বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্নাতকের (সম্মান) এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তাঁর মা-বাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির এক নেতার ছেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তরুণকে আটক করেছে।

ওই ছাত্রীর আহত বাবা (৫০) ও মাকে (৪৫) প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছেন ধুনট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল মুনছুর আহম্মেদের ছেলে নাফিজ ফয়সাল (আকাশ)। বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। এরপরও পিছু ছাড়েননি নাফিজ। তিনি বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) বিকেলে নাফিজ তার সহযোগীদের নিয়ে বাড়িতে এসে প্রথমে আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় স্ত্রীকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে আমার ওপরও আক্রমণ করা হয়।’

এ বিষয়ে নাফিজ ফয়সালের বাবা ও ধুনট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল মুনছুর বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে আমার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জেরে মেয়েটির পরিবারের লোকজন আমার ছেলেকে মারধর করলে এ ঘটনা ঘটে।’

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল আলম বলেন, ঘটনার পরপরই শেরপুর-ধুনট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তরুণকে আটক করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি চাকু জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

আরো পড়ুন:

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়

এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।

তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।

পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।

এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।

আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।

এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ