জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের তিন নেতাকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাফিউর রহমান নাফি এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
জবি শাখা ছাত্রদলের ওই নেতারা হলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার, রাশেদ বিন হাকিম ও ওমর ফারুক।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ছাত্রদল নেতার ইফতার বিতরণ
ছাত্রদলের অভিযোগ
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে একক সম্পত্তি বানানোর চেষ্টা চলছে
নোটিশে বলা হয়েছে, দায়িত্বশীল পদে থাকার পরও তারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এই তিন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় দপ্তরে লিখিত জবাব দিতে হবে। সংগঠনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় কমিটি কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
ঢাকা/হাসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ১২ একর ১৬ শতাংশ (৩৬ বিঘা) জমি ক্রোক ও একটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ (স্থগিত) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন, আত্মসাৎ ও স্থানান্তরের অভিযোগে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৫
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যায় মামলা
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন এসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন।
এতে বলা হয়, সালমান এফ রহমানসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর সহযোগিতায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল শাখার মর্টগেজ দেওয়া সম্পত্তির অস্বাভাবিক অতি মূল্যায়ন করে জনসাধারণের কাছে বন্ড বিক্রির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ১ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করে শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের জেডসিবি চলতি হিসাবে জমা করেন। পরে সেখান থেকে রিডেম্পশন অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর করে অবশিষ্ট ৮০০ কোটি টাকা (সরকারি অর্থ) বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডসহ বেক্সিমকো গ্রুপ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে নগদে ও বিভিন্ন রকম সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। আত্মসাৎ করা অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে লেয়ারিং করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
মামলা তদন্তে রেকর্ড পর্যালোচনায় আসামি ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান শ্রীপুর টাউন শিপ লিমিটেডের নামে গাজীপুরে ১২ একর ১৬ শতাংশ স্থাবর ও একটি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া যায়। তদন্তে জানা গেছে, আসামিরা ব্যাংক হিসাবের অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর এবং স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা স্থানান্তরের মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। এটি করতে পারলে এই মামলার বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। এজন্য এসব সম্পদ হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে না পারেন সে লক্ষ্যে স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবটি ফ্রিজ করা দরকার।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ