জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের তিন নেতাকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাফিউর রহমান নাফি এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
জবি শাখা ছাত্রদলের ওই নেতারা হলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার, রাশেদ বিন হাকিম ও ওমর ফারুক।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ছাত্রদল নেতার ইফতার বিতরণ
ছাত্রদলের অভিযোগ
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে একক সম্পত্তি বানানোর চেষ্টা চলছে
নোটিশে বলা হয়েছে, দায়িত্বশীল পদে থাকার পরও তারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এই তিন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় দপ্তরে লিখিত জবাব দিতে হবে। সংগঠনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় কমিটি কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
ঢাকা/হাসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ৯০ হাজার কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা বিল অনুমোদন
আগামী অর্থবছরের জন্য ৯০ হাজার ১০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা বিল অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। স্থানীয় সময় বুধবার এ বিল পাস হয়।
বিলটি পাস হওয়ার আগে প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয়। ৩১২ জন আইনপ্রণেতা জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন আইন (এনডিএএ) পাসের পক্ষে ভোট দেন। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন ১১২ জন। বিলটি এখন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে এবং আগামী সপ্তাহে সেখানে বিলটি পাস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিরক্ষা বিলের জন্য একটি প্রস্তাব করেন। তবে প্রতিনিধি পরিষদ বিলে তার চেয়ে ৮০০ কোটি ডলার বেশি বরাদ্দ দিয়েছে।
গত রোববার ৩ হাজার ৮৬ পৃষ্ঠার ব্যাপক আকারের বিলটি প্রকাশিত হয়। এতে চীন ও রাশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সামর্থ্য বাড়ানোর মতো এনডিএএ ধারাগুলো যুক্ত করা হয়েছে। এতে মার্কিন সেনাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি এবং সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আবাসনব্যবস্থার উন্নয়ন।
আইনপ্রণেতারা বিলে কয়েকটি ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করেছেন। এর মাধ্যমে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে আগামী দুই বছর ইউক্রেনকে ৪০ কোটি ডলার করে সামরিক সহায়তা প্রদানসহ রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ইউরোপের প্রতিরক্ষায় ওয়াশিংটনের দেওয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির সুদৃঢ় ভিত্তি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ না করা পর্যন্ত পেন্টাগনকে ইউরোপে কমপক্ষে ৭৬ হাজার সেনা ও গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম মোতায়েন রাখার কথা বলা হয়েছে বিলে।
ট্রাম্পের বিরোধিতার কারণে বিল থেকে কয়েকটি কর্মসূচি বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি–সংক্রান্ত উদ্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তন–সম্পর্কিত প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের তহবিল।