইফতার বিতরণ
ছাত্রদলের অভিযোগ
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে একক সম্পত্তি বানানোর চেষ্টা চলছে
নোটিশে বলা হয়েছে, দায়িত্বশীল পদে থাকার পরও তারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এই তিন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় দপ্তরে লিখিত জবাব দিতে হবে। সংগঠনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় কমিটি কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
ঢাকা/হাসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
উর্দু প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করল পাকিস্তানের ডন মিডিয়া গ্রুপ
পাকিস্তানের প্রভাবশালী ডন মিডিয়া গ্রুপ তাদের উর্দু ভাষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করেছে। ১ ডিসেম্বর থেকে ‘ডননিউজ ডট টিভি’ নামের ওই ওয়েবসাইটটির কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। এতে ওয়েবসাইটির ১২ জন কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। সাংবাদিকদের বৈশ্বিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টসের (আইএফজে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।
আইএফজের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সংগঠনটির ওয়েসাইটে মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমটির কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার নিন্দা জানায় আইএফজে ও পাকিস্তান ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস (পিএফইউজে)। শ্রমিক আইন অনুযায়ী সংবাদমাধ্যমগুলো যেন কর্মীদের অধিকার রক্ষা করে, তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
আইএফজে বলেছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয় গত মাসে। এ সময় সংবাদমাধ্যমটির কর্মীদের এক মাসের নোটিশ দেওয়া হয়। ডন মিডিয়া গ্রুপ জানায়, ক্রমেই তাদের আয় কমে এসেছে। বিজ্ঞপনও পাওয়া যাচ্ছিল না। কেন্দ্রীয় ও পাঞ্জাব সরকার পাঁচ মাস ধরে তাদের বিজ্ঞাপন বন্ধ রেখেছিল বলে গত মার্চে এক সম্পাদকীয়তে অভিযোগ করেছিল ডন মিডিয়া গ্রুপ।
উর্দু ভাষায় খবর ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করত ডন উর্দু। ডিজিটাল জগতে উর্দু সাংবাদিকতার নেতৃস্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলে মনে করা হতো এটিকে। তবে এটিই ডন মিডিয়া গ্রুপের প্রথম কোনো সংস্করণ বন্ধের ঘটনা নয়। ২০১৯ সালে ‘হেরাল্ড’ সাময়িকী ও ২০২৫ সালের আগস্টে ‘আরোরা’ সাময়িকী বন্ধ করেছিল তারা। গ্রুপটির ইংরেজি সংবাদের ওয়েবসাইট ‘ডন ডটকম’ ব্যাপক জনপ্রিয়।
ডননিউজ ডট টিভি বন্ধের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আইএফজে বলেছে, এই সংবাদমাধ্যম বন্ধের দিকে পাকিস্তানের সরকারের নজর দিতে হবে। এর মাধ্যমে শুধু শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনই নয় বরং ভবিষ্যতে সংবাদমাধ্যম টিকে থাকার সংকট মোকাবিলার ক্ষমতার প্রশ্নও ওঠে। সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মিলে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পর্যায়ের সরকারগুলোকে এমন কৌশল তৈরি করতে হবে, যা ভবিষ্যতের জন্য সংবাদপত্র খাতকে আরও দৃঢ় করবে।