ঝড়ে উপড়ে গেছে শতাধিক গাছ, বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
Published: 17th, May 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে ঝড়ে শতাধিক গাছপালা উপড়ে গেছে। এসময় বজ্রপাতে মর্তুজ আলী (৪০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ইব্রাহিম উল্লার ছেলে।
শনিবার (১৭ মে) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার ওপর দিয়ে এই ঝড় বয়ে যায়। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুতের খুঁটিসহ অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। এছাড়া ভুট্টা, মরিচসহ অন্যান্য সবজি খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে ২৬ দিনে ১৩ মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
ইউএনও রবিন মিয়া বলেন, ‘‘ঝড়ে গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া, বজ্রপাতের ঘটনায় এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।’’
ঢাকা/মামুন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীপুরে গতিরোধক স্থাপনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, আশ্বাস পেয়ে প্রত্যাহার
গাজীপুরের শ্রীপুরে গতিরোধক স্থাপনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মহাসড়কের জৈনাবাজার ইউটার্নের কাছে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদের আশ্বাসে সড়ক থেকে সরে যান তাঁরা।
কয়েকজন অংশগ্রহণকারী জানান, অবরোধে স্থানীয় পর্যায়ে সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেন। এর আগে তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন।
অবরোধে অংশ নেওয়া একাধিক বাসিন্দা জানান, জৈনাবাজার ইউটার্নে প্রচুর গাড়ির চাপ থাকায় সেখানে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটে। ইউটার্নটি বিপজ্জনক হলেও দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ইউটার্নটিতে অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় শওকত নামের এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া সেখানে নিয়মিত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
জৈনাবাজার ইউটার্নে গত ৫ মাসে অন্তত ২০টি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে দাবি করে স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিনই জায়গাটিতে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। নিরাপদ করার স্বার্থে সেখানে গতিরোধক স্থাপন করতে হবে। সর্বস্তরের জনগণ এই দাবিতে সেখানে উপস্থিত হয়ে নিজেদের দাবির কথা বলেছেন। পরে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহম্মদ আবদুল বারিক সেখানে উপস্থিত হয়ে ইউএনওর কাছে দাবির বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়ার পর আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুরের ইউএনও সজীব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যেই সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তাঁরাও স্থানটিতে স্পিডব্রেকার দিতে একমত হয়েছেন। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়তো চার-পাঁচ দিন সময় লাগবে।