ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের পর চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত কিশোরীকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পুলিশ গতকাল সোমবার রাতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার পোড়ামানিক পীর গ্রামের বাসিন্দা অনজুল হকের ছেলে মো.

জুয়েল ও তার মা গোলাপি বেগম।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা ১১ মে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা ভুক্তভোগীর আত্মীয়।

এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। পরিবার থেকে রাজি না হওয়ায় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার পথ বেছে নেন তারা। গত ৮ মে সকাল ৯টার দিকে ওই শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা শেষে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে কেন্দ্র থেকে বের হলে চারজন তার পথরোধ করেন। তারা আগে থেকেই শিক্ষার্থীকে অপহরণের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা নিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। ১ নম্বর আসামি জুয়েল তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। বাকি তিনজন সুলতানা বেগম, অনজুল হক ও গোলাপি বেগম তাকে আশ্বস্ত করেন, তারা অটোরিকশায় পেছনে পেছনে আসছেন। বাধ্য হয়ে তখন কিশোরী মোটরসাইকেলে ওঠে। জুয়েল তাকে বাড়ির পথে না নিয়ে দ্রুতবেগে পঞ্চগড়ের দিকে রওনা হন। ওই শিক্ষার্থী বারবার অনুরোধ করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। একপর্যায়ে ভূল্লী থানার ১১ মাইল এলাকায় পৌঁছে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে শিক্ষার্থীকে রাস্তায় ফেলে দেন জুয়েল। তখন চলন্ত ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শিক্ষার্থী মাথা, মুখ, হাত-পা ও কোমরে গুরুতর আঘাত পায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। যেখানে সে ৮ থেকে ১০ মে পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিল।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি সরোয়ার আলম খান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঠ ক রগ ও অপহরণ হত য চ ষ ট পর ক ষ ঠ ক রগ

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় ৮ দিনেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত কিশোরীর

সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে আট দিন আগে অপহরণ হওয়া এক কিশোরীর খোঁজ এখনো মেলেনি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও মেয়েটিকে খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ। মেয়েকে জীবিত ফেরত পেতে ব্যাকুল হয়ে আছে পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে অপহৃতের বাবা বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।

আরো পড়ুন:

আইজিপির সঙ্গে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

নির্বাচনে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

মেয়েটির বাবার করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তার ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দেন আশাশুনির খড়িয়াটী গ্রামের পীর আলী সরদারের ছেলে গোলাম কিবরিয়া। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২২ অক্টোবর মাদারাসায় যাওয়ার পথে গোলাম কিবরিয়া তার সহযোগীদের সহায়তায় মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মেয়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযুক্তরা তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় জিডি করেন মেয়েটির বাবা, যার নং ১৩১২, তাং- ২৭/১০/২৫। 

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়ার মোবাইলে কল করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন বলেন, “মেয়েটির পরিবার সাধারণ ডায়েরি করেছে। মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার করতে পারব।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছয় বছর ধরে নিখোঁজের পর ফেনীতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার, সেই আহাদ আসলে কে
  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
  • সাতক্ষীরায় ৮ দিনেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত কিশোরীর