অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার জেল পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
Published: 1st, July 2025 GMT
অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার জেল পলাতক আসামি উজ্জল ইসলাম ওরফে আব্দুল্লাহ আল কাউসারকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
সোমবার নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর বয়রাতলি এলাকায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে এটিইউ।
মঙ্গলবার বিকেলে এটিইউয়ের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুল আলম রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামি উজ্জল ইসলামের বিরুদ্ধে শেরপুর জেলার এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা ভুক্তভোগীর মা খালেদা বেগম। শেরপুর নালিতাবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনে করা মামলাটি তদন্ত শেষে শেরপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামি উজ্জল ওই মামলায় শেরপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন।
এসপি মাহফুজুল আলম রাসেল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট শেরপুর জেলা কারাগারে হামলা-ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলার ঘটনায় উজ্জল ইসলাম জেল থেকে পলিয়ে আত্মগোপন করেন। ওই ঘটনায় কারা কতৃর্পক্ষ মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় ৮ দিনেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত কিশোরীর
সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে আট দিন আগে অপহরণ হওয়া এক কিশোরীর খোঁজ এখনো মেলেনি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও মেয়েটিকে খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ। মেয়েকে জীবিত ফেরত পেতে ব্যাকুল হয়ে আছে পরিবার।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে অপহৃতের বাবা বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
আরো পড়ুন:
আইজিপির সঙ্গে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
নির্বাচনে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
মেয়েটির বাবার করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তার ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দেন আশাশুনির খড়িয়াটী গ্রামের পীর আলী সরদারের ছেলে গোলাম কিবরিয়া। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২২ অক্টোবর মাদারাসায় যাওয়ার পথে গোলাম কিবরিয়া তার সহযোগীদের সহায়তায় মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মেয়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযুক্তরা তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় জিডি করেন মেয়েটির বাবা, যার নং ১৩১২, তাং- ২৭/১০/২৫।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়ার মোবাইলে কল করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন বলেন, “মেয়েটির পরিবার সাধারণ ডায়েরি করেছে। মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার করতে পারব।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ