সরকারের ভেতরে-বাইরে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে: তারেক রহমান
Published: 17th, May 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “সরকার গঠনের মাত্র ১০ মাসের মধ্যেই ভেতরে এবং বাইরে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।”
শনিবার (১৭ মে) রাতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “বিএনপিসহ বাংলাদেশের অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল শুরু থেকেই একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মপরিকল্পনা ও রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে আসছে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে, সরকার সেই আহ্বানে তেমন সাড়া দেয়নি। বরং সরকার জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণাকে কৌশলে ‘অল্প সংস্কার, বেশি সংস্কার’-এই ধরনের একটি অভিনব শর্তের জালে আটকে দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের চিন্তা ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে থাকায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ছে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে সমবেত হচ্ছেন।”
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ
অন্তর্বর্তী সরকারের ২ উপদেষ্টা এনসিপির প্রতিনিধি: সালাহউদ্দিন আহমদ
তারেক রহমান বলেন, “মাত্র ১০ মাসের মাথায় সরকারের ভেতরে ও বাইরে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সরকার যদি জনগণের ভাষা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো বাড়বে। এভাবে অস্থিরতা বাড়তে থাকলে সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।”
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
একটি পক্ষ তৈরি হচ্ছে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে: মির্জা আব্বাস
বিএনপি যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারে, সে জন্য একটি পক্ষ সুচতুর কৌশলে তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে ‘গণ-অভ্যুত্থান–২০২৪ জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠানে তাঁর ভিডিও বক্তব্য প্রচার করা হয়।
আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের ঐকমত্য কমিশনে যেখানে বক্তব্য হয়, ওখানে যা শুনি, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখি, তাতে মনে হয় যে একটা পক্ষ সুচতুর কৌশলে তৈরি হচ্ছে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে। এর জন্য যা করতে হয় করবে, দেশ বিক্রি হয় হবে।’
বিএনপিকে প্রতিপক্ষ ভাবার কোনো কারণ নেই মন্তব্য করে বিএনপির মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগী হতে চাই, প্রতিপক্ষ নয়। আমরা কেউ বলি না, বিএনপি যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় যাবে। বরং আমরা বলি, আমরা জনগণের ভোট, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। সে লক্ষ্যে ১৭-১৮ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন করেছে, বহু নেতা-কর্মী জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন।’
ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অনেকে বলেন, যদি এটা না হয় তাহলে নির্বাচন হবে না। এ ধরনের বক্তব্য আসলে ঐক্যকে ধ্বংস করার কথা, বিভাজনের কথা। জাতিকে বিভক্ত রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত সুবিধার জন্য ঐক্যকে ব্যবহার করলে দেশ এগোবে না। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলা।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিমসহ জুলাই শহীদদের অনেকের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম ও খুনের শিকার অনেকের স্বজনেরা। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।