কু‌ড়িগ্রা‌মের উলিপু‌র উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র ন‌দীতে গোসল কর‌তে নে‌মে দুই ভাই ইমরান হো‌সেন (৮) ও ইব্রা‌হিম আলী (১২) নি‌খোঁজ হ‌য়ে‌ছেন। শ‌নিবার (১০ মে) দুপুর ৩টার দি‌কে উপ‌জেলার বুড়াবু‌ড়ি ইউনিয়‌নের চর জলাঙ্গারকু‌ঠি গ্রা‌মে এ দুর্ঘটনা ঘ‌টে।

তারা বুড়াবু‌ড়ি ইউনিয়‌নের দেলদারগঞ্জ এলাকার আমিনুল ইসলা‌মের ছে‌লে। বুড়াবুড়ি ইউনিয়‌ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়া‌র্ডের সদস‌্য লোকমান হা‌কিম বিষয়টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

স্থানীয় বা‌সিন্দা আবু সাঈদ জানান, গত ৬ বছর পূ‌র্বে শিশু ইমরান ও ইব্রাহি‌মের মা‌য়ের স‌ঙ্গে তাদের বাবার বি‌চ্ছেদ হয়। এরপর তা‌দের মা ইস‌মো তারার অন‌্যত্র বি‌য়ে হ‌লে শিশু‌ দু‌টি চর জলাঙ্গারকু‌ঠির বা‌সিন্দা নানা ইসলাম আলীর বা‌ড়ি‌তে থা‌কে। দুপুরে  রা‌ফি ইসলাম, ইমরান ও ইব্রা‌হিম ব্রহ্মপুত্র নদীতে গোসল ক‌রতে না‌মে। এ সময় রা‌ফি তী‌রে উঠ‌তে পার‌লেও তারা দুই ভাই নদী‌তে ডু‌বে নি‌খোঁজ হয়। প‌রে স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি ক‌রলেও তা‌দের খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

আরো পড়ুন:

আগাম ভাঙনের ঝুঁকিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের রক্ষা বাঁধ

তিস্তার পানিকে যুদ্ধাস্ত্র বানিয়েছে ভারত: মির্জা আব্বাস

উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, তিনি বিষয়‌টি শুনেছেন। ঘটনাস্থলে লোক পা‌ঠি‌য়ে খোঁজ নেয়া হ‌চ্ছে। 
 

ঢাকা/সৈকত/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ

এছাড়াও পড়ুন:

তিউনিসিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ঘানুশির ১৪ বছর কারাদণ্ড

তিউনিসিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা রাশেদ ঘানুশিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ এবং ‘একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার’ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।

তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তিউনিস আফ্রিকা প্রেস (টিএপি)-এর বরাত দিয়ে বুধবার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু। 

টিএপির খবর অনুসারে, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) তিউনিস ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স কোর্টে সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত মামলার জন্য ফৌজদারি চেম্বার এই রায় জারি করেছেন।

ঘানুশির পাশাপাশি, আদালত বেশ কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে সাবেক গোয়েন্দা প্রধান মাহরেজ জোয়ারি, তিউনিস-কার্থেজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিমান সুরক্ষার সাবেক প্রধান আবদেলকারিম আবিদি, বিরোধী দল আন-নাহদাহ পার্টির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাবিব এল্লুজে এবং বেন আরুস প্রদেশের এজ্জাহরার মেয়র রায়ান হামজাউই।

এছাড়াও, আদালত পলাতক থাকা বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ নাদিয়া আকাচা, ঘানুচির ছেলে মোয়াজ ঘানুচি এবং আন-নাহদাহ পার্টির কর্মকর্তা আদেল দাদা ও রফিক আবদেসালেম।

অভিযোগ গঠনকারী চেম্বার ১৫ মে, ২০২৪ তারিখে মামলাটি বিচারের জন্য পাঠায়। ২ মে, ২০২৫ তারিখে শুনানি শুরু হয় এবং ৮ জুলাই আদালত রায় দেওয়ার তারিখ নির্ধারণের আগে বেশ কয়েকবার স্থগিত করা হয়।

এই মামলায় প্রায় ২০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, অর্থ পাচার, সরকার উৎখাতের চেষ্টা এবং সহিংসতা উস্কে দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়।

তিউনিসিয়ার সংবাদ সংস্থা সব আসামির রায়ের বিস্তারিত বিবরণ দেয়নি। সমস্ত রায় আপিলের আওতায় রয়েছে।

বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা এবং বিরোধী দল আন-নাহদাহ পার্টি মামলাটির সমালোচনা করেছে। এটিকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং ‘তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ ও তার বিতর্কিত পদক্ষেপের সমালোচকদের নীরব করার একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ’ বলে অভিহিত করেছে।

তবে, তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক কারণে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটির সরকার দাবি করছে, সব আসামীর বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ বা ‘দুর্নীতি’ এর মতো ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল একই ধরনের একটি মামলায় ৪০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৩ থেকে ৬৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। তবে তার বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র শাসন জোরদার করার অভিযোগ রয়েছে। 

২০২১ সালের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেসিসি সরকারকে বরখাস্ত করে নির্বাহী ক্ষমতা দখল করেন সাইদ। ২০১৪ সালের সংবিধান পাশ কাটিয়ে দেশের নির্বাচিত সংসদ ও বিচার বিভাগকে ভেঙে দেন তিনি।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ