অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার জেল পলাতক আসামি উজ্জল ইসলাম ওরফে আব্দুল্লাহ আল কাউসারকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। 

সোমবার নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর বয়রাতলি এলাকায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে এটিইউ।

মঙ্গলবার বিকেলে এটিইউয়ের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুল আলম রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামি উজ্জল ইসলামের বিরুদ্ধে শেরপুর জেলার এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা ভুক্তভোগীর মা খালেদা বেগম। শেরপুর নালিতাবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনে করা মামলাটি তদন্ত শেষে শেরপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামি উজ্জল ওই মামলায় শেরপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন।

এসপি মাহফুজুল আলম রাসেল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট শেরপুর জেলা কারাগারে হামলা-ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলার ঘটনায় উজ্জল ইসলাম জেল থেকে পলিয়ে আত্মগোপন করেন। ওই ঘটনায় কারা কতৃর্পক্ষ মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কৌশলে অপহরণকারীর কাছ থেকে বাঁচল কিশোর

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে আসা কয়েকজন ব্যক্তি অপহরণ করে স্কুলছাত্র সাহেদ আহম্মেদ সিয়ামকে। অনেকটা পথ অতিক্রম করার পর অপহরণকারীদের একজন গাড়ি থেকে নামেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড় শুরু করে সিয়াম। আশ্রয় নেন একটি বাড়িতে।

রবিবার (২৯ জুন) বিকেল ৫টার দিকে ঝিনাইদহের আমতলা বাজার এলাকা থেকে সিয়ামকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিয়ামকে অপহরণ করা হয়। 

সিয়াম মাগুরার মহম্মদপুর থানার কাওড়া গ্রামের সাইফুদ্দিন শামিমের ছেলে। সে বিনোদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে একটি কেন্দ্রে ভুল সেটে পরীক্ষা গ্রহণ

চাকসু নির্বাচনসহ ৭ দাবিতে চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন

ভুক্তভোগী সিয়াম ও তার চাচা শায়েখউদ্দিন সোহান জানান, সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে নাম না জানা ব্যক্তিরা সিয়ামকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। অনেকটা পথ যাওয়ার পর সিয়ামকে গাড়িতে রেখে অপহরণকারীদের একজন প্রস্রাব করতে নামেন। এসময় সিয়াম কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়াতে শুরু করে।

অপহরণকারীরা ধরার চেষ্টা করলে সিয়াম ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ সদরের আমতলা বাজারের পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বাড়িরটির লোকজন সিয়ামের কাছ থেকে তার চাচার নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করেন।

ছেলের অবস্থান জানতে পেরে সিয়ামের পরিবার ঝিনাইদহ সদর থানায় যোগাযোগ করেন। বিকেল ৫টার দিকে সদর থানা পুলিশের একটি টিম সিয়ামকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

ভুক্তভোগী সিয়ামের বাবা সাইফুদ্দিন শামিম বলেন, “এ ঘটনায় মহম্মদপুর  থানায় অভিযোগ দায়ের করব। তাদের ঘটনার সব তথ্য জানানো হয়েছে।”

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, “স্বজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র সিয়ামকে উদ্ধার করেছে। তাকে তার বাবা ও চাচার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বজনরা মহম্মদপুর থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫ আগস্ট শেরপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
  • স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
  • উখিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ অপহরণচক্রের আরও এক সদস্য গ্রেপ্তার
  • কুমিল্লা থেকে অপহৃত শিশু জামালপুর থেকে উদ্ধার
  • লক্ষ্মীপুরে দলীয় পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ
  • কৌশলে অপহরণকারীর কাছ থেকে বাঁচল কিশোর
  • সাবের হোসেন চৌধুরীসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুম ও হত্যার অভিযোগ
  • ৫ মাস আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১